তিনি বলেছেন, এভাবে চললে সাংবাদিকতা আস্থার সংকটে পড়বে।
শনিবার বিকালে পিআইবি ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত সাংবাদিকদের জন্য ‘অর্থনীতি বিষয়ক রিপোর্টিং প্রশিক্ষণ’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শাহ আলমগীর বলেন, “সততা, বস্তুনিষ্ঠতা ও শুদ্ধতা সাংবাদিকতায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিন বিষয়। কিন্তু আশঙ্কার বিষয় এ তিন গুণ ক্রমশ লোপ পাচ্ছে। সাংবাদিকরা কারও স্বার্থে ব্যবহৃত হলে তিনি তো আর সাংবাদিক থাকেন না।”
বর্তমান সাংবাদিকতার কিছু নেতিবাচক দিক তুলে ধরে তিনি বলেন, “টেলিভিশন চ্যানেলে স্ক্রল দেওয়া হয় সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচ জন নিহত। কিছুক্ষণ পর দেখা যায় একই দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা কমে দুই জন হয়ে গেছে।
“সর্বশেষ দেখা গেল ওই ঘটনায় পাঁচ জন আহত হয়েছিলেন। কেউ মারা যায়নি। হয়ত সাংবাদিক পথে যাওয়ার সময় কোনো দুর্ঘটনায় তিন জনকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেছেন। ফোন করে অফিসে বলে দিল তিন জন মারা গেছে, নিউজটা দিয়ে দেন। নিশ্চিত না হয়ে এভাবে সংবাদ দেওয়া যায় না।”
পিআইবি মহাপরিচালক বলেন, “এভাবে সাংবাদিকতা হয় না; এভাবে চলতে থাকলে সাংবাদিকতা আস্থার সংকটে পড়বে।”
“সাংবাদিকদের নিয়ে এখন নানা রকম আলোচনা হচ্ছে। সাংবাদিকের স্টিকার লাগানো গাড়িতে মাদক উদ্ধার হয়। জেলা পর্যায়ে যখন যাই তখন অবাক হই। সেখানে অপসাংবাদিকতা যারা করছে তারাই যেন সাংবাদিকতা নিয়ন্ত্রণ করছে।”
শেষ দিনে অর্থনীতি বিষয়ক প্রতিবেদন লেখার কৌশল এবং অর্থনীতি বিষয়ক সংবাদ সম্পাদনা ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান খ. আলী আর রাজী।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সিইউজের সহ-সভাপতি রতন কান্তি দেবাশীষ ও সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস।
সবশেষে তিন দিনের প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া সাংবাদিকদের মধ্যে সনদ বিতরণ করেন পিআইবি মহাপরিচালক শাহ আলমগীর।