৫ উইকেটে ৫৫ রানে মিরপুর টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছে নিউ জিল্যান্ড।
Published : 06 Dec 2023, 08:11 AM
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১৭২
নিউ জিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ১২.৪ ওভারে ৫৫/৫
সিলেটে দারুণ জয়ের পর এবার হোম অব ক্রিকেটে আরও বড় সাফল্য হাতছানি দিয়ে ডাকছে বাংলাদেশ দলকে। মিরপুরে দ্বিতীয় ম্যাচে পরাজয় এড়াতে পারলেই প্রথমবারের মতো নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতবেন নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিমরা।
মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায়। উইকেটের আচরণ নিয়ে কিছুটা সংশয়ে বাংলাদেশ দল। তবে এই মাঠে দীর্ঘ দিন খেলার অভিজ্ঞতা এগিয়েই রাখবে স্বাগতিকদের।
ম্যাচে রয়েছে বৃষ্টির শঙ্কা। ঘূর্ণিঝড় মিগযাউমের প্রভাবে প্রথম দিন দুপুর থেকেই আছে বৃষ্টির পূর্ভাবাস। এছাড়া অন্যান্য দিনগুলোতেও বাগড়া বাধাতে পারে বিরূপ প্রকৃতি। শীতের প্রভাব পড়তে শুরু করায় বিকেলের সেশনে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত খেলা হওয়া নিয়েও থাকবে সংশয়।
আরও একবার কয়েনভাগ্য পাশে পেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সিলেটের মতো মিরপুরেও টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
ঘূর্ণিঝড় মিগযাউমের প্রভাবে সকাল থেকেই মেঘাচ্ছন্ন মিরপুরের আকাশ। দিনের পরের অংশে আছে বৃষ্টির পূর্বাভাস।
এমন কন্ডিশনে শুরুর দিকের আর্দ্রতা বাড়তি সাহায্য করতে পারে পেসারদের। তাই শুরুর দিকের চ্যালেঞ্জটা উতরাতে হবে বাংলাদেশের টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যানদের।
সিলেটে স্মরণীয় জয় এনে দেওয়া একাদশেই আস্থা রেখেছে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের দলে নেই কোনো পরিবর্তন। ম্যাচের আগের দিন আঙুলে চোট পেলেও টিকে গেছেন নাঈম হাসান।
বাংলাদেশ একাদশ: মাহমুদুল হাসান জয়, জাকির হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, শাহাদাত হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, নুরুল হাসান সোহান (উইকেটরক্ষক), তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, শরিফুল ইসলাম।
সিলেটে হেরে যাওয়া নিউ জিল্যান্ড একটি পরিবর্তন এনেছে একাদশে। লেগ স্পিনার ইশ সোধির বদলে তারা ফিরিয়েছে বাঁহাতি স্পিনার মিচেল স্যান্টারকে।
নিউ জিল্যান্ড একাদশ: টম ল্যাথাম, ডেভন কনওয়ে, কেন উইলিয়ামসন, হেনরি নিকোলস, ড্যারিল মিচেল, মিচেল স্যান্টনার, টম ব্লান্ডেল (উইকেটরক্ষক), গ্লেন ফিলিপস, কাইল জেমিসন, টিম সাউদি (অধিনায়ক), এজাজ প্যাটেল।
পিচ রিপোর্টে এইচডি আকারম্যান বলেছেন, "কিছুটা আর্দ্রতা থাকায় শুরুতে সাহায্য পাবেন পেসাররা। স্পিনারদের বল গ্রিপ করলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। উইকেটে সবুজ ঘাসের ছোঁয়া দেখে রোমাঞ্চিত হওয়া যাবে না। অনেক কাঁটা ঘাস ছিটিয়ে রোল করা হয়েছে। পরে ব্যাটিং করলেও সমস্যা নেই। তবে এটি নিশ্চিত করতে হবে, চতুর্থ ইনিংসে লক্ষ্যটা যেন বেশ ছোট থাকে। কারণ এই উইকেট সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে খারাপ হতে থাকবে।"
দিনের শুরুতেই মাঠে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে ফ্লাডলাইট। ঘূর্ণিঝড় মিগযাউমের প্রভাবে সকাল থেকেই মেঘাচ্ছন্ন আকাশ। মাঠের আলো কমতে থাকায় ব্যবস্থা করা হয়েছে কৃত্রিম আলোর।
