হ্যারি টেক্টরকে ছাপিয়ে গেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত, ঠাণ্ডা মাথার ইনিংসে শেষটায় ব্যবধান গড়ে দিলেন মুশফিকুর রহিম।
Published : 12 May 2023, 03:31 PM
নিজ দেশে বৃষ্টির আশঙ্কা থাকায় ইংল্যান্ডের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগের গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ আয়োজন করেছে আয়ারল্যান্ড। কিন্তু সেই বৃষ্টিতেই ভেসে গেছে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে।
একই সঙ্গে শেষ হয়েছে আইরিশদের সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার আশা। এই সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ থেকে কার্যত আর কিছুই পাওয়ার নেই দুই দলের। তবু দ্বিপাক্ষিক সিরিজের শিরোপার লড়াইয়ে শুক্রবার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মাঠে নামছে তারা।
এই ম্যাচেও অবশ্য আছে বৃষ্টির চোখরাঙানি। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, স্থানীয় সময় বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মৃদুমন্দ বাতাসের সঙ্গে টানা বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। যা সত্যি হলে প্রথম ম্যাচের মতো এবারও পুরো ম্যাচ হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম।
প্রথম ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় আড়াইশর আগে থেমে গিয়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয়টিতে নামার আগে নিজেদের শুধরে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর তাগিদ শোনা গেছে নাজমুল হোসেন শান্ত, শরিফুল ইসলাম, তাইজুল ইসলামদের কণ্ঠে।
বৃষ্টিতে টসে বিলম্ব
চেমসফোর্ডে দ্বিতীয় ওয়ানডে শুরুর আগেই বাগড়া দিল বৃষ্টি। প্রকৃতির বাধায় নির্ধারিত সময়ে টস করা সম্ভব হয়নি। তবে বৃষ্টির মাত্রা খুব বেশি নয়। আপাতত মাঠ পরিদর্শন করছেন আম্পায়াররা।
বৃষ্টির মাত্রা তেমন বেশি নয়। কিন্তু ঝরছে বিরতিহীনভাবে। শুরুতে শুধু উইকেট ও রানআপের জায়গা কভার দিয়া ঢাকা হয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টি না থামার কারণে ত্রিশ গজের পুরোটা ঢেকে দেওয়া হচ্ছে।
ধারাভাষ্য কক্ষে অ্যালান উইলকিন্স জানিয়েছেন, এই হালকা বৃষ্টি চলতে পারে এক থেকে দুই ঘণ্টার মতো। অর্থাৎ খেলা শুরুর জন্য দীর্ঘ অপেক্ষার শঙ্কা দেখা দেখিয়েছে।
এরই মধ্যে পেরিয়ে গেছে খেলা শুরুর নির্ধারিত সময়। কিন্তু এখনও টসই করা যায়নি। প্রকৃতির সবুজ সংকেত না পাওয়া পর্যন্ত এই ম্যাচ নিয়ে ইতিবাচক কিছু আশা করা কঠিন।
প্রায় দুই ঘণ্টা অপেক্ষার পর কভার সরাতে শুরু করেছেন মাঠকর্মীরা। এখনও উইকেট ও রান আপের জায়গা ঢাকা। তবে আউট ফিল্ডের কভার সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে মাঠে ঢুকেছে সুপার সপার। যা দ্রুত পানি নিষ্কাশনের কাজ করে থাকে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, স্থানীয় সময় দুপুর ১২টার (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা) পর বৃষ্টির শঙ্কা নেই তেমন। তা সত্যি হলে কিছু ওভার কমিয়ে হয়তো বাকি ম্যাচ খেলা যাবে। তবে এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য জানানো হয়নি।
দীর্ঘ অপেক্ষার পর মিলল সুখবর। বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৫টায় হবে টস। বৃষ্টির কারণে দুই ইনিংস থেকে হারিয়ে গেছে ৫টি করে ওভার। অর্থাৎ দুই দল সর্বোচ্চ ৪৫ ওভার করে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাবে।
এখনও টস হয়নি ম্যাচের। তবে পুরো দমে চলছে মাঠ শুকানোর কাজ। এরই মধ্যে দুই দলের খেলোয়াড়রা গা গরমের জন্য মাঠে নেমে পড়েছেন।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে কয়েনভাগ্য পাশে পেলেন তামিম ইকবাল। টস জিতে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। মেঘাচ্ছন্ন কন্ডিশনে চ্যালেঞ্জিং স্কোরের আশাবাদ জানালেন আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবার্নি
চেমসফোর্ডে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডের একাদশে কোনো পরিবর্তন আনেনি বাংলাদেশ। স্বাগতিক আয়ারল্যান্ডও অপরিবর্তিত একাদশ নিয়েই খেলতে নামছে।
বৃষ্টির কারণে খেলা হবে ৪৫ ওভারে। একজন বোলার সর্বোচ্চ ৯ ওভার বোলিং করতে পারবেন।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, লিটন কুমার দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, ইবাদত হোসেন চৌধুরি, শরিফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ
আয়ারল্যান্ড একাদশ: পল স্টার্লিং, স্টিভেন ডোহেনি, অ্যান্ড্রু বালবার্নি, হ্যারি টেক্টর, লরকান টাকার, কার্টিস ক্যাম্পার, জর্জ ডকরেল, অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন, মার্ক অ্যাডায়ার, জশ লিটল, গ্রাহাম হিউম।
