কোমেন সতর্কতা: নৌ চলাচল বন্ধ

ঘূর্ণিঝড় কোমেনের প্রভাবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় সতর্কতার অংশ হিসাবে অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল কর্তৃপক্ষের (বিআউডব্লিউটিএ) সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকএবং চাঁদপুর, মানিকগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 July 2015, 07:34 AM
Updated : 30 July 2015, 09:16 AM

উপকূলীয় জেলাগুলোতে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আওতাধীন ফেরিগুলোও পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

ঢাকার সদরঘাট, চাঁদপুর, মানিকগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে লঞ্চসহ সব ধরনের ছোট নৌযান চলাচল বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ।

কক্সবাজারের টেকনাফ ছুঁয়ে চট্টগ্রামের দিকে এগিয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় কোমেন দুপুরের পর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ মো. শাহ আলম।

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বুধবার থেকেই চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৭ এবং মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৫ নম্বর বিপদ সঙ্কেত দেখানো হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক (পরিবহন) মো. শফিকুল হক বলেন, “ঘূর্ণিঝড় কোমেনের কারণে বুধবার রাত থেকে সারা দেশে নৌ-চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব ধরনের ছোট-বড় নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে।”

খারাপ আবহাওয়ার কারণে চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে নিরাপদ অবস্থানে সরে গেছে সব নৌযান

ঢাকা সদরঘাট টার্মিনালের পরিবহন শাখার পরিদর্শক (টিআই) হুমায়ুন কবির জানান, চাঁদপুর, হাতিয়া, ভোলা, বরিশাল থেকে রাতে ছেড়ে আসা ৪৮টি লঞ্চ সকালে নিরাপদে ভিড়েছে। তবে সকালে এসব এলাকা থেকে লঞ্চ ছাড়া বন্ধ রয়েছে। আর সদরঘাট থেকে রাতে আর কোনো লঞ্চ ছেড়ে যায়নি।

চাঁদপুর থেকে ঢাকা, বরিশাল, ভোলা নারায়ণগঞ্জসহ ১৮টি পথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন জানিয়েছেন।  

বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুর বন্দর কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ে ঝুঁকি এড়াতে প্রশাসন সব ব্যবস্থা নিয়েছে।

মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি এবং মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট পথে লঞ্চ, স্পিডবোটসহ সব ধরনের ছোট নৌযান চলাচল বন্ধ থাকলেও তিন স্থানেই ফেরিতে গাড়ি পারাপার চলছে। 

পদ্মায় প্রচণ্ড ঢেউ থাকায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট পথে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে বলে বিআইডব্লিউটিএ আরিচা কার্যালয়ের সহকারী বন্দর কর্মকর্তা সাজ্জাদুর রহমান জানিয়েছেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “খারাপ আবহাওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতেই লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।”

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া পথে ২৪টি আর অন্য পথে ১০টি লঞ্চ যাত্রী পারাপার করে বলে তিনি জানান।

শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি পথে ফেরি চললেও লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন মাওয়া পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এসআই ইউনুস আলী। 

উপকূলীয় জেলাগুলোয় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আওতাধীন ফেরি চলাচলও পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

তবে জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া এবং দুর্যোগ ব্যবস্থায় নিয়োজিত যানবাহন সীমিত আকারে বিশেষ ব্যবস্থায় ফেরিতে পারাপার করা যাবে বলে এতে উল্লেখ করা হয়েছে।