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নামা নিউ জিল্যান্ডের পক্ষে নতুন বলে মুভমেন্ট পেয়েছেন দুই পেসার টিম সাউদি ও কাইল জেমিসন। মাহমুদুল হাসান জয়কে কঠিন পরীক্ষায়ই ফেলেছেন কিউই অধিনায়ক।
এর মাঝেই ষষ্ঠ ওভারে তারা আক্রমণে এনেছে বাঁহাতি স্পিনার এজাজ প্যাটেলকে। পরের ওভারে অন্য প্রান্তে বল দেওয়া হয়েছে মিচেল স্যান্টনারের হাতে।
শুরু থেকে পেসারদের বিপক্ষে সংগ্রাম করা মাহমুদুল হাসান জয়ের কঠিন পরীক্ষা নিলেন এজাজ প্যাটেল। ঘটনাবহুল ওভারে অন্তত দুইবার অল্পের জন্য বাঁচলেন বাংলাদেশের তরুণ ওপেনার।
ওভারের দ্বিতীয় বলে টার্নের আশায় খেলেন জয়। কিন্তু বল সোজা চলে যাওয়ায় ব্যাটে-বলে করতে পারেননি। প্যাডে লাগলে এলবিডব্লিউর জোরাল আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। কিছুক্ষণ আলোচনার পর রিভিউ নেয়নি নিউ জিল্যান্ড।
রিপ্লেতে দেখা যায়, ওই ডেলিভারির 'উইকেট' ছিল আম্পায়ার্স কল। অর্থাৎ আম্পায়ার আউট দিলে রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারতেন না জয়। তখন ৩ রানে ছিলেন জয়।
একই ওভারের শেষ বলে হালকা ঝুলিয়ে দেওয়া ডেলিভারি কিছুটা এগিয়ে ড্রাইভ করেন জয়। দারুণ ক্ষিপ্রতায় বল ধরেই থ্রো করে বসেন শর্ট লেগের ফিল্ডার। কিন্তু সরাসরি স্টাম্পে লাগাতে পারেননি। তাই অল্পের জন্য রান আউট থেকে বেঁচে যান জয়।
অহেতুক শটে উইকেট বিলিয়ে এলেন জাকির হাসান। মিচেল স্যান্টনারের গতি কমিয়ে কিছুটা টেনে করা ডেলিভারি ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে খেলার চেষ্টা করেন জাকির। বল তার ব্যাটের ওপরের কানায় লেগে উঠে যায় আকাশে। মিড অনে সহজ ক্যাচ নেন কেন উইলিয়ামসন।
২৪ বলে ৮ রান করে ফিরেছেন জাকির। তিন নম্বরে নেমেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
১১ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ২৯ রান। মাহমুদুল হাসান জয় অপরাজিত ১৪ রানে।
মাহমুদুল হাসান জয়ের অস্বস্তিকর ইনিংসের সমাপ্তি ঘটালেন এজাজ প্যাটেল। পরপর দুই ওভারে দুই ওপেনারকে হারিয়ে বিপদে পড়ে গেল বাংলাদেশ।
এজাজে স্টাম্পের ওপর ডেলিভারি অনেকটা আলসেভাবে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলার চেষ্টা করেন জয়। কিন্তু ড্রিফটে পরাস্ত হন তিনি। ব্যাটের ভেতরের কানা ছুঁয়ে বল যায় শর্ট লেগে, সেখানে কোনো ভুল করেননি টম ল্যাথাম।
২ চারে ৪০ বলে ১৪ রান করেছেন জয়। উইকেটে খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্যে দেখা যায়নি তাকে। শুরুতে টিম সাউদি ও কাইল জেমিসনের বিপক্ষে ভুগেছেন তিনি। পরে স্পিনাররা আক্রমণে আসার পর আরও বাড়ে তার অস্বস্তি। শেষ পর্যন্ত থেমেছেন এজাজের ওভারে।
১২ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ২৯ রান। ক্রিজে দুই নতুন ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা তেমন ভালো হয়নি বাংলাদেশের। প্রথম ঘণ্টায় ড্রেসিং রুমে ফিরে গেছেন দুই ওপেনার। পানি বিরতি পর্যন্ত স্বাগতিকদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৩৫ রান।
মেঘাচ্ছন্ন আকাশে নিউ জিল্যান্ডের দুই পেসার টিম সাউদি ও কাইল জেমিসন মিলে করেন স্রেফ প্রথম পাঁচ ওভার। এরপরই দুই প্রান্তে স্পিনার আক্রমণে আনে সফরকারীরা। ফলও পায় হাতেনাতে।
মিচেল স্যান্টনারের করা একাদশ ওভারে অহেতুক শটে উইকেট বিলিয়ে আসেন জাকির হাসান। পরের ওভারে এজাজ প্যাটেলকে উইকেট দেন মাহমুদুল হাসান জয়।
দিনের দ্বিতীয় ঘণ্টায় চাপ সামাল দেওয়ার অভিযানে ব্যাটিংয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক।
