চট্টগ্রাম টেস্টে পঞ্চম দিনের চ্যালেঞ্জে ভারতের মুখোমুখি সাকিব আল হাসানের দল।
দ্বিতীয় নতুন বলে মুশফিকুর রহিম ও নুরুল হাসান সোহানের বিদায় চট্টগ্রাম টেস্ট থেকে একরকম ছিটকে গেছে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ উইকেটে আছেন বলেই এখনও লড়াইয়ের স্বপ্ন দেখছে স্বাগতিকরা।
জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে রোববার পঞ্চম দিনের খেলা শুরুর সময় ৬ উইকেটে বাংলাদেশের রান ২৭২ রান। শেষ দিনে জয়ের জন্য এখনও ২৪১ রান চাই তাদের। সফরকারীদের প্রয়োজন শেষ ৪ উইকেট।
আগের দিন ১৪ ওভারে ৩৪ রানের জুটি গড়েছেন সাকিব ও মিরাজ। দুই ছক্কা ও তিন চারে ৪০ রানে ব্যাট করছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তাকে দারুণ সঙ্গ দেওয়া মিরাজের রান ৯।
চতুর্থ দিন প্রথম সেশনে কোনো উইকেট পায়নি ভারত। পরের দুই সেশনে তিনটি করে উইকেট নিয়ে জয়ের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছে সফরকারীরা। দ্বিতীয় নতুন বল এখনও খুব বেশি পুরনো হয়নি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত ১ম ইনিংস: ৪০৪
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১৫০
ভারত ২য় ইনিংস: ২৫৮/২ ইনিংস ঘোষণা
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৫১৩) ১০২ ওভারে ২৭২/৬ (শান্ত ৬৭, জাকির ১০০, ইয়াসির ৫, লিটন ১৯, মুশফিক ২৩, সাকিব ৪০*, সোহান ৩, মিরাজ ৯*; সিরাজ ১৫-৩-৪৬-০, উমেশ ১৫-৩-২৭-১, অশ্বিন ২৭-৩-৭৫-১, আকসার ২৭-১০-৫০-৩, কুলদিপ ১৮-২-৬৯-১)
দিনের তৃতীয় ওভারে উইকেট হারাল বাংলাদেশ। মোহাম্মদ সিরাজের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট ধরা পড়লেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বল চালিয়ে দিয়ে উমেশ যাদবকে ক্যাচ দেন মিরাজ। ভাঙে ৮৩ বল স্থায়ী ৪২ রানের জুটি।
তিন চারে ৪৮ বলে ১৩ রান করেন মিরাজ।
১০৫ বলে ৭ উইকেটে বাংলাদেশের রান ২৮৩। ক্রিজে সাকিব আল হাসানের সঙ্গী তাইজুল ইসলাম।
নিজের জোনে বল পেলেই চড়াও হচ্ছেন সাকিব আল হাসান। একই সঙ্গে আগলে রাখার চেষ্টা করছেন তাইজুল ইসলামকে।
আকসার প্যাটেলকে পরপর দুই ওভারে দুটি ছক্কা মেরে সাকিব স্পর্শ করেছেন ফিফটি, ৮০ বলে। এই সময়ে তার ব্যাট থেকে এসেছে তিন চার ও চার ছক্কা।
১০৬ বলে বাংলাদেশের রান ৭ উইকেটে ২৯০।
পাল্টা আক্রমণে দ্রুত রান তুলছেন সাকিব আল হাসান। মোহাম্মদ সিরাজকে ছক্কায় ওড়িয়ে দলকে নিয়ে গেছেন তিনশ রানে। পরের বলে মেরেছেন আরেকটি চার।
টেস্টে এ নিয়ে মাত্র চতুর্থবার চতুর্থ ইনিংসে তিনশ রান করতে পারল বাংলাদেশ।
লক্ষ্য এখনও দৃষ্টি সীমানার অনেক বাইরে।
১০৯ ওভারে বাংলাদেশের রান ৭ উইকেটে ৩০৯। ৯৬ বলে পাঁচটি করে ছক্কা ও চারে ৭৩ রানে ব্যাট করছেন সাকিব। ৭ বল খেলা তাইজুল ইসলামের রান শূন্য।
দ্রুত রান তোলা সাকিব আল হাসানকে বিদায় করে ভারতকে জয়ের আরও কাছে নিয়ে গেলেন কুলদিপ যাদব।
বাঁহাতি রিস্ট স্পিনারের বলে সুইপ করেছিলেন সাকিব। লেগ স্টাম্পে পিচ করার পর স্পিন করে মিডল স্টাম্পে যাওয়া বলের নাগাল পাননি বাঁহাতি এই অধিনায়ক। এলোমেলো হয়ে যায় স্টাম্প।
১০৮ বলে ছয়টি করে ছক্কা ও চারে ৮৪ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
১১১ ওভারে বাংলাদেশের রান ৮ উইকেটে ৩২০। ক্রিজে তাইজুল ইসলামের সঙ্গী ইবাদত হোসেন।
টানা দুই ওভারে উইকেট পেলেন কুলদিপ যাদব। ভারত পৌঁছে গেল জয়ের দুয়ারে।
বাঁহাতি রিস্ট স্পিনারের বলে ফ্লিক করেছিলেন ইবাদত হোসেন। পার করতে পারেননি শর্ট লেগের ফিল্ডারকে। চমৎকার রিফ্লেক্স ক্যাচ নেন শ্রেয়াস আইয়ার।
৫ বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি ইবাদত।
পঞ্চম ও শেষ দিন খুব একটা লড়াই করতে পারল না বাংলাদেশ। ৪৯ মিনিটে শেষ চার উইকেট হারাল স্বাগতিকরা।
চমৎকার এক ডেলিভারিতে তাইজুল ইসলামকে বোল্ড করে বাংলাদেশকে ৩২৪ রানে গুটিয়ে দেন আকসার প্যাটেল।
১৮৮ রানে প্রথম টেস্ট জিতে দুই ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেল ভারত। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম জয় পেলেন লোকেশ রাহুল।
৭৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ভারতের সফলতম বোলার আকসার। প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়া রিস্ট স্পিনার কুলদিপ যাদব এবার ৩ উইকেট নিলেন ৭৩ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত ১ম ইনিংস: ৪০৪
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১৫০
ভারত ২য় ইনিংস: ২৫৮/২ ইনিংস ঘোষণা
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৫১৩, আগের দিন ২৭২/৬) ১১৩.২ ওভারে ৩২৪ (সাকিব ৮৪, মিরাজ ১৩, তাইজুল ৪, ইবাদত ০, খালেদ ০*; সিরাজ ১৯-৪-৬৭-১, উমেশ ১৫-৩-২৭-১, অশ্বিন ২৭-৩-৭৫-১, আকসার ৩২.২-১০-৭৭-৪, কুলদিপ ২০-৩-৭৩-৩)