মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান কমিটির সদস্য ছলিম উদ্দীন তরফদার।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে দুটি চিঠি দেওয়া হবে। একটি মাননীয় স্পিকারের মাধ্যমে, আরেকটি সরাসরি।
এমপিওভুক্তির জন্য কলেজগুলোর অনার্স-মাস্টার্সের শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের অপেক্ষা বিবেচনায় নিয়ে কমিটি মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান ছলিম উদ্দীন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, অনার্স-মাস্টার্স কলেজের শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির বিধিমালার আওতায় রাখা হয়নি। ওইসব কলেজ নিজেদের আয়োজনে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দিয়ে থাকে।
১৯৯৩-৯৪ সাল থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বেসরকারি কলেজগুলোতে স্নাতক-স্নাতকোত্তর শিক্ষা চালু হয়। এই পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে হলে প্রতি বিষয়ের জন্য কলেজে অন্তত ছয় থেকে আট জন শিক্ষকের প্রয়োজন হয়।
ওই কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অনার্স-মাস্টার্স কোর্স চালুর পরও বেসরকারি কলেজগুলোতে প্রতি বিষয়ের জন্য শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির অনুপাত বাড়ানো হয়নি।
“যেসব কলেজে বিভিন্ন বিষয়ে অনার্স-মাস্টার্স কোর্স চালু করা হয়েছে, সেসব বিষয়ের শিক্ষকদের বাধ্য হয়ে অনার্স-মাস্টার্স কোর্সে পাঠদান করতে হয়। এর বিনিময়ে শিক্ষকরা আলাদা কোনো সম্মানি ভাতা পান না।”
সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে কমিটি ৬৪টি জেলার সবগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলতি ডিসেম্বর মাস থেকে ‘মা সমাবেশ’ আয়োজন করার ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সভাপতি মো. আফছারুল আমীনের সভাপতিত্বে বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, মো. আব্দুল কুদ্দুস, ছলিম উদ্দীন তরফদার, গোলাম মোস্তফা, এস এম আবুল কালাম আজাদ, মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ ও সেলিনা আক্তার বানু অংশ নেন।