পানি বিরতির পর প্রথম ওভারেই ড্রেসিং রুমের পথ ধরলেন মুমিনুল হক। পঞ্চাশের আগে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ।
এজাজ প্যাটেলের অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করা ডেলিভারি পেছনের পায়ে কাট করার চেষ্টা করেন মুমিনুল। কিন্তু নিখুঁত টার্নে ভেতরে ঢুকে যাওয়া বলে কাট করার মতো জায়গা পাননি তিনি। ব্যাটের নিচের কানায় লেগে বল জমা পড়ে উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে।
৫ রান করে এজাজের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরেছেন মুমিনুল। পাঁচ নম্বরে নেমেছেন মুশফিকুর রহিম।
১৪ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৪১ রান। নাজমুল হোসেন শান্ত অপরাজিত ৩ রানে।
দলের বিপদ আরও বাড়িয়ে ফিরলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। মিচেল স্যান্টনারের বলে রিভার্স সুইপ খেলার চেষ্টায় এলবিডব্লিউ হলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। পঞ্চাশের আগে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে স্বাগতিকরা।
অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে রিভার্স সুইপ করলেও ব্যাটে লাগাতে পারেননি শান্ত। প্যাডে লাগতেই জোরাল আবেদন নিউ জিল্যান্ডের ফিল্ডারদের। তাতে সাড়া দেননি আম্পায়ার।
কিছুক্ষণ ভেবে রিভিউ নেন টিম সাউদি। রিপ্লেতে দেখা যায়, বলের পিচিং ও ইমপ্যাক্ট ছিল ভেতরে এবং আঘাত করত স্টাম্পে। তাই বদলে যায় মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত। রিভিউ নিয়ে সফল হয় নিউ জিল্যান্ড।
৯ রান করে ফিরেছেন শান্ত। ছয় নম্বরে নেমেছেন শাহাদাত হোসেন।
১৫ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৪৭ রান। মুশফিকুর রহিম রানের খাতা খোলার অপেক্ষায়।
নাজমুল হোসেন শান্তর বিদায়ের পর একরকম থেমে গিয়েছিল রানের চাকা। এজাজ প্যাটেলের ওভারে জোড়া চার মেরে তা 'সচল' করলেন মুশফিকুর রহিম।
পঞ্চদশ ওভারের শেষ বলে আউট হন শান্ত। এরপর টানা ৪ ওভার মেডেন করেন এজাজ প্যাটেল, মিচেল স্যান্টনার। এজাজের করা বিশতম ওভারের তৃতীয় বলে অন ড্রাইভে চার মেরে ২৭ বলের রান খরা কাটান মুশফিক। একইসঙ্গে পূর্ণ হয় বাংলাদেশের পঞ্চাশ রান।
এক বল পর কভার পয়েন্ট দিয়ে দ্বিতীয় বাউন্ডারি মারেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।
২০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৫৬ রান। মুশফিক ৯ রানে অপরাজিত। রানের খাতা খোলার অপেক্ষায় শাহাদাত হোসেন।
প্রথম সেশনের শেষভাগে প্রতিরোধ গড়লেন মুশফিকুর রহিম ও শাহাদাত হোসেন। পঞ্চাশের আগে ৪ উইকেট পড়ার পর ১৩ ওভারে আর বিপদ ঘটতে দেননি দুই মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান। দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটির সংগ্রহ ৩৩ রান।
মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত ২৮ ওভারে বাংলাদেশ করেছে ৪ উইকেটে ৮০ রান। মুশফিক ১৮, শাহাদাত ১৪ রানে দ্বিতীয় সেশনে খেলা শুরু করবেন।
মেঘাচ্ছন্ন আকাশে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে নিউ জিল্যান্ডের দুই পেসার টিম সাউদি, কাইল জেমিসন মিলে করেন স্রেফ প্রথম পাঁচ ওভার। ষষ্ঠ ওভার থেকে দুই প্রান্তে স্পিনার আক্রমণে আনে সফরকারীরা। ফলও পায় হাতেনাতে।
একাদশ ওভারে মিচেল স্যান্টনারের বলে অহেতুক শটে উইকেট বিলিয়ে দেন জাকির হাসান। পরের ওভারে এজাজ প্যাটেলের বলে আউট হন মাহমুদুল হাসান জয়।
বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মুমিনুল হক, নাজমুল হোসেন শান্তও। রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে শান্ত ফিরলে পঞ্চাশের আগেই ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ।
নতুন বলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে টার্ন পান স্যান্টনার ও এজাজ। প্রায় নিয়মিতই দেখা গেছে অসম বাউন্স। প্রথম দিনের প্রথম সেশনেই ব্যাটসম্যানের আশপাশে তৈরি হয়েছে বুটের ছোট ছোট ক্ষত।
ম্যাচ যত সামনে এগোবে ততোই বাড়তে পারে স্পিনারদের সুবিধা। তাই প্রথম ইনিংসের সংগ্রহ গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে এই ম্যাচ। আর এজন্য পঞ্চম উইকেট জুটিতে বড় কিছু করতে হবে মুশফিক ও শাহাদাতকে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আগেই ছিল বৃষ্টির শঙ্কা। মধ্যাহ্ন বিরতিতে এরই ছাপ পড়ল মাঠে। ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি পড়তে দেখে চট দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে উইকেট। স্টাম্পের কাছেই দাঁড়িয়ে পর্যবেক্ষণ করছেন ম্যাচের চতুর্থ আম্পায়ার তানভির আহমেদ।
মিনিট পাঁচেক পরেই অবশ্য সরিয়ে নেওয়া হয় চট।
মধ্যাহ্ন বিরতির পর পেস দিয়ে শুরু করল নিউ জিল্যান্ড। প্রথম সেশনে নতুন বলে স্রেফ ৫ ওভার পর স্পিন দিয়ে আক্রমণ চালায় তারা। টানা ২৩ ওভার বোলিং করেন তিন স্পিনার এজাজ প্যাটেল, মিচেল স্যান্টনার ও গ্লেন ফিলিপস।
প্রথম সেশনের মতো দ্বিতীয় সেশনেও প্রথম ওভার করেন টিম সাউদি। ওভারের দ্বিতীয় বল রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলেন মুশফিকুর রহিম। বল চলে যাচ্ছিল স্টাম্পের দিকে। হাত দিয়ে সরানোর চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু তার হাতে লাগেনি। অন্যথায় 'অবস্ট্রাক্টিং দা ফিল্ড' আউটের আবেদন করতে পারত নিউ জিল্যান্ড।
মেডেন ওভারে সেশন শুরু করেন সাউদি। অন্য প্রান্তে পরের ওভার করেন এজাজ।
বল পুরোনো হওয়ার সাথে খেলাটা একটু সহজ হয়ে আসছে। তবে এখনও যথেষ্ট সহায়তা পাচ্ছেন বোলাররা। আঁটসাঁট বোলিংয়ে রানের পথ যতটা সম্ভব কঠিন করে তুলছেন তারা।
একদমই ঝুঁকি নিচ্ছেন না মুশফিকুর রহিম ও শাহাদাত হোসেন। খেলছেন একের পর এক ডট বল। রক্ষণাত্মক ব্যাটিংয়ে ধীরে বাড়াচ্ছেন রান।
মধ্যাহ্ন-বিরতির পর প্রথম ৮ ওভারে কেবল ৭ রান যোগ করেছেন মুশফিক ও শাহাদাত।
৩৬ ওভারে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ৮৭।
এজাজ প্যাটেলের বলে প্রিয় স্লগ সুইপে ছক্কা মারলেন মুশফিকুর রহিম। ম্যাচের প্রথম ছক্কা! স্ট্রাইক পাওয়ার পর ওভারের শেষ বলে ২ রান নিলেন শাহাদাত হোসেন। দেশের সফলতম টেস্ট ব্যাটসম্যানের সঙ্গে তার জুটি স্পর্শ করল পঞ্চাশ।
ক্যারিয়ারের দুই প্রান্তে থাকা দুই ব্যাটসম্যানের জুটিতে পঞ্চাশ এসেছে ১৩৮ বলে। সেখানে শাহাদাতের অবদান ৬৮ বল ২১। অভিজ্ঞ মুশফিকের অবদান ২৯ রান।
পরের ওভারে মিচেল স্যান্টনারকে চার মেরে দলের রান তিন অঙ্কে নিয়ে যান মুশফিক। লাঞ্চের আগেই প্রথম চার ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে পড়া বাংলাদেশ বড় রানের জন্য তার দিকেই তাকিয়ে।
৩৯ ওভারে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ১০৩। ৬৮ বলে দুই চারে ২১ রানে খেলছেন শাহাদাত। ৭৮ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ৩৪ রানে ব্যাট করছেন মুশফিক।
মিরপুর টেস্টের ক্রিকেটের অদ্ভুত একটি আউটের মঞ্চায়ন করলেন মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে 'অবস্ট্রাক্টিং দা ফিল্ড' আউট হলেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান।
