রোববার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর করা আপিলের রায়ের জন্য ২৯ জুলাই দিন নির্ধারিত রয়েছে।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করবেন। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
এরই মধ্যে গণমাধ্যমে খবর এসেছে- একজন বিচারপতির সঙ্গে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবারের সদস্যরা দেখা করেছেন।
প্রকাশিত খবরের সূত্র ধরে এক প্রশ্নের জবাবে মাহবুবে আলম বলেন, “গুজবের ওপর ভিত্তি করে কোনো রিপোর্ট হতে পারে না। এমন রিপোর্টের জন্য প্রধান বিচারপতির কার্যালয় প্রতিবাদ করবে তেমন নিয়মও আমাদের দেশে নেই। এসব লিখে শুধু এই বিচার ব্যবস্থাটাকে নানাভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করাই হচ্ছে। এটা কারও কাম্য না।”
তিনি বলেন, “আপিল বিভাগের বিচারপতিদের বহুদিন থেকে চিনি। আজ থেকে ৩০ বছর যাবত তাদের আমি চিনি। তাদের সততা ও সক্ষমতা আমি জানি। এ ধরনের ব্যক্তি সম্পর্কে কথা উঠে বৈঠক করেছেন। অন্তত আমার কাছে তা বিশ্বাসযোগ্য নয়।”
যার লেখা নিয়ে আলোচনার জন্ম, সেই সাংবাদিক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই একজন সাংবাদিকের ব্যপারে আমি বলব, উনি এর আগেও একটা লিখেছিলেন। প্রধান বিচারপতি একটি মন্তব্য করেছিলেন, তিনি সে মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিরাট একটা কলাম লিখেছিলেন। যেটি আমার কাছে মনে হয়েছে হাস্যকর।”
বিচারাধীন বিষয়ে কিছু লেখা উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
ওই পত্রিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা জানতে চাওয়া হলে মাহবুবে আলম বলেন, “আমি তো বিশ্বাসই করি না। ব্যবস্থার প্রশ্ন আসবে কেন। পত্রিকার বিরুদ্ধে এখন ব্যবস্থা নিতে যাই, তাহলে আসামিপক্ষ নানাভাবে এটার সুযোগ নিতে পারে।”
তিনি বলেন, “চার অভিযোগে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে, সেটি সঠিক। আমি নিজেও বলেছি অন্য যে পাঁচটি অভিযোগ, এর মধ্যে অন্তত দুটি-তিনটিতে মৃত্যুদণ্ড হতে পারত। ট্রাইব্যুনাল যে শাস্তি দিয়েছে সেটি বহাল থাকবে বলে প্রত্যাশা করি।”
মুজাহিদের পূর্ণাঙ্গ রায় অচিরেই
এদিকে মুজাহিদের পূর্ণাঙ্গ রায়ের অগ্রগতি প্রশ্নে মাহবুবে আলম বলেন, “আমি জানি না। তবে আমি আশা করছি হয়তো অচিরেই আমরা পাব। আমি অনুমান করছি আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের ভেতর হয়তো পেয়ে যাব।”
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের আপিলের ওপর শুনানি শেষে আপিল বিভাগ ১৬ জুন মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দেয়।