জিম্বাবুয়ে সফরে শেষ ম্যাচেও টস হারল বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি সিরিজের তিন ম্যাচেই টস জেতেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন। ওয়ানডেতে প্রথম দুই ম্যাচে টস জিতে বোলিং নেন রেজিস চাকাভা। শেষ ম্যাচে নেই তিনি। টস জিতে যথারীতি বোলিং নিলেন সিকান্দার রাজা।
সিরিজ শুরুর আগে বাংলাদেশের সম্ভাব্য ফল ছিল যেমন, হয়েছে তার উল্টো। প্রথম দুই ওয়ানডের হারে নিশ্চিত হয়ে গেছে সিরিজ হার। শেষ ম্যাচে তাই হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্যে নামতে হচ্ছে তামিম ইকবালের দলকে।
এই সংস্করণে এটি বাংলাদেশের ৪০০তম ম্যাচ।
হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে বুধবার ম্যাচ শুরু যথারীতি বাংলাদেশ সময় দুপুর সোয়া ১টায়।
বাংলাদেশ সবশেষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল ২০০১ সালে, যখন জিম্বাবুয়ে দলে ছিলেন অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, গ্রান্ট ফ্লাওয়ার, হিথ স্ট্রিক, অ্যালেস্টার ক্যাম্পবেলরা। এরপর ছয়বার জিম্বাবুয়েকে এই স্বাদ ফিরিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। ২১ বছর পর এবার নিজেরাই সেই দুঃস্মৃতি ফিরিয়ে আনার শঙ্কায়।
অথচ এই সিরিজের আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা ১৯ ওয়ানডে জিতেছিল বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের জন্য একটি জয় হয়ে উঠেছিল ‘সোনার হরিণ।’ খর্বশক্তির সেই দলটিই এবার প্রথম ম্যাচে সিকান্দার রাজা ও ইনোসেন্ট কাইয়ার সেঞ্চুরি ও তাদের প্রায় দুইশ রানের জুটিতে স্তব্ধ করে দেয় বাংলাদেশকে। দ্বিতীয় ম্যাচে রাজার আরেকটি সেঞ্চুরির সঙ্গে রেজিস চাকাভার বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে সিরিজ জিতে নেয় ৯ বছর পর।
এবার তাদের সামনে আরেকটি অর্জনের হাতছানি।
আগের ম্যাচ থেকে বাংলাদেশ দলে পরিবর্তন এসেছে দুটি। ফিরেছেন বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। ওয়ানডে অভিষেক হচ্ছে আরেক পেসার ইবাদত হোসেন চৌধুরির।
বাদ পড়েছেন তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম।
বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ১৭ টেস্ট খেলে ৩১ উইকেট নিয়েছেন ইবাদত। ২৮ বছর বয়সী ডানহাতি এই পেসার এখন পর্যন্ত ১৩ লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলে উইকেট নিয়েছেন ১৩টি।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), নাজমুল হোসেন শান্ত, এনামুল হক, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমান, তাইজুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, ইবাদত হোসেন চৌধুরি।
বাংলাদেশের মতো জিম্বাবুয়ের একাদশেও পরিবর্তন দুটি। প্রথম দুই ম্যাচের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক রেজিস চাকাভা নেই শেষ ম্যাচে। দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সময় হাতে চোট পেয়ে ছিটকে গেছেন তিনি। তার জায়গায় ওয়ানডে অভিষেক হচ্ছে কিপার ব্যাটসম্যান ক্লাইভ মাডান্ডের।