প্রথম ওভারেই সাফল্য পেল বাংলাদেশ। শুরুতেই আয়ারল্যান্ডের অভিজ্ঞ ওপেনার পল স্টার্লিংয়ের উইকেট নিলেন হাসান মাহমুদ। উইকেটের পেছনে ক্যাচ ও রিভিউ নেওয়ার ক্ষেত্রে দারুণ দক্ষতা দেখালেন মুশফিকুর রহিম।
হাসানের অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে ইনসুইং ডেলিভারি রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলার চেষ্টা করেন স্টার্লিং। বল তার ব্যাট ছুঁয়ে চলে যায় উইকেটের পেছনে। বাম দিকে ঝাঁপিয়ে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন মুশফিক।
স্পষ্ট শব্দ শোনা গেলেও বাংলাদেশের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। মুশফিকের কাছ থেকে নিশ্চয়তা পেয়ে রিভিউ নেন তামিম ইকবাল। রিপ্লেতে দেখা যায়, ব্যাট ছুঁয়েই গেছে বল। ফলে বদলাতে হয় সিদ্ধান্ত।
প্রথম ওভারে স্টার্লিংয়ের উইকেট নিয়ে স্রেফ ১ রান দিয়েছেন হাসান। তিন নম্বরে নেমেছেন অ্যান্ড্রু বালবার্নি।
দ্বিতীয় ওভারেই দ্বিতীয় সাফল্য পেয়ে যেতে পারত বাংলাদেশ। অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবার্নি।
শরিফুলের করা অফ স্টাম্পের বাইরের বল দূর থেকেই খেলার চেষ্টা করেন বালবার্নি। বল তার ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে চলে যায় দ্বিতীয় স্লিপে।
কিছুটা ঝুঁকে সেটি ধরার চেষ্টা করেন লিটন দাস। তার হাতে জমাও পড়ে বল। তবে পরক্ষণেই লিটন জানিয়ে দেন, হাতে যাওয়ার আগমুহূর্তে মাটি ছুঁয়েছে বল। ফলে বেঁচে যান বালবার্নি।
২ ওভারে আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৪ রান। ক্রিজে দুই ব্যাটসম্যান স্টিভেন ডোহেনি ও বালবার্নি।
নিজের চতুর্থ ওভারে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় সাফল্য এনে দিলেন হাসান মাহমুদ। পল স্টার্লিংয়ের পর বিদায় করলেন আয়ারল্যান্ডের আরেক ওপেনার স্টিভেন ডোহেনিকে।
সপ্তম ওভারের প্রথম বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে লেংথ ডেলিভারি করেন হাসান। কিছুটা দূর থেকে ব্যাকফুট পাঞ্চ করার চেষ্টা করেন ডোহেনি। কিন্তু বল চলে যায় সোজা পয়েন্টে দাঁড়ানো মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে।
২ চারে ২১ বলে ১২ রান করেছেন ডোহেনি। ক্রিজে অ্যান্ড্রু বালবার্নির সঙ্গী হ্যারি টেক্টর।
প্রথম পাওয়ার প্লের ৯ ওভারে ২ উইকেট নিয়েছে বাংলাদেশ। দুটিই পেয়েছেন হাসান মাহমুদ। বিপরীতে ২৬ রান করতে পেরেছে আয়ারল্যান্ড।
এরই মধ্যে হাসানের বলে ড্রেসিং রুমে ফিরেছে দুই ওপেনার পল স্টার্লিং (০) ও স্টিভেন ডোহেনি (১২)। তৃতীয় উইকেটে জুটি বেঁধেছেন অ্যান্ড্রু বালবার্নি ও হ্যারি টেক্টর। বালবার্নি ৭ ও টেক্টর ৬ রানে অপরাজিত।
ম্যাচের দৈর্ঘ্য ইনিংসপ্রতি ৪৫ ওভারে নেমে যাওয়ায় প্রথম পাওয়ার প্লে হয়েছে ৯ ওভারের। মাঝের পাওয়ার প্লে ৩০ ওভারের বদলে হবে ২৮ ওভার। শেষ পাওয়ার প্লেতে খেলা হবে ৮ ওভার।
শুরুর ধাক্কা সামলে জুটি গড়ার অভিযানে লড়ছেন অ্যান্ড্রু বালবার্নি ও হ্যারি টেক্টর। এরই মধ্যে স্রেফ ৪১ বলে ৩৭ রান যোগ করে ফেলেছেন দুজন। তাদের জুটিতে ১৩ ওভারে ৫০ ছুঁয়েছে আয়ারল্যান্ড।
শরিফুল ইসলামের করা দ্বাদশ ওভারের চতুর্থ বলে পুল করে ইনিংসের প্রথম ও এখন পর্যন্ত একমাত্র ছক্কা মেরেছেন টেক্টর। ওই ওভারের প্রথম বলে বাউন্ডারি মারেন তিনি। সব মিলিয়ে আসে ১৪ রান। যা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে খরুচে।
ত্রয়োদশ ওভারের শেষ বলে সাকিব আল হাসানকে স্কয়ার কাট করে চার মেরে দলীয় পঞ্চাশ পূরণ করেছেন আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক বালবার্নি।
১৩ ওভারে আইরিশদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৫৩ রান। বালবার্নি ২৮ বলে ১৮ ও টেক্টর ২৭ বলে ২২ রানে খেলছেন।
চতুর্দশ ওভারের শেষ বলে ইবাদত হোসেনের মিডল স্টাম্পের ওপর করা ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারি পুল করার চেষ্টা করলেন হ্যারি টেক্টর। ব্যাটের ওপরের দিকে লেগে বল উঠে যায় আকাশে।
মিড অন থেকে দৌড় থেকে শুরু করেন শরিফুল ইসলাম। ডিপ মিড উইকেট থেকে ছুটে আসছিলেন তাইজুল ইসলাম। সেদিকে তাকাতে গিয়েই যেন মনোযোগ হারালেন শরিফুল। ঝাঁপ দিয়ে হাত ছোঁয়ালেও নিতে পারলেন না ক্যাচ।
২৩ রানে বেঁচে যান টেক্টর।
১৪ ওভারে আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৫৬ রান। অ্যান্ড্রু বালবার্নি ১৯ ও টেক্টর ২৪ রানে খেলছেন।
অল্পেই দুই ওপেনারকে হারানোর পর দলের হাল ধরেছেন অ্যান্ড্রু বালবার্নি ও হ্যারি টেক্টর। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে এরই মধ্যে জুটিতে পঞ্চাশ রান যোগ করে ফেলেছেন দুজন। এজন্য খেলেছেন ৬৮ বল।
