আটোয়ারী থানার ওসি মো. শাহ আলম জানান, বুধবার দুপুরে মাদ্রাসা সুপার কলিম উদ্দীনকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়।
তিনি উপজেলার তোড়িয়া নতুনহাট দাখিল মাদ্রাসার সুপার।
ওসি শাহ আলম বলেন, মঙ্গলবার বিকালে মাদ্রাসার ছাত্রীদের পেটানোর পর সুপারকে স্থানীয়রা অবরুদ্ধ করে রেখেছে এমন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। প্রায় তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর বিকাল ৬টায় কলিম উদ্দীনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। বুধবার তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
সুপারের মারধরের শিকার শ্রাবণী আক্তার, লাবণী আক্তার, রুখসানা বেগম, সাথী আক্তার, আর্নিকা বেগম, জনি আক্তার, জেনি আক্তার ও সেলীনা বেগমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তারা সবাই ওই মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।
তবে এ ঘটনায় এখনও থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করা হয়নি।
মাদ্রাসার ছাত্রী শ্রাবণী আক্তার বলেন, মাদ্রাসায় ষষ্ঠ ঘণ্টায় যে শিক্ষক পড়ান তিনি উপস্থিত ছিলেন না। এ জন্য তারা কমনরুমে বসে গল্প করছিল। সুপার কলিম উদ্দীন এ ঘটনা জানতে পেরে ওই ছাত্রীদের শ্রেণিকক্ষে ডেকে গল্পগুজব করার কারণ জানতে চান।
“শিক্ষকের অনুপস্থিতির কারণে তারা সেখানে গিয়েছে জেনে তিনি ক্ষিপ্ত হন। একপর্যায়ে তিনি বাঁশের লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। এ সময় সবাই কান্নাকাটি শুরু করে সুপারের কাছে ক্ষমা চায়। এর পরও সুপার পেটাতে থাকেন।”
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মওলা বকস্ চৌধুরী বলেন, এলোপাতাড়ি মারধরে শ্রাবণী সামান্য আহত হয়েছে। প্রচণ্ড ভয় পেয়ে সে অচেতন হয়ে পড়ে।
তবে কলিম উদ্দীন দাবি করেন, ছাত্রী পেটানোর কোনো ঘটনা ঘটেনি। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।