ফিরেছেন বাঁহাতি পেসার রিচার্ড এনগারাভা। বাদ পড়েছেন ডানহাতি পেসার টানাকা চিভাঙ্গা।
গত জুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় মাডান্ডের। ওই ম্যাচে ২ রান করার পর আর সুযোগ পাননি তিনি। এবার পেলেন ওয়ানডে ক্যাপ।
এখন পর্যন্ত ১৮ লিস্ট 'এ' ম্যাচ খেলে ২১.৬৮ গড়ে তার রান ৩৪৭। ফিফটি একটি।
জিম্বাবুয়ে একাদশ: সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ইনোসেন্ট কাইয়া, ওয়েসলি মাধেভেরে, লুক জঙ্গুয়ে, ভিক্টর নিয়াউচি, টাডিওনাশে মারুমানি, টাকুডজোয়ানাশে কাইটানো, টনি মুনিয়োঙ্গা, ব্র্যাড ইভান্স, ক্লাইভ মাডান্ডে, রিচার্ড এনগারাভা।
এনামুল হকের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউটে কাটা পড়লেন তামিম ইকবাল। ভাঙল ৪১ রানের উদ্বোধনী জুটি।
বাঁহাতি পেসার রিচার্ড এনগারাভাকে পয়েন্টের দিকে খেলেছিলেন এনামুল। সিঙ্গেলের জন্য তামিম ছুটে যান উইকেটের মাঝপথে। দারুণ ক্ষিপ্রতায় ঝাঁপিয়ে পড়ে বল ধরেই বোলারকে পাঠান ফিল্ডার ওয়েসলি মাধেভেরে। বল ধরে স্টাম্প ভাঙেন এনগারাভা, ব্যাটসম্যান তখন বেশ বাইরে।
প্রথম দুই ম্যাচে ফিফটি করা বাংলাদেশ অধিনায়ক এবার ৩০ বলে ৩ চারে করেন ১৯ রান।
৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ১ উইকেটে ৪৭। এনামুল খেলছেন ২৪ রানে। তার সঙ্গী নাজমুল হোসেন শান্ত।
একই ওভারে দুই উইকেট হারাল বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্তর পর শূন্য রানে আউট হলেন মুশফিকুর রহিমও।
ডানহাতি পেসার ব্র্যাড ইভান্সের শর্ট বল লাফিয়ে উঠে কাট করতে গিয়েছিলেন শান্ত। ধরা পড়েন তিনি ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে মাধেভেরের হাতে। গোল্ডেন 'ডাক' এর তেতো স্বাদ পান তরুণ এই ব্যাটসম্যান।
তিন বল পর শর্ট বল আপার কাট করেন মুশফিক। থার্ডম্যান থেকে অনেকটা দৌড়ে এসে অসাধারণ এক ক্যাচ নেন এনগারাভা। অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ৩ বলে খুলতে পারেননি রানের খাতা।
আগের ম্যাচে ওয়ানডে অভিষেকে ৭.৪ ওভারে ৬৪ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন ইভান্স। এবার তিনি নিজের দ্বিতীয় ওভারে কোনো রান না দিয়েই পেলেন দুটি উইকেট।
পরপর দুই ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে তখন চাপে বাংলাদেশ।
পাওয়ার প্লের ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ৪৭। ২৪ বলে ২৪ রানে খেলছেন এনামুল। নতুন ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ।
ওয়ানডেতে ফেরার সিরিজে দ্বিতীয় ফিফটি করলেন এনামুল হক। ডানহাতি ওপেনার ৪৮ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় পূর্ণ করলেন ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটি।
প্রথম ম্যাচে ৭৩ রানের পর দ্বিতীয় ম্যাচে তিনি করেছিলেন ২০। এবার কতদূর যেতে পারেন, সেটিই দেখার।
১৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ৭৮। এনামুলের সঙ্গে ৪ রানে খেলছেন মাহমুদউল্লাহ।
