শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ প্রস্তুতির শেষ ধাপ। নিউ জিল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজে ভালো করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য রসদ জোগাড় করতে চায় সাকিব আল হাসানের দল।
ক্রাইস্টচার্চে উপমহাদেশের দুই দলের লড়াই দিয়ে রোববার শুরু হচ্ছে টুর্নামেন্ট। খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টায়।
এই ম্যাচে যেমন, তেমনি এই টুর্নামেন্টেও ‘আন্ডারডগ’ হিসেবে শুরু করছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে যা অবস্থা, তাতে ভালো কিছুর আশা এই দলকে ঘিরে করা কঠিন আপাতত। ফলাফল নিয়ে অবশ্য দল ভাবছে না বলেই দাবি নানা জনের কথায়। সহ-অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান বলেছিলেন প্রক্রিয়ায় ভরসা রাখার কথা। পরে একই কথা শোনা গেছে অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজের কণ্ঠেও।
ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস জিতলেন নুরুল হাসান সোহান। তিনি নিলেন ফিল্ডিং।
লম্বা যাত্রার ধকল সামলাতেই হয়তো প্রথম ম্যাচে রাখা হয়নি অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে সিপিএল খেলে বৃহস্পতিবার রাতে দলের সঙ্গে যোগ দেন ও বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার। তার জায়গায় দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সহ-অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে সবশেষ টি-টোয়েন্টি দল থেকে দুটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। দলে ফিরেছেন মুস্তাফিজুর রহমান ও হাসান মাহমুদ। বাদ পড়েছেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন ও ইবাদত হোসেন।
বাংলাদেশ একাদশ: নুরুল হাসান সোহান (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, লিটন দাস, মোসাদ্দেক হোসেন, ইয়াসির আলি চৌধুরি, নাসুম আহমেদ, হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা সপ্তম ও শেষ টি-টোয়েন্টির দল থেকে দুটি পরিবর্তন এনেছে পাকিস্তান। খুশদিল শাহর জায়গায় এসেছেন হায়দার আলি। গতিময় পেসার মোহাম্মদ হাসনাইনের জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন শাহনাওয়াজ দাহানি।
পাকিস্তান একাদশ: বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান, শান মাসুদ, ইফতিখার আহমেদ, হায়দার আলি, আসিফ আলি, শাদাব খান, মোহাম্মদ নাওয়াজ, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, হারিস রউফ, শাহনাওয়াজ দাহানি।
পাওয়ার প্লেতে চতুর্থ বোলার হিসেবে আক্রমণে আসেন নাসুম আহমেদ। দ্বিতীয় বলেই তাকে ছক্কায় স্বাগত জানান মোহাম্মদ রিজওয়ান। এই ওভারেই রান আউট হয়ে যেতে পারতেন তিনি। বেঁচে যান সাব্বির রহমানের ব্যর্থতায়।
বাবর মিডউইকেটে বল পাঠানো মাত্র রানের জন্য ছুটেন রিজওয়ান। রান নেওয়া সম্ভব নয় বুঝে তাকে ফিরিয়ে দেন পাকিস্তান অধিনায়ক। কিন্তু বল ধরার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন সাব্বির। রিজওয়ানেরও পা ফস্কে যায়, তবে কোনোমতে জায়গায় পৌঁছাতে পারেন তিনি। সে সময় তার রান ছিল ১০।
বেশ কিছু বাউন্ডারি পেলেও পাওয়ার প্লেতে খুব বেশি রান করতে পারেনি পাকিস্তান। তবে বাংলাদেশও পারেনি খুব একটা সুযোগ তৈরি করতে।
