মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনের দরবার হলে এক অনুষ্ঠানে তিনি এই নির্দেশনা দেন।
সরকারি জলমহালগুলো বিভিন্ন সময়ে মৎস্যজীবীদের বাদ দিয়ে দলীয় ব্যক্তিদের ইজারা দেওয়া হত বলে অভিযোগ রয়েছে।
মৎস্য সংরক্ষণ আইনসহ মৎস্য বিষয়ক আইন সম্পর্কে মৎস্যজীবী, মৎস্যচাষী ও সম্পৃক্ত জনগোষ্ঠীকে সচেতন করে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করার নির্দেশনাও দেন তিনি।
বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক মাছ চাষের পাশাপাশি দেশের জলজ পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় দেশীয় প্রজাতির মাছ সংরক্ষণ ও চাষে জনগণকে উৎসাহিত করার পরামর্শও দেন কিশোরগঞ্জের হাওর অঞ্চলের মানুষ আবদুল হামিদ।
শৈশবের স্মৃতিচারণও করে তিনি বলেন, “শৈশব থেকেই আমি হাওরের বৈচিত্র্যময় নানা জাতের দেশীয় মাছের সঙ্গে পরিচিত। উন্মুক্ত জলাশয়ের এসব মাছ যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকর।
“দেশীয় প্রজাতির মাছের কথা উঠলে আজও আমার স্মৃতিপটে হাওরের জীবন ও জীবিকার কথা ভেসে ওঠে।”
রাষ্ট্রপতি এসময় হাওর অঞ্চলের মৎস্যজীবী ও জেলেদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে বাস্তবসম্মত প্রকল্প গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
জলজ সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
সমুদ্র সীমানায় কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার পরিপ্রেক্ষিতে এর নিরাপত্তা জোরদার করার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
“সাগরের নীল জলে জলজ, প্রাণিজ ও প্রাকৃতিক সম্পদকে ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে ‘ব্লু ইকোনমি’র। তাই সাগরের জলজ ও খনিজ সম্পদ সংরক্ষণ ও আহরণে আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে।”
পরে রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনের ‘সিংহ পুকুরে’ চিতল, গুলশা ও মৃগেল মাছের পোনা অবমুক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক, প্রতিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বক্তব্য রাখেন।