ব্র্যাড ইভান্সকে পরপর ছক্কা-চার মারলেন এনামুল হক। তাতে বাংলাদেশের স্কোর ছাড়িয়ে গেল শতরান।
২১ ওভার শেষে ৩ উইকেটে বাংলাদেশের রান ১০৯। এনামুল ৬০ বলে ৭২ ও মাহমুদউল্লাহ ৩২ বলে ১২ রানে খেলছেন।
সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও পারলেন না এনামুল হক। আউট হয়ে গেলেন তিনি ৭৬ রানে।
ডানহাতি পেসার লুক জঙ্গুয়ের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে শেষ মুহূর্তে ব্যাট পেতে দেন এনামুল। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে কিপারের গ্লাভসে ধরা পড়েন ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
৭১ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় গড়া এনামুলের ৭৬ রানের ইনিংসটি।
তার বিদায়ে ভাঙে ৯০ বলে ৭৭ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।
২৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ১২৫। মাহমুদউল্লাহ ১৯ রানে খেলছেন। তার সঙ্গী আফিফ হোসেন।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই জীবন পেলেন আফিফ হোসেন। নিজের বলে তার ক্যাচ নিতে ব্যর্থ হন বোলার ইনোসেন্ট কাইয়া।
তখন ২ রানে খেলছিলেন আফিফ।
এনামুল হকের বিদায়ের পর কমে গেছে রানের গতি। ৩১তম ওভারের মাঝপথে দেড়শ ছুঁয়েছে বাংলাদেশের স্কোর।
শুরুতে জীবন পাওয়ার পর আফিফ হোসেন দারুণ একটি ছক্কা মারেন বটে, তবে মাহমুদউল্লাহ শুরু থেকেই খেলছেন ধীরলয়ে।
৩১ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ১৫২। ৬০ বলে ২৯ রানে খেলছেন মাহমুদউল্লাহ, ২১ বলে আফিফের রান ১৮।
রানের গতি আর বাড়ানো হলো না মাহমুদউল্লাহর। অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান আউট হলেন ৬৯ বলে ৩ চারে ৩৯ রান করে।
বাঁহাতি পেসার রিচার্ড এনগারাভার অফ স্টাম্পের বাইরের বল কাট করতে চেয়েছিলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। বল ব্যাটের কানায় লেগে এলোমেলো করে দেয় স্টাম্প।
আফিফ হোসেনের সঙ্গে তার জুটিতে আসে ৫৭ বলে ৪৯ রান।
৩৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৫ উইকেটে ১৭৩। আফিফ ২৯ রানে খেলছেন। তার সঙ্গী মেহেদী হাসান মিরাজ।
ব্র্যাড ইভান্সের বলে মিড-অন দিয়ে দারুণ একটি চার মারলেন আফিফ হোসেন। এই বাউন্ডারিতে বাংলাদেশের স্কোর স্পর্শ করল দুইশ।
৪১ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৫ উইকেটে ২০০। আফিফ ৫৩ বলে ৪৫ রানে খেলছেন, ১৯ বলে ৯ রানে অপরাজিত মিরাজ।
বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না মেহেদী হাসান মিরাজ। তাকে ফিরিয়ে দিলেন সিকান্দার রাজা।
অফ স্পিনারের অফ স্টাম্পের বল সামনে ঝুঁকে ডিফেন্ড করতে চেয়েছিলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। বল আঘাত হাতে তার প্যাডে। এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার।
২৪ বলে মিরাজ করেন ১৪ রান
৪২ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৬ উইকেটে ২০৬। আফিফ হোসেন ৪৬ রানে খেলছেন। উইকেটে তার সঙ্গী তাইজুল ইসলাম।
