মীর কাসেমের আপিল শুনানি আবার সোমবার

যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর আপিলের ওপর আসামিপক্ষ যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Feb 2016, 02:42 PM
Updated : 10 Feb 2016, 02:42 PM

বুধবার দ্বিতীয় দিনের শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শুনানি মুলতুবি করেন।

বেঞ্চের অপর চার সদস্য হলেন- বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান।

সদ্য অবসরে যাওয়া বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর অবসরকালীন সুবিধায় (সরকারি বাসা, গাড়ি ও গ্যানম্যান) থাকা অবস্থায় আইনজীবী হিসেবে মীর কাসেমের পক্ষে মামলা পরিচালনার বিষয়টি এদিন আদালতের নজরে আনেন অ্যাপর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

আর আসামিপক্ষ শুনানিতে পেপারবুক উপস্থাপনের পর রাষ্ট্রপক্ষের আনা দুটি অভিযোগের বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেছে বলে মীর কাসেম আলীর অন্যতম আইনজীবী এস এম শাহজাহান জানান।

৯ ফেব্রুয়ারি এই আপিলের ওপর শুনানি শুরুর  পর বুধবার দ্বিতীয় দিনের মত শুনানি চলে।

এটি আপিল আদালতে আসা একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের সপ্তম মামলা, যার ওপর শুনানি চলছে।

বুধবার আদালতে মীর কাসেমের পক্ষে প্রথমে আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও পরে নজরুল ইসলাম চৌধুরী পেপারবুক থেকে পাঠ করেন।

এরপর এস এম শাহজাহান যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন। মীর কাসেমের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. বশির আহমেদ।

পরে এস এম শাহ্জাহান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পেপারবুক থেকে ১৯ থেকে ২৪ নম্বর সাক্ষীর জেরা-জবানবন্দি পড়েছি। আসামিপক্ষের সাক্ষ্য উপস্থাপন শেষে দুটি চার্জের ওপর যুক্তি উপস্থাপন করেছি।”

২০১৪ সালের ২ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য কাসেম আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।

মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৪টি অভিযোগের মধ্যে কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিম উদ্দিন আহমেদসহ আটজনকে হত্যায় সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হওয়ায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কাসেমের ফাঁসির রায় আসে।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে ৩০ নভেম্বর আপিল করেন তিনি। দেড়শ পৃষ্ঠার মূল আবেদন ও এক হাজার ৭৫০ পৃষ্ঠার নথিপত্রসহ করা আপিলে মীর কাসেম সাজা বাতিল চেয়ে খালাস চান।