তবে ভবিষ্যতে মহাড়কে এসব যান চলাচলের জন্য আলাদা লেইন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার চট্টগ্রামে শেখ কামালের জন্মদিনের এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, “হাইওয়েতে এই মুহূর্তে অটোরিকশা চলবে না।
“প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন বড় রাস্তাগুলোর পাশে স্লো-মুভার বা লেইনের জায়গা রাখতে। ভবিষ্যতে আমরা যে রাস্তাগুলো করব সেখানে স্লো-মুভার বা বাইলেইন করব।”
দুর্ঘটনা এড়াতে সরকারের নির্দেশে গত ১ অগাস্ট থেকে মহাসড়কে সবধরনের ধীরগতির ও তিনচাকার যান চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
এর প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন চালক-মালিকরা। কোথাও কোথাও তারা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষেও জড়িয়েছেন।
মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচলে বিকল্প ব্যবস্থা করতে চালক-মালিকদের দাবির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, “তিন হাজার কিলোমিটার হাইওয়েতে অটোরিকশা চলাচল করতে না পারলেও দেশে যে আরও আড়াই লাখ কিলোমিটার রাস্তা আছে, সেখানে চলাচল করতে পারে।
“অটোরিকশা চলাচল নিয়ন্ত্রণে কোনো ধরনের আপস করা হবে না।”
ওবায়দুল কাদের বলেন, “দেশে এলিভেটেড হাইওয়ে, মেট্রোরেল ও টানেল করা হচ্ছে। পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা ফিরে না আসলে এসবে সফলতা আসবে না।”
মহাসড়কে অটোরিকশা বন্ধের মাধ্যমে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।
যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন না হলেও পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে মন্তব্য করে
মন্ত্রী বিভিন্ন ফ্লাইওভার, বিভিন্ন সড়ক চার লেইনে উন্নীতকরণ, মেট্রোরেল, পদ্মাসেতু নির্মাণের কাজসহ বিভিন্ন ফিরিস্তি তুলে ধরেন মন্ত্রী।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনের ১৪৩ কিলোমিটারের কাজ শেষ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বর মাসে জনগণ এর সুফল পাবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছেলে শেখ কামালকে বর্তমান তরুণ সমাজের ‘রোল মডেল’ হিসাবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আধুনিক মনষ্ক, সাহসী, বুদ্ধিভিত্তিক তরুণের নাম শেখ কামাল।
“এত বহুমুখী প্রতিভার লোক ছাত্রজীবনে দেখিনি। তিনি ছিলেন ‘মাল্টি ডাইমেনশন’ কাজের সংগঠক।”
১৯৭৫’র ১৫ অগাস্টের পর থেকে মুজিব পরিবারের বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ওবায়দুল বলেন, “চক্রান্ত করেও এদেশের মানুষের মন থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলা যায় নি। টাকা-পয়সা সম্পদের দিকে মুজিব পরিবার কখনও তাকায়নি।”
চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেড ও আবাহনী সমর্থক গোষ্ঠীর অলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রামের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, পটিয়ার সাংসদ শামসুল হক চৌধুরী, সাইফ পাওয়ার টেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চট্টগ্রাম আবাহনীর ফুটবল কমিটির সভাপতি তালুকদার রুহুল অমিন।