শুরুতে জীবন পাওয়ার সুযোগ কাজে লাগালেন আফিফ হোসেন। সিরিজে প্রথম ফিফটি করলেন তিনি ৫৮ বলে, ৩ চার ও এক ছক্কায়।
এটি তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি।
মেহেদী হাসান মিরাজের বিদায়ের পর দ্রুতই রান আউট হয়ে গেলেন তাইজুল ইসলাম।
সিকান্দার রাজাকে মিডউইকেটে খেলে দ্বিতীয় রান নিতে যান আফিফ। সরাসরি থ্রোয়ে নন স্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্প ভাঙেন টাডিওনাশে মারুমানি।
১৩ বলে ৫ রান করেন তাইজুল।
৪৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৭ উইকেটে ২২১। আফিফ ৫৬ রানে খেলছেন। উইকেটে তার সঙ্গী হাসান মাহমুদ।
বাংলাদেশের আরও একজন আউট হলেন শূন্য রানে। এবার এই স্বাদ পেলেন হাসান মাহমুদ।
পেসার লুক জঙ্গুয়ের শর্ট বলে কিপারের গ্লাভসে ধরা পড়েন হাসান।
৪৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২৪১। ৭৪ রানে খেলছেন আফিফ হোসেন। তার সঙ্গী মুস্তাফিজুর রহমান।
বাংলাদেশের ইনিংসে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে রান আউট হলেন মুস্তাফিজুর রহমান। তিনিসহ শূন্য রানে আউট হলেন চার জন।
রিচার্ড এনগারাভার শর্ট বলে ব্যাট ছোঁয়াতে পারেননি মুস্তাফিজ। রান নেওয়ার জন্য ছুটে যান আফিফ হোসেন। কিপারের থ্রোয়ে নন স্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্প ভাঙেন বোলার। অনেকটা দেরিতে দৌড় শুরু করা মুস্তাফিজ পৌঁছাতে পারেননি।
হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লড়াইয়ে এনামুল হক ও আফিফ হোসেনের ফিফটিতে জিম্বাবুয়েকে ২৫৭ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ।
ওপেনার এনামুল ৭১ বলে করেন ৭৬ রান। ছয় নম্বরে নেমে ২ রানে জীবন পেয়ে শেষ পর্যন্ত দলকে টানেন আফিফ। ৮১ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত ৮৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস উপহার দেন তিনি।
এই দুজন ছাড়া আর কেউ নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি। শুরুতে তামিম ইকবালের রান আউটের পর একই ওভারে শূন্য রানে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। মাঝে মাহমুদউল্লাহ খেলেন ৬৯ বলে ৩৯ রানের মন্থর ইনিংস।
এরপর আফিফকে সঙ্গ দিতে পারেননি কেউ। স্কোর আড়াইশ ছাড়ানোর পুরো কৃতিত্ব তারই।
প্রথম দুই ম্যাচে ৩০৩ ও ২৯০ রান করেও হেরেছিল বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৫৬/৯ (তামিম ১৯, এনামুল ৭৬, শান্ত ০, মুশফিক ০, মাহমুদউল্লাহ ৩৯, আফিফ ৮৫*, মিরাজ ১৪, তাইজুল ৫, হাসান ০, মুস্তাফিজ ০, ইবাদত ০*, এনগারাভা ১০-১-৫১-১, নিয়াউচি ৬-০-২৪-০, ইভান্স ৮-১-৫৩-২, রাজা ১০-০-৪২-১, কাইয়া ৪-০-১৬-০, মাধেভেরে ৬-০-২৭-০)
শুরুতেই ভাঙল জিম্বাবুয়ের উদ্বোধনী জুটি। প্রথম ওভারে হাসান মাহমুদ ফিরিয়ে দিলেন টাকুডজোয়ানাশে কাইটানোকে।
পায়ের ওপরের ডেলিভারি লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে বলের লাইন মিস করেন ডানহাতি ওপেনার। বল আঘাত হানে তার প্যাডে। এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে আঙুল তুলে নেন আম্পায়ার।
