নিহত এএসআই সুজাউল ইসলাম পাকশী পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন।
ঈশ্বরদী থানার ওসি বিমান কুমার দাশ বলেন, রোববার রাত ৮টা থেকে নিখোঁজ থাকার পর সোমবার সকাল ৯টার দিকে পাকশী নর্থ বেঙ্গল পেপার মিলের পেছনের একটি জঙ্গলে সুজাউল ইসলামের লাশ পাওয়া যায়।
“তবে তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোন সেট পাওয়া যায়নি।”
সুজাউল ইসলামকে কে বা কারা এবং কী কারণে হত্যা করেছে তা এখনও জানাতে পারেননি তিনি।
এএসপি (ঈশ্বরদী সার্কেল) শেখ মোহাম্মদ আবু জাহিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রোববার বিকালের পালায় পাকশী পুলিশ ফাঁড়িতে দায়িত্বরত ছিলেন সুজাউল ইসলাম। ডিউটি শেষ হওয়ার কথা ছিল রাত ১২টায়।
“কিন্তু রাত ৮টার পর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও রাতে তার সন্ধান মেলেনি।”
সুজার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে জানিয়ে এএসপি বলেন, হাত-পা রশি দিয়ে বাঁধা দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
তবে মৃতদেহের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
সুজাউল ইসলাম বগুড়া সদর উপজেলার শেখপাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি ২০১৪ সালের ৯ জানুয়ারি থেকে পাকশী পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত এবং পাকশী বাজারের একটি ভাড়া বাড়িতে ছেলে শাহরিয়ার আলম (৮) ও স্ত্রী নাসিমা আক্তারকে নিয়ে বসবাস করছিলেন। নাসিমা আক্তার চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা।