মৎস খাদ্যে রাসায়নিক ব্যবহার বন্ধে কঠোর হোন: রাষ্ট্রপতি

মাছের খাদ্য উৎপাদনে ক্ষতিকারক রাসায়নিক ব্যবহার বন্ধে সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরগুলোকে কঠোর নজরদারি করতে বলেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 July 2016, 11:39 AM
Updated : 24 July 2016, 11:39 AM

রোববার জাতীয় মৎস সপ্তাহ উপলক্ষ্যে বঙ্গভবনের পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আজকাল পত্রপত্রিকায় প্রায়ই দেখা যায় যে, মাছের খাদ্য উৎপাদনে ক্ষতিকারক রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়।

“অধিক মুনাফা লাভের আশায় কেউ যাতে বিশাল সম্ভাবনাময় এ খাতের ক্ষতি করতে না পারে, সে ব্যাপারে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, মৎস্য অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে কঠোর নজরদারী করতে হবে।”

রাষ্ট্রপতি দেশীয় প্রজাতির মাছ উৎপাদন ও সংরক্ষণেরও আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, “জনসংখ্যা বৃদ্ধি, ক্রমবর্ধমান নগরায়ণ ও শিল্পায়ন, কৃষিতে রাসায়নিক ও কীটনাশকের অপরিমিত ব্যবহারসহ মানবসৃষ্ট নানা কারণে আজ দেশীয় মাছের উৎপাদন বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে। দেশীয় অনেক জাতের মাছ আজ বিলুপ্ত প্রায়। তাই দেশীয় প্রজাতির মাছ উৎপাদন ও সংরক্ষণে উদ্যোগ নিতে হবে।”

এ লক্ষ্যে সরকারের কার্যক্রমের প্রশংসা করে আবদুল হামিদ বলেন, বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক মাছ চাষের পাশাপাশি দেশের জলজ পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় দেশীয় প্রজাতির মাছ সংরক্ষণ ও চাষে জনগণকে আরও উৎসাহিত করতে হবে। পাশাপাশি মৎস্য খাদ্য যাতে স্বাস্থ্যসম্মত ও মানবদেহের উপযোগী হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।

মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে অর্জিত সমুদ্র সীমায় সম্পদ আহরণে গবেষণা কার্যক্রম বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেন রাষ্ট্রপতি।

তিনি বলেন, “সাগরের জলজ ও খনিজ সম্পদ সংরক্ষণ ও আহরণে আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে। কেবল রূপালি ইলিশ নয়, এর পাশাপাশি অন্যান্য সামুদ্রিক সম্পদ আহরণ ও সংরক্ষণে আমাদের দক্ষ জনবল, টেকসই অবকাঠামো ও গবেষণা কার্যক্রম বৃদ্ধি করতে হবে। সামুদ্রিক সীমানায় নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। তা হলেই আমরা ‘ব্লু ইকোনমি’র সুফল জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে পারব, দেশও হবে সমৃদ্ধ।”

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক, প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।

এর আগে রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনের ‘সিংহ পুকুরে’ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা অবমুক্ত করেন।