শুক্রবার সকালে ঢাকায় নিজ বাসায় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সদর উপজেলার উত্তর কাষ্ঠসাগরা গ্রামের শ্রীশ্রী রাধামদন গোপাল বিগ্রহের (মঠ) সেবায়েত শ্যামানন্দ দাসকে (৫০) কুপিয়ে হত্যা করে ‘মোটরসাইকেলে আসা তিন যুবক’, যেভাবে গত মাসে এক হিন্দু পুরোহিতকে হত্যা করা হয়।
সাংবাদিকরা এ সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এ ঘটনায় যারা সম্পৃক্ত তাদের আমরা ধরে ফেলতে পারব। আমাদের চাক্ষুস সাক্ষী রয়েছে।”
যেভাবে যে কৌশলে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে, তার সঙ্গে সাম্প্রতিক বিভিন্ন জঙ্গি হামলা ও হত্যার ঘটনার মিল রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার শেখ আলতাফ হোসেন।
গত দুই বছরে এভাবে একের পর এক হত্যাকাণ্ডে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ এসেছে, খুন হয়েছেন সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী লেখক, ব্লগার, প্রকাশক; ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও ভিন্ন মতাবলম্বীরা। সেবায়েত শ্যামানন্দ দাসকে নিয়ে কেবল ঝিনাইদহেই এ ধরনের হত্যার শিকার হয়েছেন চারজন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীদের ওপর ‘নজরদারি থাকার’ দাবি জানিয়ে শ্যামানন্দ দাসের ঘাতকদের আটক করার আশা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, “এই সন্ত্রাসীদের গতিবিধি আমরা অনেক আগের থেকেই পর্যবেক্ষণ করছি। কাজেই আমরা মনে করি এটা (খুনিদের ধরতে) আমরা পারব।”