এ ব্যাপারে উপজেলার মিল মালিকরা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বরাবর অভিযোগ জানিয়েছেন।
বোয়ালমারীর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. মুজিবুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা ফখরুল ইসলামের আচরণ ভালো না।
তার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
মিল মালিকদের অভিযোগ থেকে জানা যায়, চাল সরবরাহের জন্য উপজেলার সাতজন মিলার সরকারের সঙ্গে গত ৩১ মে চুক্তিবদ্ধ হন। ১৫ দিনের মধ্যে চাল সরবরাহের নির্দেশনা থাকে ওই চুক্তিপত্রে।
মিলাররা চাল প্রস্তুত করে খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলামকে জানালে তিনি প্রতি টন চালে চার হাজার টাকা করে ঘুষ দাবি করেন বলে তারা অভিযোগ করেন।
চাহিদা অনুযায়ী টাকা না দিলে চাল সংগ্রহ করা হবে না বলে তিনি হুমকি দেন, বলেন তারা।
অভিযোগে আরও বলা হয়, নানারকম হয়রানির পর গত ২৮ জুলাই মেসার্স সোতাশী রাইচ মিলের মালিক এ কে এম সাহিদুল আলম একটি ট্রাকে করে ২০ মেট্রিক টন চাল গুদামে নিয়ে যান।
পাঁচদিন ঘুরিয়ে ২ অগাস্ট নয় টন চাল খালাস করে বাকি চাল ফেরত দেন বলে জানান তারা।
মিল মালিক সমিতির সভাপতি এ কে এম সাহিদুল আলম বলেন, “আমরা ২শ মেট্রিক টন চাল সরবরাহের জন্য সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হই। কিন্তু স্থানীয় খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা টন প্রতি চার হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন।”
“তাকে দেড় হাজার টাকা নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়, কিন্তু তিনি রাজি হননি।”
প্রায় দুই মাস চাল তৈরি করে মিলে রাখায় আর্দ্রতা বেড়ে গিয়ে চালের মান দুর্বল হয়ে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
সহিদুল বলেন, ফখরুল ইসলাম চাল না নিয়ে উল্টো প্রস্থাব দেন যে, চাল তিনি অন্যভাবে সংগ্রহ করে নেবে্ এবং মিলাররা লাভের টাকা নিয়ে স্বাক্ষর করে দেবেন।
সব অভিযোগ অস্বীকার করে বোয়ালমারীর ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) বলেন, গুদামে নেওয়া চালের মান ভালো না হওয়ায় তিনি চাল ফেরত দিয়েছেন।
“মান সম্পন্ন না হলে চাল সংগ্রহ করা যাবে না।”
২শ মেট্রিক টনের মধ্যে এই পর্যন্ত ৯ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।