ফিল্মি কায়দায় সোনা পাচারের চেষ্টা, বিমানবন্দরে আটক ১

ফিল্মি কায়দায় তলপেটে ছয়টি সোনার বার নিয়ে নিরাপদেই বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে যেতে চেয়েছিলেন দুবাইফেরত এক যাত্রী; কিন্তু এক্সরেতে নিশ্চিত হওয়ার পর ওষুধ দিয়ে তা ঠিকই বের করে এনেছেন কাস্টমস ও শুল্ক বিভাগের কর্মকর্তারা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 July 2015, 10:09 AM
Updated : 31 July 2015, 11:04 AM

অভিনব এই চালান আটকের পর উল্লসিত শুল্ক বিভাগের যুগ্ম কমিশনার এস এম সোহেল রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের এখানে গত ২০ বছরে এমন ঘটনা আর ঘটেনি।”

আটক রফিকুল ইসলাম (৩৪) বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টায় ফ্লাই দুবাইয়ের একটি ফ্লাইটে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন। তার কাছে পাওয়া ৬০০ গ্রাম সোনার দাম আনুমানিক ৩৫ লাখ টাকা।

শুল্ক বিভাগের সহকারী কমিশনার রিয়াদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ইমিগ্রেশন এলাকা পার হওয়ার সময় আরিফের গতিবিধি ‘সন্দেহজনক’ মনে হলে ঢাকা কাস্টমস হাউসের কমিশনার লুৎফর রহমানের নির্দেশে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন কর্মকর্তারা।

“জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে রফিক তার তলপেটে ১০০ গ্রাম ওজনের ছয়টি সোনার বার থাকার কথা স্বীকার করেন। এরপর পুলিশের মাধ্যমে রাতেই উত্তরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে রফিকের এক্সরে করা হয়।”

ফাইল ছবি

এক্সরেতে সোনার অস্থিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পর চিকিৎসকের পরামর্শে ‘গ্লিসারিন সাপোজিটর’ দেওয়া হয় রফিককে। এরপর তার পায়ুপথ দিয়ে বেরিয়ে আসে প্লাস্টিকে মোড়ানো সোনার বার।

যুগ্ম কমিশনার সোহেল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সোনার বারগুলো প্লাস্টিক আর কালো রঙের টেপে মোড়ানো ছিল। সেগুলো ছিল রফিকের লোয়ার অ্যাবডোমেনে। দুবাইয়ে রেকটাম দিয়েই সেগুলো ঢোকানো হয় বলে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানিয়েছে।”

রফিকের বাড়ি বরিশালের আগৈলঝরা উপজেলায়। তিনি সোনা চোরাচালান চক্রের বাহক হিসেবে কাজ করে আসছিলেন বলে শুল্ক কর্মকর্তাদের ধারণা।

সোহেল রহমান বলেন, “আর কারা এই চক্রে জড়িত তা জানতে রফিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তার বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।”