সাংবাদিকতার সর্বোচ্চ মানদণ্ড ও নৈতিকতা বজায় রেখে সংবাদ পরিবেশনে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সংবাদ প্রকাশক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে বহু পাঠকের সমাবেশ ঘটেছে। আমরা মনে করছি এ বিষয়ে আপনাদের কাছে একটি ব্যাখ্যা তুলে ধরা দরকার।
ধর্ষিতা গৃহবধূকে নিয়ে একটি ভুয়া পর্নোগ্রাফিক ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার পর তিনি নিজেই গণমাধ্যমের কাছে নাম প্রকাশ করে এর প্রতিকার চেয়েছিলেন। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমও প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।
মূলত তার আগ্রহেই প্রতিবেদনে ওই গৃহবধূর নাম প্রকাশ করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।
পরবর্তীতে ঘটনা আরও গুরুতর দিকে মোড় নেয়, যারা আগে পর্নোগ্রাফিক ভিডিওটি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল তারাই দলবেঁধে ধর্ষণ করে ওই নারীকে।
দলবেঁধে ধর্ষণের এই ঘটনার প্রতিবেদনে এর প্রেক্ষাপট ও ধারাবাহিকতা তুলে ধরতে গিয়ে তার নাম প্রকাশে বাধ্য হয়েছিলাম আমরা, যেমনটি আমরা সব অনুগামী সংবাদে করে থাকি।
আমরা আবারও বলছি, ওই নারীর আগ্রহেই আমরা তার নাম প্রকাশ করেছিলাম। তিনি হয়তো ধারণা করেছিলেন একবার গণমাধ্যমে নাম এলে তার সমস্যা বাড়বে, তারপরেও মনোযোগ কাড়তে এবং ন্যায়বিচার পেতে তিনি নাম প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন।
আমরা সব সময়ই ধর্ষিতার নাম প্রকাশের বিপক্ষে, যদি না তিনি বা তারা নাম প্রকাশের বিষয়ে নিজে আগ্রহ প্রকাশ করেন।