শনিবার রাজধানীর মতিঝিলের বিআরটিসি ভবনে এক জরুরি বৈঠকে তিনি বলেন, “সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের পাশাপাশি ঘুষ দুর্নীতিও বেড়েছ। আর এই সুবিধা নিচ্ছে ছাত্র শিবির। এরা ছাত্রলীগের পরিচয় দিয়ে চাকরি নিয়ে নিচ্ছে। ছাত্রলীগের পরিচয় দিয়ে আদালত থেকে জামিনও নিয়ে নিচ্ছে ঘুষ দিয়ে।”
প্রধানমন্ত্রীকে এ বিষয়ে আরও কঠোর হওয়ারও আহ্বান জানান মিছবাহুর রহমান।
দুই বিদেশি হত্যার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, “যারা আইএস আইএস করেন তাদের মধ্যেই সমস্যা। দেশে কোনো আইএস নাই। বিভিন্ন সরকারি অফিস আদালতে জামাত শিবিরের লোকেরা চাকরি করে, তারাই এ ধরনের সমস্যা তৈরি করছে।”
সরকারের কয়েকজন মন্ত্রীর সমালোচনা করে ইসলামী ঐক্যজোট চেয়ারম্যান বলেন, “প্রধানমন্ত্রী সুন্দরভাবে দেশের উন্নয়ন করে যাচ্ছেন। আর ওনার ডানে বামে বসে তারা বেসামাল কথাবার্তা বলছেন। যার জন্য মহাজোটের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।”
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, “ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আন্দোলনের নামে বহু মানুষ মেরেছেন। এখন দেশ স্থিতিশীল। কোন কর্মসূচি খুঁজে পান না। আপনারা তো দেশের মানুষের জন্য কোনো কথা বলেন না।”
বৈঠক শেষে জোটের মহাসচিব মনিরুজ্জামান রাব্বানী জামায়াতে ইসলামী ও তার মিত্রদের গুপ্ত হত্যা ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
কর্মসূচি অনুযায়ী, ১৭ অক্টোবর ঢাকার জিগাতলায় মহানগরেরর কর্মী সমাবেশ, ১৯ অক্টোবর খুলনা বিভাগীয় সম্মেলন, ২০ অক্টোবর রাজশাহী প্রতিনিধি সম্মেলন, ২২ অক্টোবর রংপুর প্রতিনিধি সম্মেলন, ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রাম বিভাগীয় সম্মেলন, ২৮ অক্টোবর সিলেট বিভাগের প্রতিনিধি সম্মেলন, ৩১ অক্টোবর বরিশাল বিভাগীয় প্রতিনিধি সম্মেলন হবে।
এছাড়া ১৪ নভেম্বর ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন ও ২১ নভেম্বর হবে জাতীয় প্রতিনিধি সম্মেলন।