সপ্তম ওভারের মধ্যে স্রেফ ১৬ রানে ড্রেসিং রুমে ফিরেছিলেন দুই ওপেনার পল স্টার্লিং ও স্টিভেন ডোহেনি। ধাক্কা সামলাতে শুরুতে কিছুটা সময় নেন বালবার্নি ও টেক্টর। ক্রমেই সাবলীল ব্যাটিং করতে শুরু করেছেন তারা।
এই জুটির পঞ্চাশ হওয়ার পেছনে অবশ্য ফিল্ডিং ব্যর্থতারও দায় আছে। টেক্টরের ক্যাচ নিতে পারেননি শরিফুল। ১৮তম ওভারে জুটির পঞ্চাশতম রানের সময় কিছুটা কঠিন হলেও সুযোগ পেয়েছিলেন তামিম ইকবাল। সেটিও নিতে পারেননি তিনি।
১৯ ওভারে আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৭১ রান। টেক্টর ৩৩ ও বালবার্নি ২৫ রানে খেলছেন।
বাংলাদেশ সফরের ওয়ানডে সিরিজটা ভালো যায়নি হ্যারি টেক্টরের। চেনা কন্ডিশনে ফিরতেই যেন ছন্দ খুঁজে পেলেন আইরিশ তারকা ব্যাটসম্যান। প্রথম ম্যাচে অপরাজিত ২১ রানের পর এবার করলেন দারুণ এক ফিফটি।
স্রেফ ৫৩ বলে ২টি চারের সঙ্গে ৪টি ছয়ের মারে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন টেক্টর। তাইজুল ইসলামের করা ২০তম ওভারেই ৩টি ছক্কা মেরেছেন তিনি। এর আগে শরিফুল ইসলামের বলে মারেন নিজের ও ম্যাচের প্রথম ছক্কা।
৩১ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে এটি তার নবম ফিফটি। এর সঙ্গে তিনবার সেঞ্চুরিও ছুঁয়েছেন ২৩ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান।
২০ ওভার শেষে আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৯১ রান। টেক্টর ৫৩ ও অ্যান্ড্রু বালবার্নি খেলছেন ২৫ রানে।
উইকেটে থিতু হয়ে রানের গতি বাড়িয়েছেন অ্যান্ড্রু বালবার্নি ও হ্যারি টেক্টর। দুজনের দারুণ ব্যাটিংয়ে ২১ ওভারে একশ রান করে ফেলেছে আয়ারল্যান্ড।
প্রথম পঞ্চাশ করতে তাদের লেগেছিল ৭৮ বল। পরের পঞ্চাশ ছুঁতে স্রেফ ৪৮ বল খেলেছেন টেক্টর ও বালবার্নি। যেখানে আইরিশ অধিনায়কের চেয়ে টেক্টরের ব্যাটই চলেছে বেশি।
২১ ওভারে আইরিশদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১০০ রান। দুজনের জুটিতে এসেছে ৮৪ রান।
বালবার্নি ৪৮ বলে ৩৩ ও টেক্টর ৫৫ বলে ৫৪ রানে অপরাজিত।
দান দান তিন দান! দুইবার সৌভাগ্যের ছোঁয়া পাওয়া অ্যান্ড্রু বালবার্নিকে তৃতীয়বারে ফেরালেন শরিফুল ইসলাম। ফিফটির আশা জাগানো আইরিশ অধিনায়ক থামলেন ৪২ রানে।
শরিফুলের করা ২৪ তম ওভারের প্রথম বল বালবার্নির ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে প্রথম স্লিপের পাশ দিয়ে চলে যায় থার্ড ম্যানে, হয় ২ রান। পরের বল ভেতরের কানায় লেগে ফাইন লেগ দিয়ে হয় বাউন্ডারি।
তৃতীয় বলে আর ভাগ্য পাশে পাননি বালবার্নি। এবার বাইরের কানায় লেগে বল জমা পড়ে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে। ৫ চারে ৫৭ বলে ৪২ রান করেছেন বালবার্নি।
আইরিশ অধিনায়কের বিদায়ে ভেঙেছে হ্যারি টেক্টরের সঙ্গে গড়া ৯৮ রানের জুটি। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান লরকান টাকার। টেক্টর অপরাজিত ৫৯ রানে।
২৪ ওভারে আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১১৮ রান।
শুরু থেকেই শরিফুল ইসলামের ওপর চড়াও হয়েছেন হ্যারি টেক্টর। তাকে ডিপ স্কয়ার লেগ দিয়ে বিশাল ছক্কা মেরে দলের দেড়শ রান পূর্ণ করেছেন আইরিশ তারকা।
২১ ওভারে একশ ছোঁয়ার পর ৪০ বলের মধ্যে আরও ৫০ রান যোগ করে ফেলেছে আয়ারল্যান্ড। এর বড় অবদান টেক্টরেরই। ধীরে ধীরে সেঞ্চুরির পথে এগোচ্ছেন ২৩ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান।
২৮ ওভারে আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৫২ রান। টেক্টর ৭৫ বলে ৮০ রানে খেলছেন। কার্টিস ক্যাম্পার ২ বলে করেছেন ১ রান।
এখনও বল হাতে পাননি অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান।
তাইজুল ইসলামের মিডল স্টাম্পের ওপর করা ডেলিভারি অফ সাইডের দিকে সরে সুইপ খেলার চেষ্টা করেন কার্টিস ক্যাম্পার। ব্যাট ফাঁকি দিয়ে বল আঘাত হানে তার প্যাডে। বাংলাদেশের জোরাল আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার।
কিছুক্ষণ ভেবে রিভিউ নেন ক্যাম্পার। রিপ্লেতে দেখা যায়, বল গিয়ে লাগত লেগ স্টাম্পে। ফলে বহাল থাকে মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত। ১১ বলে ৮ রান করে ফেরেন ক্যাম্পার।
৩১ ওভারে আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৬৭ রান। সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে ৮৮ রানে খেলছেন হ্যারি টেক্টর। নতুন ব্যাটসম্যান জর্জ ডকরেল।
ইনিংসের দুই-তৃতীয়াংশ পেরিয়ে গেলেও মেহেদী হাসান মিরাজকে বোলিং করাননি তামিম ইকবাল।
অসাধারণ ব্যাটিংয়ে দারুণ সেঞ্চুরি করলেন হ্যারি টেক্টর। ৬টি করে-চার ছয়ে স্রেফ ৯৩ বলে পেলেন তিন অঙ্কের উষ্ণ ছোঁয়া।
৩১ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে টেক্টরের চতুর্থ সেঞ্চুরি এটি। সবগুলোই তিনি করেছেন গত ১০ মাসের মধ্যে। আগের তিন সেঞ্চুরি দুইটি নিউ জিল্যান্ড ও একটি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
স্রেফ ১৬ রানে ২ উইকেট পতনের পর ক্রিজে গিয়ে পাল্টা আক্রমণের পথে হেঁটেছেন ২৩ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান। ৫৩ বলে ফিফটি করার পর পরের পঞ্চাশ ছুঁতে লেগেছে স্রেফ ৪০ বল।
টেক্টরের ব্যাটে ভর করে বড় সংগ্রহের দিকে এগোচ্ছে আয়ারল্যান্ড। ৩৫ ওভারে তাদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৯৬ রান। জর্জ ডকরেল খেলছেন ১৭ রানে।
হ্যারি টেক্টরের দারুণ ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহের পথে এগোচ্ছে। ৩৬ ওভারের মধ্যেই তারা করে ফেলেছে দুইশ রান। প্রথম একশ রান করতে লেগেছিল ২১ ওভার। পরের ১৫ ওভারে আরও একশ রান করল তারা।
৩৬ ওভারে আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২০১ রান। ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি করা টেক্টর অপরাজিত ১০০ রানে। জর্জ ডকরেল খেলছেন ২১ রানে। দুজনের জুটিতে এসেছে ৩৩ রান।
দ্রুত রান তোলার কাজটা দারুণভাবে করছেন হ্যারি টেক্টর ও জর্জ ডকরেল। এরই মধ্যে স্রেফ ৩৮ বলে জুটির পঞ্চাশ রান পূরণ করে ফেলেছেন দুজন।
৩৭তম ওভারে তাইজুল ইসলামের বলে জোড়া ছক্কা মেরেছেন টেক্টর। পরের ওভারে শরিফুল ইসলামকে পরপর দুই ছক্কায় উড়িয়েছেন ডকরেল। ওই ওভারের শেষ বলও একই ঠিকানায় পাঠিয়েছেন আইরিশ অলরাউন্ডার।
মারকুটে ব্যাটিংয়ে আগের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস (১১৩) ছাড়িয়ে গেছেন টেক্টর। ডকরেল পূরণ করেছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১ হাজার রান।
৩৮ ওভারে আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৪১ রান। টেক্টর ১০০ বলে ১১৬ ও ডকরেল ২৬ বলে ৪২ রানে অপরাজিত।
২ উইকেট পেলেও নিজের কোটার ৯ ওভারে ৮৩ রান খরচ করেছেন শরিফুল।
সাকিব আল হাসানের লেগ স্টাম্পের ওপর করা ডেলিভারি দারুণ শটে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে ছক্কায় ওড়ালেন হ্যারি টেক্টর। গড়লেন দারুণ এক রেকর্ড। আয়ারল্যান্ডের হয়ে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ছয়ের মালিক এখন তিনি।
আইরিশদের ইনিংসের ৪০ ওভারের মধ্যে স্রেফ ১০৮ বলে ১৩১ রান করার পথে ৭ চারের সঙ্গে ৯টি ছক্কা মেরেছেন টেক্টর।
তিনি ভেঙেছেন অ্যান্ড্রু বালবার্নির রেকর্ড। ২০১৯ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১৪৫ রানের অপরাজিত ইনিংসে ৮টি ছক্কা মেরেছিলেন আয়ারল্যান্ডের বর্তমান অধিনায়ক।
নতুন রেকর্ড গড়ার পথে তাইজুল ইসলামকে সর্বোচ্চ ৫টি ছক্কা মেরেছেন টেক্টর। তার কাছে ৩টি ছক্কা হজম করেছেন শরিফুল। অন্যটি সাকিব।
৪০ ওভারে আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৬৩ রান। ডকরেল অপরাজিত ৪৯ রানে।
আয়ারল্যান্ডের ইনিংসের ৪০তম ওভার শেষে প্রথমবার বোলিংয়ের ডাক পেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার ওভারের দ্বিতীয় বলে দুই রান নিয়ে নিজের ফিফটি পূরণ করলেন জর্জ ডকরেল।
শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকা আইরিশ অলরাউন্ডার পঞ্চাশ ছুঁতে খেলেছেন স্রেফ ৩১ বল। ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটিতে ২ চারের সঙ্গে মেরেছেন ৪টি বিশাল ছক্কা। এই ইনিংসে ওয়ানডেতে ১ হাজার রানও পূরণ করেছেন তিনি।
ফিফটি ছোঁয়ার পরের বলে এক রান নিয়ে হ্যারি টেক্টরের সঙ্গে জুটিতে একশ রান পূর্ণ করেছেন ডকরেল। স্রেফ ৫৯ বলে এই রান করেছেন দুই ব্যাটসম্যান। যেখানে টেক্টরের অবদান ৪৪ রান, ডকরেল করেছেন ৫২।
৪১ ওভারে আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৭১ রান। ডকরেল ৫৫ ও টেক্টর ১৩৩ রানে অপরাজিত।
আগের বলে বিশাল ছক্কায় বল হারালেন হ্যারি টেক্টর। পরের বলেই প্রতিশোধ নিয়ে নিলেন ইবাদত হোসেন। দারুণ গতিময় ডেলিভারিতে বোল্ড করে ড্রেসিং রুমে ফেরত পাঠালেন সেঞ্চুরিয়ান টেক্টরকে।
সপ্তম ওভারে স্রেফ ১৬ রানে ২ উইকেটের পতনে ক্রিজে গিয়ে ৪২তম ওভারের শেষ বলে ফিরেছেন টেক্টর। মাঝের সময়ে বাংলাদেশের বোলার-ফিল্ডারদের হতাশায় ডুবিয়ে করেছেন ১৪০ রান। ১১৩ বলের ইনিংসে সাজিয়েছেন ৭ চার ও ১০ ছয়ে।
যা বাংলাদেশের বিপক্ষে আয়ারল্যান্ডের কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। একইসঙ্গে আয়ারল্যান্ডের হয়ে এক ম্যাচের সর্বোচ্চ ছয়ের রেকর্ডও গড়েছেন টেক্টর।
তার সেঞ্চুরির সঙ্গে জর্জ ডকরেলের ঝড়ে তিনশ রানের সম্ভাবনা জাগিয়েছে আয়ারল্যান্ড। ৪৩ ওভারে তাদের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৮৭ রান। ডকরেল ৪১ বলে ৬১ রানে অপরাজিত।
সেঞ্চুরি করা হ্যারি টেক্টরের পর ঝড় তোলা জর্জ ডকরেলকে ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেটি নিতে পারেননি সাকিব আল হাসান।
