শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে গুলশান ২ নম্বরের কাছের ওই রেস্তোরাঁয় হামলা হয়।
র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ রাত ১১টার দিকে সাংবাদিকদের বলেন, অস্ত্রধারীরা রেস্তোরাঁয় ঢোকার পর কেউ কেউ বেরিয়ে এলেও বেশ কয়েকজন এখনও সেখানে আটকে আছেন। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে সেখান থেকে বেরিয়ে আসা একজনের বক্তব্য সরাসরি সম্প্রচার হয় কয়েকটি টেলিভিশনে।
ওই রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপক পরিচয় দেওয়া সুমন রেজা বলেন, “আট থেকে ১০ জন যুবক রাত পৌনে ৯টার দিকে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে রেস্টুরেন্টে ঢুকে পড়ে। এ সময় তারা ‘আল্লাহু আকবর’ বলতে থাকে।
“শব্দ শোনার পর হোটেলে অবস্থানরত অন্তত ২০ জন বিদেশি অতিথি টেবিলের নিচে আশ্রয় নেন।”
সুমন বলেন, এক পর্যায়ে তিনি ভবনের ছাদে উঠে লাফিয়ে পাশের ভবনে চলে আসেন।
“ওরা যখন বোমা মারতে ছিল, তখন বিল্ডিং কাঁপতে ছিল। ওরা ১০-১২টা বোমা মারছে। ওরা সামনের দিকে স্টেপ নিচ্ছিল মনে হচ্ছিল। তখন ছাদ থেকে লাফ দেই।”
তিনি বলেন, “আমাদের অনেক কর্মী ভেতরে আটকা আছে। তাদের ফোনে কল হচ্ছে, কিন্তু কেউ রিসিভ করছে না, কেটেও দিচ্ছে না।”
তিনি কথা বলার মধ্যেই বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
এরপর সেখান থেকে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে আনতে দেখা যায়।
এ ঘটনায় আহত বনানী থানার ওসি সালাহউদ্দিন মারা গেছেন বলে মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মারুফ হোসেন জানিয়েছেন।
আহত আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে ওই হাসপাতালের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।