স্ত্রী-সন্তানের অধিকার দাবি

সন্তানসহ স্ত্রীর অধিকারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মাগুরার এক নারী।

মাগুরা প্রতিনধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 August 2015, 11:42 AM
Updated : 2 August 2015, 12:20 PM

রোববার দুপুরে মাগুরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ঝিনাইদহ সদরের হাট গোপালপুর গ্রামের গোলাম আলীর মেয়ে সোনিয়া।

তাসনিন সুলতানা জুঁই (৪) নামে তার একটি মেয়ে রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সোনিয়া জানান, ২০০৭ সালে  অষ্টম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় মাগুরা সদর উপজেলার বেলনগর গ্রামের হিসাম আহম্মেদ নামে এক যুবকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়।

“এক পর্যায়ে সম্পর্ক গভীর হলে হিসাম তাকে ছলচাতুরির মাধ্যমে মাগুরা শহরের হাজি সাহেব মসজিদের এক ইমামের মাধ্যমে কলেমা পাঠ করে মাধ্যমে বিয়ে করে।

“এরপর থেকে হিসামের সঙ্গে তার গোপন যোগাযোগ ও সম্পর্ক চলতে থাকে।”

সোনিয়া বলেন, তার লেখাপড়া শেষ হওয়ার পর তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে করার আশ্বাস দেয় হিসাম। ২০১১ সালে সোনিয়ার একটি মেয়ে হয়।

এরপর থেকে তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে মাগুরা শহরের বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া করে বসবাস করে আসছেন বলে জানান তিনি।

“এরপর সোনিয়া আবার সন্তানসম্ভবা হলে হিসাম তাকে স্ত্রী হিসেবে অস্বীকার করে এবং চার বছরের মেয়ে জুঁইকে সন্তানের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার পাঁয়তারা শুরু করে।”

সোনিয়া বলেন, এরপর চাপ সৃষ্ট করলে এ বছর ১৫ জুন মাগুরা শহরের ঢাকার রোডে মওলানা মোহাম্মদ আলীর কাজি অফিসে নিয়ে হিসাম তাকে বিয়ে করে।

কিন্তু এর পর থেকে সে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ সোনিয়ার।

তিনি জানান, গত ৬ জুলাই সোনিয়া তার স্বামীর বাড়ি গিয়ে স্ত্রী ও সন্তানের অধিকার দাবি করলে সেখান থেকে হিসামের পরিবারের সদস্যরা তাকে মারপিট করে তাড়িয়ে দেয়।

এ কারণে অসুস্থ হওয়ার পর সোনিয়াকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং সেখানে তার গর্ভের সন্তানটি নষ্ট হয়ে যায় বলে জানান সোনিয়া।

এ ঘটনায় সোনিয়া মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা (মামলা নং-২৭/৪৩৭) করেন বলেও তিনি জানান।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার এসআই সালাউদ্দিন আহমেদ তাকে কোনো সহায়তা করছেন না বলে অভিযোগ করেন সোনিয়া।

এ ব্যাপারে তদন্ত কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন বলেন, “মামলাটি এখনও তদন্তাধীন। নিরপেক্ষভাবেই মামলার তদন্ত কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।”

এ ব্যাপারে সোনিয়ার স্বামী হিসাম আহম্মেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি ফোন কেটে দেন।