৬ ওভারে পাকিস্তানের রান বিনা উইকেটে ৪৩। ২১ বলে ২০ রান করেছেন বাবর আজম। রিজওয়ান ১৫ বলে খেলছেন ২১ রানে।
ম্যাচের প্রথম ওভার করেন তাসকিন আহমেদ। চমৎকার বোলিংয়ে গতিময় এই পেসার দেন কেবল একটি সিঙ্গেল। পরের দুই ওভারে বাবর আজমের ব্যাটে দুটি করে বাউন্ডারি হজম করেন মুস্তাফিজুর রহমান ও হাসান মাহমুদ।
প্রথম স্পিনার হিসেবে আক্রমণে এসে দ্বিতীয় বলে ছক্কা হজম করেন নাসুম আহমেদ। সেই ওভারেই ১০ রানে রান আউট হতে পারতেন রিজওয়ান। সাব্বির রহমানের ব্যর্থতায় বেঁচে যান তিনি।
পরের দুই ওভারে রিজওয়ানের ব্যাটে একটি করে বাউন্ডারি হজম করেন তাসকিন ও মুস্তাফিজ। এর মধ্যে তাসকিনের বলে চার হয় ব্যাটের কানায় লেগে, মুস্তাফিজের বলে চমৎকার শটে।
বাউন্ডারি থামাতে পারছে না বাংলাদেশ। একটি-দুটি চারের পাশাপাশি এক-দুই নিয়ে রানের গতি বাড়াচ্ছেন বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। তাদের ব্যাটে ৩৯ রানে পঞ্চাশ ছুঁয়েছে পাকিস্তানের রান।
৭ ওভারে পাকিস্তানের রান বিনা উইকেটে ৫২।
আক্রমণে এসেই সাফল্য পেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বাবর আজমকে বিদায় করে ভাঙলেন পাকিস্তানের শুরুর জুটি।
অফ স্পিনারের প্রথম বলে হাঁটু গেড়ে সুইপ করেছিলেন বাবর। ঠিক মতো খেলতে পারেননি। ব্যাটের কানায় লেগে সহজ ক্যাচ যায় শর্ট ফাইন লেগে। সেখানে কোনো ভুল করেননি মুস্তাফিজুর রহমান।
চারটি চারে ২৫ বলে ২২ রান করেন বাবর।
৭.১ ওভারে পাকিস্তানের রান ১ উইকেটে ৫২। ক্রিজে মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গী শান মাসুদ।
মেহেদী হাসান মিরাজের বল মিডঅফে পাঠিয়ে দিয়েই রানের জন্য ছুটেন শান মাসুদ। তবে দ্রুতই বলের কাছে পৌঁছে যান লিটন দাস। কিন্তু বল মুঠোয় নিতে পারেননি তিনি। রান আউট থেকে বেঁচে যান মাসুদ। বাঁহাতি এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান সে সময় ১২ রানে ছিলেন।
মাঝ পথে ভালো অবস্থানে আছে পাকিস্তান। ১০ ওভারে ১ উইকেটে করেছে ৭১ রান। ২২ বলে ৩২ রানে ব্যাট করছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ১৩ বলে মাসুদের রান ১৪।
এর আগে ১০ রানে সাব্বির রহমানের ব্যর্থতায় রান আউট থেকে বাঁচেন রিজওয়ান।
ক্রিজে যাওয়ার পর থেকে দ্রুত রান তোলায় মনোযোগী ছিলেন শান মাসুদ। মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে তার জুটিতে রান বাড়ছিল দ্রুত। বিপজ্জনক হয়ে ওঠা জুটি ভাঙলেন নাসুম আহমেদ।
বাঁহাতি এই স্পিনাররের বল ঠিক মতো খেলতে পারেননি মাসুদ। তার ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ যায় পয়েন্টে। সেখানে দ্বিতীয় চেষ্টায় কোনোমতে বল মুঠোয় জমান হাসান মাহমুদ।
২২ বলে এক ছক্কা ও চারটি চারে ৩১ রান করেন বাঁহাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান মাসুদ।
১৩ ওভারে পাকিস্তানের রান ২ উইকেটে ৯৪। ক্রিজে রিজওয়ানের সঙ্গী হায়দার আলি।
শেষ মুহূর্তে নুরুল হাসান সোহান সিদ্ধান্ত না বদলালে ওভারটি তাসকিন আহমেদের করারই কথা না। তবে নাসুম আহমেদের জায়গায় চমৎকার বোলিং করলেন গতিময় এই পেসার। তার বলে দুর্দান্ত এক ক্যাচে হায়দার আলিকে বিদায় করলেন ইয়াসির আলি।
ওভারের চতুর্থ বলে মোহাম্মদ রিজওয়ানের বিপক্ষে এলবিডব্লিউর রিভিউ নিয়ে সফল হয়নি বাংলাদেশ। এক বল পরেই মিলে সাফল্য। পুল করে সীমানায় ইয়াসিরের ডাইভিং ক্যাচে ফেরেন হায়দার।