মেহেদী হাসান মিরাজের করা ৪৩তম ওভারে ৫৯ রানের মাথায় জীবন পেয়েছেন জর্জ ডকরেল।
অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ ডেলিভারি কভারের ওপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন ডকরেল। বল চলে যায় সোজা সাকিবের হাতে। কিন্তু সেটি রাখতে পারেননি তারকা অলরাউন্ডার।
শুরুতে দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দেন হাসান মাহমুদ। কিন্তু এই উচ্ছ্বাস বেশিক্ষণ টেকেনি। প্রথমে হ্যারি টেক্টর ও পরে জর্জ ডকরেলের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের সামনে কোনো জবাবই খুঁজে পাননি বাংলাদেশের বোলাররা।
বৃষ্টির কারণে ৪৫ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ৬ উইকেটে ৩১৯ রান করেছে আয়ারল্যান্ড। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে টেক্টর করেছেন ১৪০ রান। ডকরেল অপরাজিত থেকেছেন ৭৪ রানে। তারও এটি ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।
দুই ওপেনারকে হারানোর পর অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবার্নিকে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে ৯৮ রান যোগ করেন টেক্টর। ৫৭ বলে ৪২ রান করে ফেরেন বালবার্নি। তবে একপ্রান্ত ধরে রেখে এগোতে থাকেন টেক্টর।
লরকান টাকার ও কার্টিস ক্যাম্পার বেশি কিছু করতে পারেননি। ৩১তম ওভারে ষষ্ঠ উইকেটে জুটি বাধেন টেক্টর ও ডকরেল। যার সমাপ্তি ঘটে ৪২তম ওভারে। মাঝের ৬৮ বলে ১১৫ রান যোগ করেন দুজন।
৭ চারের সঙ্গে আয়ারল্যান্ডের পক্ষে এক ইনিংসে রেকর্ড ১০ ছক্কায় ১১৩ বলে ১৪০ রান করেন টেক্টর। স্রেফ ৯৩ বলে পূরণ করেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি।
টেক্টর ফেরার পর মার্ক অ্যাডায়ারের সঙ্গে শেষের ১৮ বলে আরও ৩৭ রান যোগ করেন ডকরেল। ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটিতে ৪৭ বলে ৭৪ রান করেন তিনি। ৩ চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কা মারেন তিনি। ২ ছয়ে ৮ বলে ২০ রান করেন অ্যাডায়ার।
পুরো ইনিংসে ১৬টি ছক্কা মেরেছে আয়ারল্যান্ড। ওয়ানডেতে এক ম্যাচে তাদের সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড এটি। ২০১৮ সালে স্কটল্যান্ড ও ২০২২ সালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ১১টি করে ছক্কা মেরেছিল তারা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আয়ারল্যান্ড: ৪৫ ওভারে ৩১৯/৬ (ডোহেনি ১২, স্টার্লিং ০, বালবার্নি ৪২, টেক্টর ১৪০, টাকার ১৬, ক্যাম্পার ৮, ডকরেল ৭৪*, অ্যাডায়ার ২০*; হাসান ৯-০-৪৮-২, শরিফুল ৯-০-৮৩-২, ইবাদত ৯-১-৫৬-১, সাকিব ৯-০-৫৭-০, তাইজুল ৭-০-৫৯-১, মিরাজ ২-০-১৩-০)
বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই কঠিন পরীক্ষায় পড়লেন তামিম ইকবাল। তবে অল্পের জন্য এলবিডব্লিউর হাত থেকে বেঁচে গেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
মার্ক অ্যাডায়ারের করার দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বল অন সাইডে ফ্লিক খেলার চেষ্টা করেন তামিম। কিন্তু ব্যাটে লাগাতে পারেননি। বল আঘাত হানে প্যাডে। আইরিশদের জোরাল আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার।
কিছুক্ষণ ভেবে রিভিউ নেন আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবার্নি। রিপ্লেতে দেখা যায়, বলের পিচিং ও ইমপ্যাক্ট ঠিক লাইনে থাকলেও অল্পের জন্য চলে যেত স্টাম্পের ওপর দিয়ে। ফলে বেঁচে যান তামিম।
২ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ কোনো উইকেট না হারিয়ে ৭ রান। তামিম ৬ ও লিটন দাস ১ রানে খেলছেন।
রান তাড়ায় শুরুতেই অধিনায়ককে হারাল বাংলাদেশ। দলীয় স্কোর দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই ড্রেসিং রুমে ফিরলেন তামিম ইকবাল।
চতুর্থ ওভারে মার্ক অ্যাডায়ারের পায়ের ওপরে করা ডেলিভারি ফ্লিক করেন তামিম। কিন্তু ফাঁকায় যাওয়ার বদলে বল চলে যায় সোজা ফরোয়ার্ড স্কয়ার লেগে দাঁড়ানো জর্জ ডকরেলের হাতে।
এই ডেলিভারিতে এমন ক্যাচ পাবেন তা হয়তো ভাবেননি ডকরেল। ক্যাচ নেওয়ার পর অবিশ্বাসের এক অভিব্যক্তিই দেন তিনি।
১৩ বলে ৭ রান করেছেন তামিম।
৫ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১৫ রান। লিটন দাস খেলছেন ৭ রানে। নতুন ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত।
প্রথম পাওয়ার প্লের ৯ ওভারে অধিনায়কের উইকেট হারিয়ে ৪০ রান করেছে বাংলাদেশ। শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার অভিযানে লড়ছেন আরেক ওপেনার লিটন কুমার দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত।
