দুই প্রার্থীর আপিল শুনানি শেষে বুধবার এ সিদ্ধান্ত দিয়েছে সাংবিধানিক সংস্থাটি।
এ আসনের উপনির্বাচনে তিনজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। বাছাইয়ে দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করে রিটার্নিং কর্মকর্তা।
সেলিমা ও সোহরাব প্রার্থিতা ফিরে পেতে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইসিতে আপিল করলে মঙ্গলবার তাদের শুনানি হয়।
ইসির আইন শাখার জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব আন্তরা ঘোষ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিমা খাতুনের আপিল আবেদন গৃহীত হয়েছে, খারিজ হয়েছে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সোহরাবের।”
প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায় এ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জুয়েল আরেং- এর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী থাকল সেলিমা খাতুন।
সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মজিবুর রহমান ফকির ও প্রমোদ মানকিনের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ময়মনসিংহের দুটি আসনে উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে ১৮ জুলাই।
বুধবার ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন।
ময়মনসিংহ-১ ও ময়মনসিংহ-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে বাছাইয়ের পর বৈধ প্রার্থী রয়েছেন আট জন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ২৯ জুন পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। বৃহস্পতিবার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের পর ১৮ জুলাই ভোট দিয়ে নতুন জনপ্রতিনিধি বেছে নেবেন ভোটাররা।
ময়মনসিংহ-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ছয়জনের প্রার্থিতাই বৈধ বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান, যিনি ময়মনসিংহ-১ আসনেও রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন।
বৈধ প্রার্থী আট জন
ময়মনসিংহ-১: জুয়েল আরেং, আওয়ামী লীগ ও সেলিমা খাতুন, স্বতন্ত্র।
ময়মনসিংহ-৩: মো. আজিজুল হক, স্বতন্ত্র; নাজিম উদ্দিন আহমেদ, আওয়ামী লীগ; মো. শামসুজ্জামান, জাতীয় পার্টি; মো. আবু তাহের খান, ইসলামী ঐক্যজোট; নাজনীন আলম, স্বতন্ত্র এবং মো. আব্দিুল মতিন, ন্যাপ।