৬ বলে এক চারে ৬ রান করেন দলে ফেরা এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।
১৫ ওভারে পাকিস্তানের রান ৩ উইকেটে ১১১। ক্রিজে রিজওয়ানের সঙ্গী ইফতিখার আহমেদ।
সাব্বির রহমান ব্যর্থ না হলে হয়তো ১০ রানেই বিদায় নিতেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। রান আউট থেকে বেঁচে যাওয়া এই ওপেনারই টানছেন দলকে। টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ব্যাটসম্যান পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন ৩৮ বলে। এই সময়ে তার ব্যাট থেকে এসেছে একটি ছক্কা ও চারটি চার।
মুস্তাফিজুর রহমানের আগের ওভার ছিল খরুচে। তিন চারে বাঁহাতি এই পেসার দিয়েছিলেন ১৬ রান। অষ্টাদশ ওভারে আক্রমণে এসে শুরুটা ভালো করতে পারেননি হাসান মাহমুদ। প্রথম বলে বাউন্ডারি হজম করেন তিনি। পরের বলেই ইফতিখার আহমেদকে ফিরিয়ে দেন তরুণ এই পেসার।
স্লোয়ার বলে পুলের চেষ্টায় টাইমিং করতে পারেননি ইফতিখার। ডিপ মিডউইকেটে সহজ ক্যাচ নেন আফিফ হোসেন।
৮ বলে দুই চারে ১৩ রান করেন ইফতিখার।
১৮ ওভারে পাকিস্তানের রান ৪ উইকেটে ১৪৪। ক্রিজে মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গী আসিফ আলি।
মঞ্চ প্রস্তুত ছিল। তবে ঝড় তুলতে পারলেন না আসিফ আলি। চমৎকার এক ডেলিভারিতে তাকে ফিরিয়ে দিলেন তাসকিন আহমেদ।
বুক উচ্চতার হার্ড লেংথ বল পুল করেন আসিফ। ঠিক মতো খেলতে পারেননি। ব্যাটের কানায় লেগে ওঠে যায় ক্যাচ। অনায়াসেই মুঠোয় নেন বোলার নিজেই।
৪ বলে আসিফ করেন ৪।
১৯ ওভারে পাকিস্তানের রান ৫ উইকেটে ১৫৪। ক্রিজে মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গী মোহাম্মদ নাওয়াজ।
এক প্রান্ত আগলে রেখে পুরো ২০ ওভার খেললেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। দুই ছক্কা ও সাত চারে ৫০ বলে অপরাজিত থাকলেন ৭৮ রানে। তাকে ঘিরেই এগিয়ে গেল পাকিস্তানের ইনিংস। ৫ উইকেটে গড়ল ১৬৭ রানের সংগ্রহ।
৪ ওভারে ২৫ রানে ২ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সফলতম বোলার তাসকিন আহমেদ। নাসুম আহমেদ ১ উইকেট নেন স্রেফ ২২ রান দিয়ে।
ঝড় বয়ে যায় মুস্তাফিজুর রহমানের উপর দিয়ে। বাঁহাতি এই পেসার ৪ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে উইকেটশূন্য। হাসান মাহমুদ ১ উইকেট নেন ৪২ রান দিয়ে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৬৭/৫ (রিজওয়ান ৭৮*, বাবর ২২, শান ৩১, হায়দার ৬, ইফতিখার ১৩, আসিফ ৪, নাওয়াজ ৬*; তাসকিন ৪-০-২৫-২, মুস্তাফিজ ৪-০-৪৮-০, হাসান ৪-০-৪২-১, নাসুম ৪-০-২২-১, মিরাজ ২-০-১২-১, মোসাদ্দেক ২-০-১৭-০)
আগের ওভারে হারিস রউফকে ছক্কায় ওড়িয়ে ডানা মেলার আভাস দিয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে ইনিংস বড় করতে পারলেন না তিনি। মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়রকে ছক্কা মারার চেষ্টায় ফিরলেন সীমানায় ক্যাচ দিয়ে।
এক ছক্কায় ১১ বলে ১০ রান করেন মিরাজ।
৫ ওভারে বাংলাদেশের রান ১ উইকেটে ৩৩। ক্রিজে সাব্বির রহমানের সঙ্গী লিটন দাস।
মেহেদী হাসান মিরাজের পর ফিরে গেলেন সাব্বির রহমান। পাওয়ার প্লেতে দুই ওপেনারকেই হারাল বাংলাদেশ।
হারিস রউফের বল লেগে ঘুরাতে চেয়েছিলেন সাব্বির। মাঝ ব্যাটে খেলতে পারেননি। আগেই ব্যাটের ফেইস আগেই ক্লোজ করে নেওয়ায় কানায় লেগে উঠে যায় উপরে। অনায়াসে ক্যাচ নেন বোলার নিজেই।
১৮ বলে এক চারে সাব্বির করেন ১৪।