কাইটানো ৫ বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি। আগের ম্যাচেও প্রথম ওভারে তাকে ফিরিয়েছিলেন হাসান।
১ ওভারে জিম্বাবুয়ের রান ১ উইকেটে ৫।উইকেটে টাডিওনাশে মারুমানির সঙ্গী ইনোসেন্ট কাইয়া।
ইনিংসের দ্বিতীয় আর নিজের প্রথম ওভারেই উইকেট পেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনি ফিরিয়ে দিলেন টাডিওনাশে মারুমানিকে।
অফ স্পিনারকে বেরিয়ে এসে খেলার চেষ্টায় বলের লাইন মিস করেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। বল এলোমেলো করে দেয় স্টাম্প।
মারুমানি করলেন ১ রান। প্রথম দুই ওভারে দুই ওপেনারকে হারাল জিম্বাবুয়ে।
২ ওভারে জিম্বাবুয়ের রান ২ উইকেটে ৭। উইকেটে ইনোসেন্ট কাইয়ার সঙ্গী ওয়েসলি মাধেভেরে।
ওয়ানডে অভিষেকে উইকেট পেতে বেশি সময় লাগল না ইবাদত হোসেন চৌধুরির। নিজের দ্বিতীয় ওভারে তিনি টানা দুই বলে নিলেন ২ উইকেট।
তার শিকার যথাক্রমে ওয়েসলি মাধেভেরে ও আগের দুই ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান সিকান্দার রাজা।
দুটি ডেলিভারিই ছিল চমৎকার। ব্যাক অব লেংথে কিছুটা লাফিয়ে ওঠা বলে পয়েন্টে ধরা পড়েন মাধেভেরে। ওয়াইড ইয়র্কারে ব্যাটে লেগে বোল্ড হন রাজা।
মাধেভেরে ১০ বলে করেন ১ রান। জিম্বাবুয়ের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক রাজা এবার গোল্ডেন 'ডাক' এর তেতো স্বাদ পান।
হ্যাটট্রিক ডেলিভারিতে ‘নো’ বল করে ফেলেন ইবাদত।
৬ ওভারে জিম্বাবুয়ের রান ৪ উইকেটে ১৯।উইকেটে ইনোসেন্ট কাইয়ার সঙ্গী অভিষিক্ত কিপার-ব্যাটসম্যান ক্লাইভ মাডান্ডে।
প্রথমবার আক্রমণে এসেই উইকেট পেলেন তাইজুল ইসলাম। তিনি ফিরিয়ে দিলেন ইনোসেন্ট কাইয়াকে।
বাঁহাতি স্পিনারের আর্ম বল লেগ সাইডে খেলার চেষ্টায় বলের লাইন মিস করেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। বল আঘাত হানে প্যাডে। এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার।
২২ বল খেলে কাইয়া করেন ১০ রান। ৫ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে তখন খুব বিপদে জিম্বাবুয়ে।
৯ ওভারে জিম্বাবুয়ের রান ৫ উইকেটে ৩২। উইকেটে আছেন অভিষিক্ত ক্লাইভ মাডান্ডে ও টনি মুনিয়োঙ্গা।
পাওয়ার প্লেতে দারুণ বোলিং উপহার দিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। জিম্বাবুয়ে হারাল ৫ উইকেট।
প্রথম দুই ওভারে একটি করে উইকেট নেন হাসান মাহমুদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ। অভিষিক্ত ইবাদত হোসেন একই ওভারে ধরেন জোড়া শিকার। প্রথমবার আক্রমণে এসেই উইকেট পান তাইজুল ইসলাম।
লাইন লেংথ ঠিক রেখে বোলিং করছেন সবাই। সঙ্গে বাজে শটের খেসারতও দিতে হয়েছে জিম্বাবুয়েকে।
১০ ওভারে স্বাগতিকদের রান ৫ উইকেটে ৩২। অভিষিক্ত ক্লাইভ মাডান্ডে ৪ ও টনি মুনিয়োঙ্গা ১ রানে খেলছেন।এখনও তাদের প্রয়োজন ২২৫ রান।
নিজের দ্বিতীয় উইকেট নিলেন তাইজুল ইসলাম। এবার তিনি ফিরিয়ে দিলেন টনি মুনিয়োঙ্গাকে।