কাইল জেমিসনের স্টাম্পের ওপর করা ডেলিভারি রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলেন মুশফিক। বল তার ব্যাটে লাগার পর পপিং ক্রিজে ড্রপ করে আরও ডান দিকে সরে যাচ্ছিল। তখন ডান হাত দিয়ে বলটি আরও ঠেলে দেন মুশফিক।
সঙ্গে সঙ্গেই আবেদন করেন জেমিসন। অধিনায়ক টিম সাউদিসহ বাকিরাও যোগ দেন এতে। টিভি রিপ্লে দেখে মুশফিককে আউটের সিদ্ধান্ত জানান থার্ড আম্পায়ার।
দ্বিতীয় সেশনের প্রথম ওভারেও এভাবে আউট হতে পারতেন মুশফিক। তখন অল্পের জন্য তার হাতে লাগেনি বল। সেবার বেঁচে গেলেও শেষ পর্যন্ত 'অবস্ট্রাক্টিং দা ফিল্ড' আউট হলেন মুশফিক।
এই আউটটি আগে 'হ্যান্ডলড দা বল' নামে পরিচিত ছিল। ২০১৭ সালে এটিকে 'অবস্ট্রাক্টিং দা ফিল্ড' এর অন্তর্ভুক্ত করে এমসিসি। ফলে ক্রিকেটের আউটের ধরন এখন দশের বদলে নয়টি।
মুশফিকের বিদায়ে ভাঙল ১৫৪ বল স্থায়ী ৫৭ রানের জুটি। ফেরার আগে ৮৩ বলে এক ছক্কা ও তিন চারে ৩৫ রান করেন মুশফিক।
৪২ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১০৫ রান। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসান মিরাজ। শাহাদাত হোসেন অপরাজিত ২২ রানে।
সিলেট টেস্টের পুনরাবৃত্তিই যেন করলেন শাহাদাত হোসেন। ওই ম্যাচের দুই ইনিংসেই ভালো খেলতে খেলতে হুট করেই বাজে শটে উইকেট দিয়ে আসেন তরুণ ব্যাটসম্যান। মিরপুরেও এর ব্যতিক্রম হলো না।
গ্লেন ফিলিপসের লেগ স্টাম্পের পিচ করা ডেলিভারি টার্ন করে আরও অনেকটা বেরিয়ে যাচ্ছিল। বল কিপারের গ্লাভসে যাওয়ার আগ মুহূর্তে অন সাইডে খেলার চেষ্টা করেন শাহাদাত। ব্যাটের কানায় লেগে যাওয়া বল সহজেই ক্যাচ নেন কিপার টম ব্লান্ডেল।
চাপের মুখে নেমে দায়িত্বশীল ব্যাটিংই করছিলেন শাহাদাত। এমন অহেতুক আউটে সমাপ্তি ঘটেছে তার ২ চারে ১০২ বলে ৩১ রানের ইনিংসের।
৫০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১২৩ রান। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান, মেহেদী হাসান মিরাজ অপরাজিত ৯ রানে।
বাজেভাবে আউট হওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন যেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। আগের কয়েক জন ব্যাটসম্যানদের মতো নুরুল হাসান সোহানও ড্রেসিং রুমে ফিরেছেন অহেতুক এক শট খেলে।
গ্লেন ফিলিপসের অফ স্টাম্পে করা ডেলিভারি ইনসাইড আউট শটে কভারের ওপর দিয়ে খেলার চেষ্টা করেন সোহান। কিন্তু পিচে গ্রিপ করে কিছুটা থেমে আসা ডেলিভারিতে আগেই ব্যাট চালিয়ে বসেন তিনি।
পরে ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে সহজ ক্যাচ উঠে যায় মিড অনে। বল মুঠোয় নিতে কোনো ভুল হয়নি মিচেল স্যান্টনারের।
৭ রান করে ফিরেছেন সোহান। দেড়শর আগে ৭ উইকেট হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ।
৫৫ ওভারে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১৩৭ রান। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান নাঈম হাসান। মেহেদী হাসান মিরাজ অপরাজিত ১৪ রানে।
শেষ সেশনে দুই প্রান্ত থেকেই স্পিনার দিয়ে বোলিং শুরু করল নিউ জিল্যান্ড। গ্লেন ফিলিপস করেন প্রথম ওভার। তার ওভারে হয়নি কোনো রান। পরে মিচেল স্যান্টনারের ওভারের দ্বিতীয় বলে এক রান নিয়ে দেড়শ পূর্ণ করে বাংলাদেশ।
প্রথম সেশনের মতো দ্বিতীয়টিতেও ৪ উইকেট হারাল বাংলাদেশ। এবার ৩০ ওভারে হয়েছে মোটে ৬৯ রান। চা বিরতি পর্যন্ত স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ১৪৯ রান।
৪ উইকেটে ৮০ রান নিয়ে দ্বিতীয় সেশনে খেলা শুরু করেন মুশফিকুর রহিম ও শাহাদাত হোসেন। ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে দুজন পূর্ণ করেন জুটির পঞ্চাশ রান, বাংলাদেশ পেরিয়ে যায় একশ।
