প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
পরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, বিএসটিআই, অ্যাক্রিডিটেশন বোর্ডের মতো শিল্প মন্ত্রণালয়ের মান প্রতিষ্ঠানগুলোকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে নেওয়া পদক্ষেপগুলোকে আরও কার্যকর করতে এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে আরও গ্রহণযোগ্য করতে এই নীতি করা হয়েছে।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী এবং নোরাড ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর্থিক সহযোগিতায় এই নীতি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
শফিউল আলম বলেন, “অনেকগুলো বিষয় দেখা করা হয়েছে; যেমন, আমাদের পণ্য যখন বিদেশে যাবে, তখন এটার মান কী হবে? কারা নিয়ন্ত্রণ করবে? এসব বিস্তারিত বলা হয়েছে।
“সেবা বলতে যেসব সেবাখাতে আমাদের পেশাদাররা রয়েছেন, যেমন, অ্যাকাউনটেন্ট, ডাক্তার, প্রকৌশলী। এরা যদি বিদেশে যেতে চান, তাদের অ্যাক্রিডিটেশন কারা দেখাশোনা করবে- এগুলো এখানে বলা হয়েছে।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “পণ্য এবং সেবা দুটোই আছে। সব ধরনের পণ্য, যার মধ্যে হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, ডিজিটাল পণ্য থেকে সব ধরনের পণ্যই অন্তর্ভুক্ত। এটা বাইরে যাওয়া, এটাকে নিয়ন্ত্রণ করা, এটার জন্যই এই অ্যাক্রিডিটেশন।
“আমাদের যে প্রতিষ্ঠানগুলো আছে, তারা মান নিয়ন্ত্রণ কীভাবে করবে, সেটাই নীতিতে নির্দেশনা হিসেবে বলা আছে। শেষে কমিটিকে ক্ষমতা দেওয়া আছে, তারা কিছু শাস্তি দিতে পারবে। যেমন, সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করতে পারবে।”