বুধবার দুপুরে জোটের সমন্বয়ক নাঈমা খালেদ মনিরার নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বঙ্গভবনে গিয়ে এই স্মারকলিপি দেন।
ছাত্রজোটের অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- কলেজছাত্রী সোহাগী জাহান তনুসহ সারাদেশে নারী ও শিশু ধর্ষণ-হত্যার বিচার, যৌন যৌন নিপীড়নবিরোধী নীতিমালা কার্যকর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যাসহ সব হত্যাকাণ্ডের বিচার, বাঁশখালীতে ছয় আন্দোলনকারী হত্যার বিচার, রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন বন্ধ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।
জোটের প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জি এম জিলানী শুভ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স, ছাত্র ফেডারেশনের সহ-সাধারণ সম্পাদক উৎসব মোসাদ্দেক, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর ও ছাত্র ঐক্য ফেরামের যুগ্ম আহ্বায়ক সরকার আল ইমরান।
এর আগে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে বামধারার ছাত্র সংগঠনগুলোর এ জোট। বিক্ষোভ মিছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি হয়ে, দোয়েল চত্বর দিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে গেলে পুলিশি বাধার মুখে সেখানেই সমাবেশ করেন জোটের নেতাকর্মীরা।
তনু হত্যাকাণ্ডের দুই মাস পেরোলেও কেউ গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জি এম জিলানী শুভ বলেন, “শ্যামল কান্তি ভক্তকে স্বপদে বহাল করা হলেও সেলিম ওসমানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
“বরং তার (সেলিম ওসমান) মদদে হেফাজতে ইসলামসহ উগ্র সাম্প্রদায়িক সংগঠনগুলো শিক্ষকের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে। শিক্ষক লাঞ্ছনার জন্য মূল দায়ী ব্যক্তি ওসমান পরিবারের সদস্য। তাকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।”