চতুর্থ ওভারে মার্ক অ্যাডায়ারের বলে ফ্লিক করতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন তামিম। এরপর পাওয়ার প্লেতে আর বিপদ ঘটতে দেননি লিটন ও শান্ত। দুজন মিলে ৩৩ বলে যোগ করেছেন ৩১ রান।
ম্যাচের বাকি ৩৬ ওভারে প্রয়োজন আরও ২৮০ রান। লিটন ২০ বলে ২১ ও শান্ত ২১ বলে ১০ অপরাজিত।
পাওয়ার প্লে শেষ না হতেই তা দলের উপর চাপ বাড়ালেন আরেক ওপেনার লিটন কুমার দাস। আলগা শটে এই ওপেনার বিলিয়ে এলেন নিজের উইকেট।
গ্রাহাম হিউমের অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের ডেলিভারি জায়গায় দাঁড়িয়ে ড্রাইভ করতে গিয়ে কট বিহাইন্ড হন লিটন। ২ চার ও ১ ছয়ে ২১ বলে ২১ রান করেন স্টাইলিশ ওপেনার।
১০ ওভারে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৪৬ রান।
নাজমুল হোসেন শান্ত ১০ রানে অপরাজিত। নতুন ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই বড় শটে খোঁজে ছটফট করছিলেন সাকিব আল হাসান। একাদশ ওভারের শেষ বলে পেয়ে গেলেন সেটি। তার পুল করে মারা বাউন্ডারিতে পঞ্চাশ স্পর্শ করল বাংলাদেশ।
মার্ক অ্যাডায়ারের ওই ওভারে পরপর চারটি বল ব্যাট চালিয়ে রান পাননি সাকিব। খাটো লেংথের শেষ বলটি দারুণ পুল শটে পাঠিয়ে দেন ডিপ স্কয়ার লেগ বাউন্ডারিতে। এর আগে গ্রাহাম হিউমকে কভার ড্রাইভে নিজের প্রথম চার মারেন তিনি।
১১ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৫১ রান। নাজমুল হোসেন শান্ত ২১ ও সাকিব ৮ রানে খেলছেন।
দুই ওপেনারকে হারানোর চাপ সামাল দিতে পাল্টা আক্রমণের পথ বেছে নিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাকিব আল হাসান। এরই মধ্যে স্রেফ ৩৯ বলে গড়ে ফেলেছেন পঞ্চাশ রানের জুটি।
দশম ওভারে ৪০ রানের মাথায় লিটন কুমার দাসের বিদায়ের পর জুটি বাধেন সাকিব ও শান্ত। শুরু থেকেই চালিয়ে খেলতে থাকেন সাকিব। কিছুটা সময় নিয়ে একই পথ ধরেন শান্ত।
গ্রাহাম হিউমের এক ওভারে জোড়া চারের পর পরের ওভারে চার ও ছয় মারেন তরুণ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। সাকিবও খুঁজে নেন রানের চাকা সচল রাখার পথ। অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনের ওভারে পরপর তিনটি চার মারেন তিনি।
১৬ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৯৮ রান। শান্ত ৩৮ বলে ৪০ ও সাকিব ২৪ বলে ২৬ রানে খেলছেন।
নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাকিব আল হাসানের দারুণ ব্যাটিংয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দিচ্ছিল বাংলাদেশ। ঠিক তখনই এলো বড় ধাক্কা। দলের একশ রান পূর্ণ করেই ড্রেসিং রুমের পথ ধরলেন সাকিব।
কার্টিস ক্যাম্পারের করা ১৭তম ওভারের শেষ বলে পয়েন্টে দাঁড়ানো জর্জ ডকরেলকে যেন ক্যাচিং অনুশীলনই করালেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। অফ স্টাম্পের বাইরের বল ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন তিনি।
৫ চারে ২৭ বলে ২৬ রান করেছেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার।
দুই ওপেনারকে হারানোর পর পঞ্চাশ রান করতে ১১ ওভার লেগেছিল বাংলাদেশের। সেখান থেকে ৬ ওভারের মধ্যেই আরও ৫০ রান করে তারা। কিন্তু সাকিবের বিদায়ে ফের চাপে সফরকারীরা।
১৮ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১০৪ রান। ফিফটির সম্ভাবনা জাগিয়ে ৪৫ রানে ব্যাট করছেন শান্ত। নতুন ব্যাটসম্যান তাওহিদ হৃদয়।
শুরুতেই অধিনায়ক তামিম ইকবালের বিদায়ের পর ক্রিজে গিয়ে থিতু হতে কিছুটা সময় নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সেট হয়ে যাওয়ার পর হাত খুলে খেলে করলেন দারুণ এক ফিফটি।
দেখেশুনে খেলে প্রথম ২৬ বলে স্রেফ ১৩ রান করেন বাঁহাতি টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যান। পরের ৩৭ রান করতে নেন স্রেফ ২৩ বল। ৬ চারের সঙ্গে ১ ছয়ে ছুঁয়েছেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি। চারটি ফিফটিই চলতি বছর করলেন তিনি।
২১ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১২৬ রান। শান্ত ৫৩ ও তাওহিদ হৃদয় ১৫ রানে অপরাজিত।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোর চাপ সামাল দিয়ে দলের চাহিদা অনুযায়ী ব্যাটিং করছেন দুই তরুণ নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহিদ হৃদয়। এরই মধ্যে দুজন মিলে গড়েছেন পঞ্চাশ রানের জুটি।
একশ পেরোনোর পর ক্রিজে গিয়ে সপ্তম বলে প্রথম বাউন্ডারি মেরেছেন হৃদয়। অন্য প্রান্তে শান্তও খেলছেন সাবলীলভাবে। ব্যক্তিগত ফিফটি ছুঁয়ে জশুয়া লিটলকে জোড়া চারের পর মেরেছেন দারুণ এক ছক্কা।
স্রেফ ৪০ বলে এসেছে হৃদয়-শান্তর জুটির পঞ্চাশ। নিজের আগের সর্বোচ্চ ৭৩ ছাড়িয়ে গেছেন শান্ত। ৬৬ বলে ৭৯ রানে অপরাজিত তিনি। হৃদয় খেলছেন ২৩ বলে ২৪ রানে।
২৫ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৬২ রান। শেষের ২০ ওভারে করতে হবে আরও ১৫৮ রান।
