হান্নানকে বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশানে তার বাড়ি থেকে এবং ছেলে রফিক সাজ্জাদকে ওই এলাকার একটি অফিস থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বাবা-ছেলে দুজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান জোনের সহকারী কমিশনার রফিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হক নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল হান্নান ও তার ছেলেসহ মোট আট আসামির বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি করে।
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তাপস কান্তি বল বিকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পরোয়ানা জারির পর ঢাকায় হান্নান ও তার ছেলের পাশাপাশি আরও দুইজনকে ময়মনসিংহে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এরপর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ময়মনসিংহ প্রতিনিধি সন্ধ্যায় জানান, এ মামলার মোট তিন আসামিকে সেখানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তারা হলেন- ডা. খন্দকার গোলাম সাব্বির (৬৬), মিজানুর রহমান মিন্টু (৬০) ও হরমুজ আলী (৭০)।
সাব্বিরকে জেলা শহরের গুলকিবাড়ি ও মিজানুরকে নওমহল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। হরমুজ আলীকে ত্রিশালের বৈলর এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম এবং ত্রিশাল থানার ওসি মনিরুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির নেতা হান্নানের গ্রেপ্তারের খবর তাৎক্ষণিকভাবে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করেছিলেন বনানী থানার ওসি মো. সালাউদ্দিন। পরে কথা হয় সহকারী কমিশনার রফিকুলের সঙ্গে।
৮০ বছর বয়সী হান্নান ময়মনসিংহ-৭ আসনের (ত্রিশাল) সংসদ সদস্য। তিনি জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীরও সদস্য।
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের চলমান বিচারে এর আগে জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল জব্বার ইঞ্জিনিয়ার এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ কায়সারের সাজা হয়।
যুদ্ধাপরাধে দণ্ডিতদের মধ্যে বিএনপির সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ছাড়া বাকি প্রায় সবাই জামায়াতে ইসলামী সংশ্লিষ্ট।