বঙ্গবন্ধু প্রযুক্তি ফেলোশিপ ট্রাস্ট আইনে চূড়ান্ত অনুমোদন

বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ ট্রাস্ট আইনে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Nov 2015, 10:43 AM
Updated : 23 Nov 2015, 10:43 AM

এর আওতায় দেশে-বিদেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শাখায় উচ্চ শিক্ষা অর্জনে বৃত্তির সুবিধা পাবে শিক্ষার্থীরা।

সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

একই সভায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার তহবিল আইন ২০১৫ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

শফিউল আলম বলেন, “বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ ট্রাস্ট আইন-২০১৫ এ চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটা একটা প্রকল্পের আওতায় চলে আসছিল, এটাকে একটা শেইপে আনতে আইন করার প্রয়োজনীয় দেখা দিয়েছিল।”

তিনি বলেন, এখানে বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দেশে-বিদেশে বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় উচ্চ শিক্ষায় যারা যাবে, তাদের এখন থেকে সাপোর্ট দেওয়া, বৃত্তি দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।

“বাংলাদেশের জাতীয় পর্যায়ে দক্ষ, বিশেষ যোগ্যতা সম্পন্ন বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ ও গবেষক তৈরি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য ২০১০ সাল থেকে এই ফেলোশিপ দেওয়া হচ্ছে এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়ে আসছে।

“এই প্রকল্প ডিসেম্বরে শেষ হয়ে যাবে। এখন প্রকল্পের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য আইনটা করা হচ্ছে এবং ট্রাস্ট্র গঠনের প্রেক্ষিতে স্থায়ী প্রতিষ্ঠান হিসেবে রূপ পাবে।”

বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার তহবিল আইন-২০১৫ সম্পর্কে তিনি বলেন, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং সাপেক্ষে এই আইনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।

তিনি জানান, এই আইন অর্ডিন্যান্স আকারে আগে থেকেই ছিল; নাম ছিল- দি বঙ্গবন্ধু ন্যাশনাল অ্যাগ্রিকালচার অ্যাওয়ার্ড ফান্ড অর্ডিন্যান্স-১৯৭৬।

এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিসভা বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ ট্রাস্ট আইনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।

১৩ সদস্যের এই ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী; মন্ত্রণালয়ের সচিব হবেন ট্রাস্টের সহসভাপতি।

সরকারের পক্ষ থেকে এই ট্রাস্টে অর্থের জোগান দেওয়া হবে। এর বাইরে ট্রাস্ট অন্য উৎস থেকেও অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে।