যৌন হয়রানির মামলায় ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার 

যৌন হয়রানির মামলায় রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রংপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 August 2015, 10:55 AM
Updated : 27 August 2015, 10:55 AM

বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাতে কোতোয়ালি থানায় একই বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ষষ্ঠ ব্যাচের এক ছাত্রীর মামলায় শাওন আহমেদ শুভকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক শুভ ওই মামলার এক নম্বর আসামি বলে জানান এসআই শফিকুল।  

মামলার অন্য আসামি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান শিশির, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মাহমুদ হাসান, সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম, সদস্য আদনান আলী ও শামীমকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।    

মামলার অভিযোগের বরাত দিয়ে এসআই শফিকুল আরও জানান,  পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শুভ প্রায়ই মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করেন। তার কথায় সাড়া না দেওয়ায় তিনি মেয়েটিকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন এবং এসিড মারার হুমকি দেন।

“মেয়েটি বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী রাজ ও যুগ্ম সম্পাদক তিতাস চন্দ্র রায়কে জানান।

“আলী রাজ ও তিতাস বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে গেলে ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও শাওন আহমেদ শুভসহ একদল কর্মী সোমবার সন্ধ্যায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আলী রাজ ও তিতাসকে কুপিয়ে আহত করেন।”

তারা এখন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানান এসআই শফিকুল।

মোহাম্মদ আলী রাজ বলেন, “যৌন হয়রানিকারীর হাত থেকে রক্ষা করতে আমরা উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করছিলাম। কিন্তু ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে একদল কর্মী আমাদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায়।”

মামলার আসামি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মাহমুদ হাসান বলেন, “ছাত্রীকে দিয়ে মামলার ঘটনাটি সাজানো। এখানে যা কিছু ঘটছে তার সঙ্গে আমি জড়িত নই”।

ছাত্রলীগের অন্য নেতারা জড়িত কিনা সে ব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য নুর-উন-নবী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কমিটি করা হবে। তদন্তে প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।