নিয়ন্ত্রণ যখন বাংলাদেশের পক্ষে আসার পথে, তখন 'অবস্ট্রাক্টিং দা ফিল্ড' আউট হন মুশফিক। ভাঙে ৫৭ রানের জুটি। এরপর একে একে ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন শাহাদাত হোসেন, নুরুল হাসান সোহান ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
নিচের সারির ব্যাটসম্যানদের লড়াইয়ের আশায় দিনের শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নামবে বাংলাদেশ।
মিচেল স্যান্টনারের অফ স্টাম্পে পিচ করে বাড়তি বাউন্সের সঙ্গে টার্ন করে বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারি পেছনের পায়ে খেলার চেষ্টায় খোঁচা মারলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রথম স্লিপে সহজ ক্যাচ নিলেন ড্যারিল মিচেল।
২ চারে ৪২ বলে ২০ রান করে স্যান্টনারের তৃতীয় শিকার হলেন মিরাজ।
৫৮ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ১৪৯ রান। ক্রিজে দুই ব্যাটসম্যান তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসান।
গ্লেন ফিলিপসের লাইন ধরে রেখে সোজা যাওয়া ডেলিভারি কোনো শট খেললেন না তাইজুল ইসলাম। বল তার প্যাডে আঘাত করতেই এলবিডব্লিউর আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার।
কিছুক্ষণ ভেবে রিভিউ নেন তাইজুল। তিনি ছেড়ে দেওয়ায় অর্থাৎ শট না খেলায় ওই বলের ইমপ্যাক্ট এখানে ধর্তব্য ছিল না। রিপ্লেতে দেখা যায়, বল আঘাত করত স্টাম্পে। তাই বিফলে যায় রিভিউ।
নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে ড্রেসিং রুমে ফেরেন ৬ রান করা তাইজুল। শেষ ব্যাটসম্যান শরিফুল ইসলাম এখন ক্রিজে।
৬৩ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ১৫৮ রান।
দুই স্পেলে করা প্রথম পাঁচ ওভারে কোনো রান দেননি টিম সাউদি। তৃতীয় স্পেলে বোলিংয়ে ফিরে দুই বলের মধ্যেই তিনি নিলেন বাংলাদেশের শেষ উইকেট। নিউ জিল্যান্ড অধিনায়কের বোলিং বিশ্লেষণ ৫.২-৫-০-১!
সাউদির অফ স্টাম্পের বাইরের বল দূর থেকে খোঁচা মারেন শরিফুল ইসলাম। কিছুটা নিচু হয়ে বল গ্লাভসবন্দী করেন টম ব্লান্ডেল। বল সরাসরি তার গ্লাভসে গিয়েছে কিনা, রিপ্লে দেখে তা নিশ্চিত হয়ে শরিফুলকে আউট দেন থার্ড আম্পায়ার।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬৬.২ ওভারে স্রেফ ১৭২ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের ইনিংসকে ভাগ করা যায় তিন ভাগে। পঞ্চাশের আগে ড্রেসিং রুমে ফেরেন প্রথম চার ব্যাটসম্যান।
এরপর ৫৭ রানের জুটি গড়েন মুশফিকুর রহিম ও শাহাদাত হোসেন। সর্বোচ্চ ৩৫ রান করে অবস্ট্রাক্টিং দা ফিল্ড হন মুশফিক। এই জুটি ভাঙাসহ ৬৮ রানের মধ্যে শেষ ৬ উইকেট হারিয়ে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।
মুশফিক ছাড়া ত্রিশ ছুঁতে পেরেছেন শুধু শাহাদাত। শেষ দিকে মেহেদী হাসান মিরাজ, নাঈম হাসান, শরিফুল ইসলামদের ছোট ছোট ইনিংসে কোনোমতে দেড়শ পেরোয় বাংলাদেশ।
তিনটি করে উইকেট নেন মিচেল স্যান্টনার ও গ্লেন ফিলিপস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৬৬.২ ওভারে ১৭২ (জয় ১৪, জাকির ৮, শান্ত ৯, মুমিনুল ৫, মুশফিক ৩৫, শাহাদাত ৩১, মিরাজ ২০, সোহান ৭, নাঈম ১৩*, তাইজুল ৬, শরিফুল ১০; সাউদি ৫.২-৫-০-১, জেমিসন ৪-২-৮-০, এজাজ ১৭-৬-৫৪-২, স্যান্টনার ২৮-৭-৬৫-৩, ফিলিপস ১২-১-৩১-৩)
