একাত্তরে চট্টগ্রামের বদর কমান্ডার যে সব মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন তাতে তার সর্বোচ্চ শাস্তিই প্রাপ্য ছিল বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা।
প্রধান বিচার বিচারপতি এস কে সিনহা নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ মঙ্গলবার সকালে মীর কাসেমের আপিলের রায় ঘোষণার পর নিজের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিক্রিয়া জানান অ্যাটর্নি জেনারেল।
তিনি বলেন, “আমি প্রত্যাশিত ফল পেয়েছি। যুদ্ধাপরাধী যারা সেই সময় ইসলামী ছাত্র সংঘের সারা পাকিস্তানের নেতা ছিলেন, সেই নিজামী দণ্ডিত হয়েছেন, পূর্ব পাকিস্তানের যিনি সভাপতি ছিলেন, মুজাহিদ দণ্ডিত হয়েছেন। মুজাহিদের সাথে মীর কাসেম ছিলেন, সেক্রেটারি, তিনি আজ দণ্ডিত হয়েছেন।
“তিনি দণ্ডিত না হলে ন্যায়বিচারের ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন হত। আদালত তাকে সঠিকভাবে দোষী সাব্যস্ত করেছেন।”
যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে আদলতের বাইরে বিভিন্ন ব্যক্তির বক্তব্য নিয়েও কথা বলেন মাহবুবে আলম।
মাহবুবে আলম বলেন, “যারা মনে করেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার তারাই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে- এটা ভ্রান্ত। শেখ হাসিনা যদি না থাকতেন, নির্বাহী বিভাগে এরকম দৃঢ় মনোভাবের একজন না থাকলে এটা কিন্তু হত না।
“তাদের মনে রাখতে হবে, রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে এই বিচার হচ্ছে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধের বিচারের কথা বলা হয়েছিল।”
এই বিচার এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আপোষহীন ভূমিকাকে ‘প্রাণকেন্দ্র’ হিসাবে অভিহিত করেন মাহবুবে আলম।
“জননেত্রী শেখ হাসিনা সব সময় আমাদের সহযোগিতা করে যাচ্ছেন,” বলেন তিনি।