গ্রাহাম হিউমের পায়ের ওপর করা ডেলিভারি দারুণ ফ্লিক শটে ছক্কা মারলেন তাওহিদ হৃদয়। এনে দিলেন বাংলাদেশের দুইশ ও নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে জুটির একশ রান।
স্রেফ ৮০ বলে ১০০ রান করেছেন দুই তরুণ ব্যাটসম্যান। যেখানে হৃদয়ের অবদান ৪৬ রান, শান্ত করেছেন ৫১।
দুজনের জুটিতে ৩১তম ওভারেই দুইশ রান করে ফেলেছে বাংলাদেশ। প্রথম একশ রান করতে লেগেছিল ৯৮ বল। পরেরটি এলো স্রেফ ৮৪ বলে।
৩১ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২০৬ রান। দারুণ ব্যাটিংয়ে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন হৃদয়। সেঞ্চুরির অপেক্ষায় থাকা শান্ত ৯৫ রানে অপরাজিত।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারের শুরুটা দারুণ করলেন তাওহিদ হৃদয়। চার ইনিংসের মধ্যে করে ফেললেন দুইটি ফিফটি। অন্য আরেক ইনিংসে তিনি খেলেন ৪৯ রানের ইনিংস।
ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি ছুঁতে হৃদয় খেলেছেন ৪৯ বল। ৩ চারের সঙ্গে মেরেছেন ২টি ছক্কা।
সাকিব আল হাসানের বিদায়ের পর ক্রিজে গিয়ে শুরু থেকেই ভয়ডরহীন ব্যাটিং করছেন হৃদয়। নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে গড়েছেন দারুণ এক জুটি।
৩২ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২১৪ রান। বাকি ১৩ ওভারে প্রয়োজন আরও ১০৬ রান।
সেঞ্চুরির দুয়ারে দাঁড়িয়ে ৯৭ রানে অপরাজিত শান্ত। হৃদয় খেলছেন ৫৬ রানে।
জর্জ ডকরেলের খাটো লেংথের বল সজোরে পুল করলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। অল্পের জন্য হলো না বাউন্ডারি। তবে ব্যাটসম্যান পৌঁছে গেলেন জাদুকরী তিন অঙ্কে। ফেটে পড়লেন উচ্ছ্বসিত গর্জনে, ব্যাটে আঁকলেন উড়ন্ত চুম্বন। ওয়ানডেতে প্রথম সেঞ্চুরি বলে কথা!
ক্যারিয়ারের ২৩তম ওয়ানডেতে প্রথমবার তিন অঙ্কের উষ্ণ ছোঁয়া পেলেন ২৪ বছর বয়সী বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। স্রেফ ৮৩ বলে ১১ চার ও ২ ছয়ে এই মাইলফলক ছুঁলেন তিনি।
ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করা বাংলাদেশের ১৮তম ব্যাটসম্যান তিনি।
জর্জ ডকরেলের বল পুল করেই নিজের ভুল বুঝতে পারলেন তাওহিদ হৃদয়। ব্যাট দিয়ে মাটিতে আঘাত করার ভঙ্গিতে প্রকাশ করলেন নিজের হতাশা। কার্টিস ক্যাম্পারের হাতে বল জমা পড়ার আগেই ক্রিজ ছেড়ে হাঁটা ধরলেন ড্রেসিং রুমের পথে।
অসাধারণ ব্যাটিংয়ে দারুণ ফিফটির পর আউট হলেন তরুণ ব্যাটসম্যান। ৫ চার ও ৩ ছয়ে করলেন ৫৮ বলে ৬৮ রান।
তার বিদায়ের ভাঙল নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে ১০২ বলে গড়া ১৩১ রানের জুটি।
৩৪ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২৩৪ রান। জয়ের জন্য ৬৬ বলে প্রয়োজন আরও ৮৮ রান। শান্ত অপরাজিত ১০৩ রানে। নতুন ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম।
আগের বলে বোলারের মাথার ওপর দিয়ে দারুণ ছক্কা মারলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। পরের বলে আবারও একই লক্ষ্যে পেলেন না সাফল্য। ধরা পড়ে গেলেন ডিপ স্কয়ার লেগে।
চতুর্থ ওভারে উইকেটে গিয়ে ৩৭তম ওভারে ফিরেছেন তরুণ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। মাঝের সময়ে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে খেলেছেন ১১৭ রানের ইনিংস। ৯৩ বলে ১২টি চারের সঙ্গে ৩টি ছক্কা মেরেছেন তিনি।
শান্তর বিদায়ে উইকেটে এখন শেষ স্বীকৃত ব্যাটিং জুটি মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। জয়ের জন্য দুজনকে শেষের ৮ ওভারে করতে হবে আরও ৬৩ রান।
৩৭ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৫৭ রান।
ভালো শুরুর পর 'আম্পায়ার্স কলে' থামল মেহেদী হাসান মিরাজের ইনিংস। রিভিউ নিয়েও নিজের উইকেট বাঁচাতে পারেননি সাত নম্বরে নামা ব্যাটসম্যান।
৪০তম ওভারের চতুর্থ বলটি জোরের ওপর করা আর্ম ডেলিভারি করেন জর্জ ডকরেল। ব্যাক ফুটে খেলার চেষ্টায় ব্যর্থ হন মিরাজ। বল তার প্যাডে আঘাত করলে জোরালো আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার।
নিজের সংশয় থেকে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে কথা বলে রিভিউ নেন মিরাজ। রিপ্লেতে দেখা যায়, লেগ স্টাম্পে হালকা ছুঁয়ে যেত ওই বল। ফলে আম্পায়ার্স কলের কারণে ফিরতে হয় মিরাজকে।
৩ চারে ১২ বলে ১৯ রান করেছেন মিরাজ।
তার বিদায়ে রান তাড়ায় কিছুটা চাপে পড়ে গেল বাংলাদেশ। কারণ মুশফিকের সঙ্গে এখন আর কোনো স্বীকৃত ব্যাটসম্যান নেই। নিচের সারির ব্যাটসম্যানদের নিয়ে শেষ ৫ ওভারে ৩৪ রান করতে হবে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানকে।
৪০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৮৬ রান। ১৯ রানে খেলছেন মুশফিক।