নতুন বলে স্রেফ এক ওভার করার সুযোগ পেলেন শরিফুল ইসলাম। দ্বিতীয় ওভার থেকেই স্পিন আক্রমণের পথ বেছে নিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভারে আনা হয় মেহেদী হাসান মিরাজকে। পরে শরিফুলকে সরিয়ে তৃতীয় ওভারে বল দেওয়া হলো তাইজুল ইসলামের হাতে।
প্রথম সাফল্যের জন্য বেশিক্ষণ সময় নিলেন না মেহেদী হাসান মিরাজ। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে তিনি ফিরিয়ে দিলেন ডেভন কনওয়েকে।
মিরাজের অফ স্টাম্পের ঠিক বাইরে পিচ করা ডেলিভারি টার্ন করে বেরিয়ে যাবে ভেবে হয়তো না খেলে ছেড়ে দেন কনওয়ে। কিন্তু লাইন ধরে রাখা বল সোজা ঢুকে যায় ভেতরে, ভেঙে দেয় স্টাম্প।
একটি করে চার-ছক্কায় ১১ রান করেছেন কনওয়ে। তিন নম্বরে নেমেছেন কেন উইলিয়ামসন।
৬ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের সংগ্রহ ১ উইকেটে ২১ রান। ৪ রানে খেলছেন টম ল্যাথাম।
পরপর দুই ওভারে দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দিল বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজের পর এবার উইকেট পেলেন তাইজুল ইসলাম। উইকেটের পেছনে বেশ কঠিন ক্যাচ নিয়ে এতে বড় অবদান রাখলেন নুরুল হাসান সোহান।
তাইজুলের অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করা ডেলিভারি নিচু হয়ে যায় অনেকটা। পেছনের পায়ে থাকা টম ল্যাথামের ব্যাটের নিচের কানায় লেগে বল জমা পড়ে তৎপর সোহানের গ্লাভসে। বিদায়ঘণ্টা বাজে ৪ রান করা ল্যাথামের।
৬.২ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের সংগ্রহ ২ উইকেটে ২২ রান। ক্রিজে দুই নতুন ব্যাটসম্যান কেন উইলিয়ামসন, হেনরি নিকোলস।
নতুন বলে নিউ জিল্যান্ডকে চেপে ধরেছে বাংলাদেশ। ৩০ রানের মধ্যে তারা ড্রেসিং রুমে ফেরত পাঠিয়েছে তিন ব্যাটসম্যানকে। সবশেষ আউট হয়েছেন হেনরি নিকোলস।
তাইজুল ইসলামের অফ স্টাম্পের বাইরে হালকা ঝুলিয়ে দেওয়া ডেলিভারি ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে মারেন নিকোলস। ব্যাটের নিচের অংশে লেগে ক্যাচ উঠে যায় মিড অনে। সামনে ঝুঁকে দারুণ ক্যাচ নেন শরিফুল ইসলাম।
১ রান করে ফিরেছেন নিকোলস। পাঁচ নম্বরে নেমেছেন ড্যারিল মিচেল।
৯ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৩১ রান। কেন উইলিয়ামসন অপরাজিত ৯ রানে।
নিউ জিল্যান্ডের সেরা ব্যাটসম্যান কেন উইলিয়ামসনকে জীবন দিল বাংলাদেশ। প্রথম স্লিপে তার ক্যাচ নিতে পারলেন না নাজমুল হোসেন শান্ত।
মেহেদী হাসান মিরাজের অফ স্টাম্পে করা ডেলিভারি রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলার চেষ্টা করেন উইলিয়ামসন। ব্যাটের বাইরের কানা ছুঁয়ে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের গ্লাভস ঘেঁষে বল যায় প্রথম স্লিপে দিকে।
কিন্তু বাম দিক দিয়ে যাওয়া এই বলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারেননি শান্ত। ফলে বল চলে যায় বাউন্ডারিতে। তখন ৯ রানে ছিলেন উইলিয়ামসন।
১০ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৩৮ রান।
জীবন পেয়ে বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না কেন উইলিয়ামসন। নিজের পরের ওভারেই তাকে ফেরালেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এর বড় কৃতিত্ব অবশ্য শাহাদাত হোসেনের। পঞ্চাশের আগেই ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে নিউ জিল্যান্ড।
মিরাজের অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করে হালকা লাফিয়ে ওঠা ডেলিভারি উইলিয়ামসনের ব্যাটের ওপরের দিকে লেগে যায় শর্ট লেগের দিকে। ডান দিকে এক হাত বাড়িয়ে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন শাহাদাত।
