আগামী বছরের শুরুতে ইউপি ভোটের চিন্তা

আগামী বছর মার্চ থেকে দেশজুড়ে ধাপে ধাপে ইউনিয়ন পরিষদের ভোট আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন।

মঈনুল হক চৌধুরীবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Oct 2015, 03:00 AM
Updated : 5 Oct 2015, 03:00 AM

এ লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে দেশের সাড়ে চার হাজার ইউপি’র হালনাগাদ তালিকা সংগ্রহ করেছে নির্বাচন আয়োজনকারী প্রতিষ্ঠানটি।

নির্বাচন কমিশনার মো. আবদুল মোবারক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পৌর নির্বাচনের পর আমাদের মেয়াদোত্তীর্ণ ইউনিয়ন পরিষদের ভোট করতে হবে। এজন্য ইসি সচিবালয়কে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রাখতে বলা হয়েছে।”

ইউনিয়ন পরিষদগুলোর মেয়াদ মার্চ থেকে জুলাই মাসের মধ্যে পূর্ণ হবে। সেক্ষেত্রে জানুয়ারি মাসের দিকেই তফসিলও ঘোষণা করতে হবে বলে সম্প্রতি ইসির সভায় মত দেন জ্যেষ্ঠ এই নির্বাচন কমিশনার।

ইসির সহকারী সচিব আশফাকুর রহমান জানান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় গত ১ অক্টোবর ৪ হাজার ৫৫৩টি  ইউনিয়ন পরিষদের তালিকা, শপথ ও  পরিষদের প্রথম সভার তারিখসহ প্রয়োজনীয় তথ্য কমিশনে পাঠিয়েছে।

“এখন আমরা নির্বাচন উপযোগী ইউপিগুলোর তালিকা করব। মামলা বা অন্য কোনো কারণে জটিলতা রয়েছে কিনা- সেসব তথ্যও উপস্থাপন করব।”

স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন অনুযায়ী, আগের নির্বাচনের পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে (মেয়াদ শেষের আগের ১৮০ দিন) নির্বাচন করতে হবে। পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের মেয়াদ থাকবে পরিষদের প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর।

দেশে এ পর্যন্ত আটটি  ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন  (১৯৭৩, ১৯৭৭, ১৯৮৩, ১৯৮৮, ১৯৯২, ১৯৯৭, ২০০৩ এবং ২০১১) হয়েছে। সর্বশেষ ২০১১ সালের মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত ভোট চলে।

দেশজুড়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ চলায় নতুন ভোটাররা ডিসেম্বরে পৌর নির্বাচনে ভোট না দিতে পারলেও ইউপি নির্বাচনে তাদের সেই সুযোগ হতে পারে। ৩১ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের পর হালনাগাদ তালিকা দিয়েই এ নির্বাচন হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন ইসি কর্মকর্তারা।