মেহেদী হাসান মিরাজ ফেরার পর মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে জুটি বাধেন তাইজুল ইসলাম। তবে বেশিক্ষণ থাকতে পারলেন না বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
জয়ের জন্য ১১ রান বাকি থাকতে ড্রেসিং রুমে ফিরলেন তাইজুল। জশ লিটলের লো ফুল টস ডেলিভারি অন সাইডে খেলতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হয়েছেন তিনি। ফেরার আগে ১৩ বলে করেছেন ৯ রান।
তাইজুলের বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম বলেই চার মেরেছেন শরিফুল ইসলাম। শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ৫ রান। স্ট্রাইকে ৩৩ রানে অপরাজিত থাকা মুশফিকুর রহিম।
মার্ক অ্যাডায়ারের বাউন্সার অফ স্টাম্পের দিকে সরে কিপারের মাথার ওপর দিয়ে স্কুপ করে দিলেন মুশফিকুর রহিম। বল চলে গেল থার্ড ম্যান সীমানায়। বাংলাদেশ পেল দারুণ এক জয়।
চেমসফোর্ডে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় ৩ উইকেটে। বৃষ্টির কারণে ৪৫ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ৩২০ রানের লক্ষ্য ৩ বল বাকি থাকতেই ছুঁয়ে ফেলেছে তারা।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়। সব মিলিয়ে এটি থাকছে দুই নম্বরে। ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩২২ রান তাড়া করে জিতেছিল বাংলাদেশ।
ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের দেড়শতম জয় এটি। ৪১১ ম্যাচ খেলে এই মাইলফলক ছুঁয়েছে তারা। বিপরীতে হেরেছে ২৫২ ম্যাচ। ফল আসেনি বাকি ৯টিতে।
দারুণ এই জয়ের মূল কারিগর নাজমুল হোসেন শান্ত। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে স্রেফ ৯৩ বলে করেছেন ১১৭ রান। ৮৩ বলে তিন অঙ্ক ছোঁয়া ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছেন ১২ চার ও ৩ ছয়ে।
শান্তকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন পাঁচ নম্বরে নামা তাওহিদ হৃদয়। দুজন মিলে স্রেফ ১০২ বলে গড়েছেন ১৩১ রানের জুটি। ক্যারিয়ারের চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করতে নামা হৃদয় করেছেন ৫৮ বলে ৬৮ রান। ৫ চারের সঙ্গে ৩টি বিশাল ছক্কা মেরেছেন তিনি।
শেষ দিকে দায়িত্ব নিয়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন মুশফিক। ৪টি চারে ২৮ বলে ৩৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।
বাংলাদেশের দেড়শতম জয়ের দিন বিফলে গেছে হ্যারি টেক্টরের রেকর্ড গড়া ১৪০ রানের ইনিংস। এ নিয়ে ক্যারিয়ারের চার সেঞ্চুরির সবকয়টিতেই পরাজিত দলে রইলেন ২৩ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আয়ারল্যান্ড: ৪৫ ওভারে ৩১৯/৬ (ডোহেনি ১২, স্টার্লিং ০, বালবার্নি ৪২, টেক্টর ১৪০, টাকার ১৬, ক্যাম্পার ৮, ডকরেল ৭৪*, অ্যাডায়ার ২০*; হাসান ৯-০-৪৮-২, শরিফুল ৯-০-৮৩-২, ইবাদত ৯-১-৫৬-১, সাকিব ৯-০-৫৭-০, তাইজুল ৭-০-৫৯-১, মিরাজ ২-০-১৩-০)
বাংলাদেশ: ৪৪.৩ ওভারে ৩২০/৭ (তামিম ৭, লিটন ২১, শান্ত ১১৭, সাকিব ২৬, হৃদয় ৬৮, মুশফিক ৩৬*, মিরাজ ১৯, তাইজুল ৯, শরিফুল ৪*; লিটল ৯-০-৬৩-১, অ্যাডায়ার ৮.৩-১-৫২-১, হিউম ৬-০-৫৭-১, ম্যাকব্রাইন ৭-০-৪৯-০, ক্যাম্পার ৫-০-৩৭-২, ডকরেল ৯-০-৫৮-২)
ফল: বাংলাদেশ ৩ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: তিন ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশ ১-০তে এগিয়ে
জয়ের জন্য বাকি ১৫ বলে ১৭ রান, হাতে ৬ উইকেট। ধারাভাষ্য কক্ষে আলোচনায় ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ৩ বলে ২ রান নিতে পারার ঘটনা। সেদিন জেতাতে পারেননি মুশফিকুর রহিম। সে কথা মনে করিয়ে দিচ্ছিলেন ধারাভাষ্যকাররা।
তবে এদিন কোনো ভুল করেননি মুশফিক। শেষ দিকে মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলামরা ফিরে গেলেও দলকে কক্ষ্যচুত হতে দেননি তিনি। দায়িত্ব নিয়ে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।
নাজমুল হোসেন শান্তর বিদায়ের সময় জয়ের জন্য ৬৩ রান বাকি ছিল বাংলাদেশের। মিরাজের সঙ্গে ২৯ ও তাইজুলের সঙ্গে ২৩ রানের জুটিতে মুশফিক দলকে এগিয়ে নেন জয়ের পথে। পরে শরিফুল ইসলামকে নিয়ে সারেন বাকি কাজ।
শেষ ওভারে ৫ রানের সমীকরণে প্রথম দুই বল ডট করেন মার্ক অ্যাডায়ার। পরের বলে প্রায় বুক উচ্চতার ডেলিভারি পুল করে ডিপ স্কয়ার লেগে ধরা পড়েন মুশফিক। তবে রিপ্লে দেখে সেটিকে 'নো' ডাকেন আম্পায়াররা।
ফ্রি হিট পেয়ে স্কুপ করে বাউন্ডারি মারেন মুশফিক। নিশ্চিত করেন বাংলাদেশের জয়।
গত মার্চে ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে মুশফিককে ৬ নম্বরে নামানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। শেষ দিকে অভিজ্ঞ কাউকে পাওয়ার জন্যই নেওয়া হয় এমন সিদ্ধান্ত। এই ম্যাচে সেটির কার্যকরিতাই যেন দেখালেন মুশফিক।