১৩ রানে ফিরলেন উইলিয়ামসন। নতুন ব্যাটসম্যান টম ব্লান্ডেল।
১১.২ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৪৬ রান।
তিন বলের মধ্যে দুই উইকেট নিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। কেন উইলিয়ামসনের পর তিনি ফেরালেন টম ব্লান্ডেলকে। অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করে নিখুঁত টার্ন করা ডেলিভারি পেছনের পায়ে খেলার চেষ্টায় ব্যর্থ হন ব্লান্ডেল।
বাংলাদেশের ফিল্ডারদের আবেদনের সঙ্গে সঙ্গে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। ড্যারিল মিচেলের সঙ্গে কিছুক্ষণ আলোচনা করে রিভিউ না নিয়েই বের হয়ে যান ব্লান্ডেল। অবশ্য রিভিউ নিলেও কোনো লাভ হতো না নিউ জিল্যান্ডের কিপার-ব্যাটসম্যানের।
মিরাজের ওই ওভারেই লেগ বাই থেকে পাওয়া বাউন্ডারি পঞ্চাশ পূর্ণ হয়েছে সফরকারীদের।
১২ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৫১ রান। মিচেল ১২ রানে খেলছেন। নতুন ব্যাটসম্যান গ্লেন ফিলিপস।
শীতের প্রভাবে দিনের শেষভাগে পর্যাপ্ত আলো না পাওয়ার শঙ্কা ছিল আগেই। সেটিই সত্য হলো। নিউ জিল্যান্ডের ইনিংসের ত্রয়োদশ ওভারে আলোকস্বল্পতায় বন্ধ হয়ে গেল খেলা।
খেলা থামার আগে ১২.৪ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৫৫ রান করেছে নিউ জিল্যান্ড। এখনও ১১৭ রানে পিছিয়ে তারা।
মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলামের স্পিনে চালকের আসনে থেকে দিন শেষ করল বাংলাদেশ। মিরপুরের স্পিন সহায়ক উইকেটে প্রথম দিনেই পড়ল ১৫ উইকেট। পঞ্চাশের আগে নিউ জিল্যান্ডের পাঁচ ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে কিছুটা এগিয়ে রইল স্বাগতিকরা।
আলোকস্বল্পতার কারণে নির্ধারিত সময়ের ১৪ মিনিট আগে শেষ হয়েছে প্রথম দিনের খেলা। দিন শেষে নিউ জিল্যান্ডের সংগ্রহ ১২.৪ ওভারে ৫ উইকেটে ৫৫ রান। এখনও ১১৭ রানে পিছিয়ে তারা।
১৫ উইকেটের দিনে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছে ১৭২ রানে।
মেঘাচ্ছন্ন কন্ডিশনে টস জিতে আগে ব্যাটিং নেয় বাংলাদেশ। নিউ জিল্যান্ডের স্পিন পরীক্ষার সামনে ত্রিশ পেরোতে পেরেছেন স্রেফ দুই ব্যাটসম্যান। 'অবস্ট্রাক্টিং দা ফিল্ড' আউট হওয়া মুশফিক খেলেছেন ৩৫ রানের ইনিংস। শাহাদাত হোসেন করেছেন ৩১ রান।
নিউ জিল্যান্ডের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন মিচেল স্যান্টনার ও গ্লেন ফিলিপস।
পরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে পাল্টা আক্রমণের পথে হাঁটার চেষ্টা করেন ডেভন কনওয়ে। তাকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি মিরাজ। পরে তাইজুলও উইকেট শিকারে যোগ দিলে একে একে ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন টম ল্যাথাম, হেনরি নিকোলস, কেন উইলিয়ামসন ও টম ব্লান্ডেল।
১৭ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন অফ স্পিনার মিরাজ। বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ২ উইকেট নিয়েছেন ২৯ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৬৬.২ ওভারে ১৭২ (জয় ১৪, জাকির ৮, শান্ত ৯, মুমিনুল ৫, মুশফিক ৩৫, শাহাদাত ৩১, মিরাজ ২০, সোহান ৭, নাঈম ১৩*, তাইজুল ৬, শরিফুল ১০; সাউদি ৫.২-৫-০-১, জেমিসন ৪-২-৮-০, এজাজ ১৭-৬-৫৪-২, স্যান্টনার ২৮-৭-৬৫-৩, ফিলিপস ১২-১-৩১-৩)
নিউ জিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ১২.৪ ওভারে ৫৫/৫ (ল্যাথাম ৪, কনওয়ে ১১, উইলিয়ামসন ১৩, নিকোলস ১, মিচেল ১২*, ব্লান্ডেল ০, ফিলিপস ৫*; শরিফুল ১-১-০-০, মিরাজ ৬-১-১৭-৩, তাইজুল ৫.৪-০-২৯-২)