ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নাজমুল হক শ্যামল বুধবার চার বছর আগের এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনলজি বিভাগের খণ্ডকালীন প্রভাষক রুহুল আমিন মামলার শুরু থেকেই রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ায়।
আদালতে হাজির না হওয়ায় এর আগে হাই কোর্ট তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ডও দিয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল কবির বাবুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রায়ে রুহুল আমীনকে কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে, ওই টাকা না দিলে তাকে আরও ৬ মাস জেল খাটতে হবে।
২০১১ সালের ১৩ অগাস্ট মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও এটিএন নিউজের প্রধান সম্পাদক মিশুক মুনীরসহ পাঁচজনের মৃত্যুর পর ফেইসবুকে এক স্ট্যাটাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘মৃত্যু কামনা’ করেন রুহুল।
সেখানে তিনি লেখেন, “পরীক্ষা ছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়ার ফল তারেক ও মিশুক মুনীরসহ নিহত ৫: সবাই মরে, হাসিনা মরে না কেন?”
পরদিন আরেক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, “পরীক্ষা ছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স! কোনো সভ্য সমাজে কি চিন্তা করা যায়? পুরো পৃথিবী যেখানে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়া কঠিন করছে, সেখানে হাসিনা সরকার পরীক্ষা ছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স দিচ্ছে !!!”
গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে সত্যতা যাচাই করতে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কমিটি ওই বছর ১০ সেপ্টেম্বর দেওয়া প্রতিবেদনে ‘সত্যতা পাওয়া গেছে’ বলে জানায়।
এরপর সাভার সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মনোয়ার হোসেন ওই বছর ২ অক্টোবর ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে দণ্ডবিধির ১২৪ এর ‘ক’ ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন।
আদালতের নির্দেশে মামলাটি এজাহার হিসাবে নেওয়া হয় এবং ২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি সভার জোনের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আব্দুস সালাম অভিযোগপত্র জমা দেন।
২০১৪ সালের ২৩ এপ্রিল রুহুল আমিন খন্দকারকে পলাতক দেখিয়ে অভিযোগ গঠন করে আদালত। মামলার শুনানিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়জন শিক্ষকসহ ১২ জন সাক্ষ্য দেন।