শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, “বিচার হবে না, এমন মনে হওয়া ঠিক হবে না। আমরা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সঠিক রহস্য বের করার প্রচেষ্টা নিচ্ছি।”
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের একটি পাঁচতলা ভবনের পঞ্চম তলার ফ্ল্যাট থেকে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনির ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়।
তখনকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের ধরার নির্দেশ দিয়েছিলেন পুলিশকে। তার নয় মাস পর সংবাদ সম্মেলন করে কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের খবর দিয়েছিলেন তখনকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর।
কিন্তু হত্যাকাণ্ডের পর চার বছর পেরিয়ে গেলেও আদালতে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়েনি।
শুক্রবার ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘চাপাই উৎসবে’ সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল বলেন, “মহামান্য হাই কোর্ট এটা (সাগর-রুনির বিচার) তদারকি করছেন। আমাদের বিশেষ বাহিনী র্যাবকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।… আমরা আশাবাদী এ রহস্য উদঘাটন করতে পারব।”
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দেওয়া ৪৮ ঘণ্টার প্রতিশ্রুতির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “সেগুলো বিগত দিনের কথা। আমি এখন বলছি আমি আশাবাদী।”
কামাল বলেন, “কোনো সময় নির্ধারণ করতে পারব না। আমি এটুকু বারবার বলব- আমি আশাবাদী।”