৬ ওভারে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৩৮। ক্রিজে লিটন দাসের সঙ্গী আফিফ হোসেন।
ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি দুই ওপেনার। আফিফ হোসেন ও লিটন দাসও খুব দ্রুত তুলতে পারছেন না। তাতে মাঝ পথে বেশ চাপে বাংলাদেশ।
১০ ওভারে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৬৪। ১৭ বলে ১৭ রান খেলছেন লিটন। ১৪ বলে আফিফের রান ১৬।
জয়ের জন্য শেষ ১০ ওভারে ১০৪ রান চাই বাংলাদেশের।
মোহাম্মদ নাওয়াজের বলে দুই রান নেওয়ার পর সিঙ্গেল নিলেন আফিফ হোসেন। ৩৯ বলে তার সঙ্গে লিটন দাসের জুটির রান গেল পঞ্চাশে।
পরের বলে স্লগ সুইপের চেষ্টায় সীমানায় ধরা পড়লেন লিটন দাস। ২৬ বলে চারটি চার ও এক ছক্কায় ৩৫ রান করেন এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান।
পরের বলেই এলবিডব্লিউ হয়ে যান মোসাদ্দেক হোসেন। রিভিন নেন তিনি। তবে কোনো কাজ হয়নি।
১৩ ওভারে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ৯২। ক্রিজে আফিফ হোসেনের সঙ্গী নুরুল হাসান সোহান।
পরপর দুই বলে উইকেটের ধাক্কা সামাল দেওয়ার আগেই ফিরে গেলেন আফিফ হোসেন। শাহনাওয়াজ দাহানির বলে মিডউইকেটে ধরা পড়লেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
২৩ বলে একটি করে ছক্কা ও চারে ২৫ রান করেন আফিফ।
১৪ ওভারে বাংলাদেশের রান ৫ উইকেটে ৯৯। ক্রিজে নুরুল হাসান সোহানের সঙ্গী ইয়াসির আলি চৌধুরি।
প্রায় দৌড়াতে দৌড়াতে ক্রিজে এলেন তাসকিন আহমেদ। তাও হেলমেট ছাড়া! এতেই ফুটে উঠছে চিত্র। কত দ্রুত ৪ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।
লিটন দাস, মোসাদ্দেক হোসেন ও আফিফ হোসেনের পর ফিরে গেলেন নুরুল হাসান সোহানও। শাদাব খানকে স্লগ সুইপ করে ওয়াইড লং অনে ধরা পড়েন এই কিপার-ব্যাটসম্যান। ৯ বল এক চারে তিনি করেন ৮।
পরপর দুই বলে তাসকিন আহমেদ ও নাসুম আহমেদকে বিদায় করে দিলেন মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র। চমৎকার এক ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ হয়ে যান তাসকিন। এরচেয়েও ভালো একটি ডেলিভারিতে বোল্ড হন নাসুম।
হ্যাটট্রিকের সামনে দাঁড়িয়ে পরের বলটি ওয়াসিম জুনিয়র করেন ওয়াইড।
১৯ ওভারে বাংলাদেশের রান ৮ উইকেটে ১২৫। ক্রিজে ইয়াসির আলির সঙ্গী হাসান মাহমুদ।
এক পর্যায়ে রান ছিল ২ উইকেটে ৮৭। সেখান থেকে জয় খুব অসম্ভব কিছু ছিল না। কিন্তু পরপর দুই বলে লিটন দাস ও মোসাদ্দেক হোসেনকে হারানোর পর আর লড়াই-ই করতে পারল না বাংলাদেশ।
ত্রিদেশীয় সিরিজের উদ্বোধনী ম্যাচে হারল রানে। পাকিস্তানের ১৬৭ রান তাড়ায় বাংলাদেশ থামল ১৪৬ রানে। এর ২০ রানই এসেছে ম্যাচের শেষ ওভারে।
শেষ দিকে ২১ বলে দুই ছক্কা ও পাঁচ চারে ৪২ রানের ইনিংসে ব্যবধান কিছুটা কমান ইয়াসির আলি চৌধুরি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৬৭/৫ (রিজওয়ান ৭৮*, বাবর ২২, শান ৩১, হায়দার ৬, ইফতিখার ১৩, আসিফ ৪, নাওয়াজ ৬*; তাসকিন ৪-০-২৫-২, মুস্তাফিজ ৪-০-৪৮-০, হাসান ৪-০-৪২-১, নাসুম ৪-০-২২-১, মিরাজ ২-০-১২-১, মোসাদ্দেক ২-০-১৭-০)
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৪৬/৮ (মিরাজ ১০, সাব্বির ১৪, লিটন ৩৫, আফিফ ২৫, মোসাদ্দেক ০, সোহান ৮, ইয়াসির ৪২*, তাসকিন ২, নাসুম ০, হাসান ১*; দাহানি ৪-০-২৪-১, ওয়াসিম জুনিয়র ৪-০-২৪-৩, রউফ ৪-০-৩৮-১, নাওয়াজ ৪-০-২৫-২, শাদাব ৪-০-৩০-১)