নিশা বিসওয়াল ঢাকায় আসছেন বুধবার

যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সাবেক কর্মকর্তা সমকামী অধিকারকর্মী জুলহাজ মান্নানকে কুপিয়ে হত্যার পর বাংলাদেশে নিরাপত্তার অবস্থা নিয়ে আলোচনা করতে বুধবার ঢাকায় আসছেন দেশটির দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 May 2016, 07:21 PM
Updated : 3 May 2016, 07:52 PM

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য এর আগেও কয়েকবার ঢাকা সফর করা বিসওয়ালের আগমনের এই দিন মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের এক মুখপাত্র বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।

জুলহাজ ও তার বন্ধু মাহবুব রাব্বী তনয় খুনের দুদিন পর খুনিদের গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়ে গত ২৮ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে টেলিফোন আলাপচারিতায় নিজের এই সহকারীকে ঢাকা সফরের পাঠানোর কথা বলেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি।

২০১৫ সালের কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের মতো গত ২৫ এপ্রিল রাজধানীর কলাবাগানে বাড়িতে ঢুকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় যুক্তরাষ্ট্রের উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির কর্মসূচি কর্মকর্তা জুলহাজ ও তার বন্ধু মাহবুব রাব্বী তনয়কে।

ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সাবেক প্রটোকল অ্যাসিস্টেন্ট জুলহাজ সমকামী অধিকারকর্মী ছিলেন। তার বন্ধু তনয় ছিলেন নাট্যকর্মী।

File Photo

এ ঘটনায় খুনিদের গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়ে ২৮ এপ্রিল রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী টেলিফোন করেন। প্রায় ১৬ মিনিটের কথোপকথনে জন কেরি কুশল বিনিময়ের পর জুলহাজ ও তনয় হত্যাকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা সফরে সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই ‘নিরাপত্তার ক্ষেত্রে দুই দেশের উদ্বেগের বিভিন্ন বিষয় ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে’ বাংলাদেশ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন।

ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ছাড়াও তিনি স্থানীয় মানবাধিকার কর্মী ও সুশীল সমাজের সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে বিবৃতিতে বলা হয়।

অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষদের হত্যার বেশিরভাগ ঘটনায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) এবং আল কায়দার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখার (একিউআইএস) নামে দায় স্বীকারের বার্তা এলেও সরকার তা নাকচ করে এগুলোকে স্থানীয় জঙ্গিদের কাজ বলছে।

বাংলাদেশে নাগরিকদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ‘খর্ব হচ্ছে’ বলে আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের কমিশন (ইউএসসিআইআরএফ) সোমবার এক প্রতিবেদনে পর্যবেক্ষণ দেওয়ার পর দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে বাংলাদেশের পরিস্থিতিকে ‘গভীরভাবে নজর’ রাখছে বলে জানানো হয়।