বাঁহাতি স্পিনারকে তেড়েফুঁড়ে খেলতে অনেকটা বেরিয়ে এসে বলের লাইন পুরোপুরি মিস করেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। বল ধরে স্টাম্প ভেঙে দেন কিপার মুশফিকুর রহিম।
১৮ বলে ১৩ রান করে ফিরলেন মুনিয়োঙ্গা। জয়ের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।
১৪ ওভারে জিম্বাবুয়ের রান ৬ উইকেটে ৫০। উইকেটে অভিষিক্ত ক্লাইভ মাডান্ডের সঙ্গী
লুক জঙ্গুয়ে। এখনও তাদের দরকার ২০৭ রান।
একাদশে ফিরে নিজের দ্বিতীয় ওভারে প্রথম উইকেট পেলেন মুস্তাফিজুর রহমান। তিনি ফিরিয়ে দিলেন লুক জঙ্গুয়েকে। জয়ের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।
বাঁহাতি পেসারের বাউন্সার বেরিয়ে এসে ঠিকমতো খেলতে পারেননি জঙ্গুয়ে। ডিপ কাভারে সহজ ক্যাচ নেন এনামুল হক ।
২৫ বলে জঙ্গুয়ে করেন ১৫ রান।
২১ ওভারে জিম্বাবুয়ের রান ৭ উইকেটে ৭৭। ২০ রানে খেলছেন অভিষিক্ত ক্লাইভ মাডান্ডে। তার সঙ্গী ব্র্যাড ইভান্স।
নিজের পরপর দুই ওভারে দুই উইকেট নিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। এবার তার শিকার অভিষিক্ত ক্লাইভ মাডান্ডে।
জয়ের জন্য বাংলাদেশের চাই আর ২ উইকেট।
মুস্তাফিজের শর্ট বল পুল করার চেষ্টায় আকাশে তোলেন মাডান্ডে। সহজেই বল গ্লাভসবন্দী করেন কিপার মুশফিকুর রহিম।
৪৫ বলে ৪টি চারে ২৪ রান করেন মাডান্ডে। ২২.৩ ওভারে জিম্বাবুয়ের রান ৮ উইকেটে ৮৩।
একই ওভারে দুই ২ উইকেট নিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ইনিংসে তার তৃতীয় শিকার হলেন ব্র্যাড ইভান্স।
বাঁহাতি পেসারের স্লোয়ার বল লেগ সাইডে খেলতে চেয়েছিলেন ব্যাটসম্যান। ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ যায় পয়েন্টে মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে।
২৩ ওভারে জিম্বাবুয়ের রান ৯ উইকেটে ৮৩। উইকেটে রিচার্ড এনগারাভার সঙ্গী ভিক্টর নিয়াউচি।
হাসান মাহমুদের বলে ক্যাচ তুলে দিলেন ভিক্টর নিয়াউচি। বল মুঠোবন্দী করলেন তামিম ইকবাল। তবে ‘নো’ বল ডাকলেন আম্পায়ার।
টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বল ডেলিভারির সময় হাসান মাহমুদের পা দাগের ভেতরেই ছিল। উচ্চতায়ও কোনো সমস্যা ছিল না। ‘নো’ বল নিয়ে তাই রয়ে যায় ধোঁয়াশা।
তখন ১ রানে খেলছিলেন নিয়াউচি। তিনি আউট হলে শেষ হয়ে যেত জিম্বাবুয়ের ইনিংস।
ভিক্টর নিয়াউচি ও রিচার্ড এনগারাভার ব্যাটে ওয়ানডেতে দশম উইকেটে রেকর্ড জুটি পেল জিম্বাবুয়ে।
৬১ রানের জুটিতে অবিচ্ছিন্ন আছেন এই দুজন।
আগের সর্বোচ্চ ছিল ৬০, ২০১০ সালে হারারেতেই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে গড়েছিলেন শিঙ্গি মাসাকাদজা ও ইয়ান নিকোলসন ।
ভিক্টর নিয়াউচিকে বোল্ড করে দিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ভাঙল রেকর্ড জুটি। ইতি ঘটল ম্যাচেরও। তৃতীয় ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে ১০৫ রানে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়াল বাংলাদেশ।
প্রথম দুই ম্যাচে ৩০৩ ও ২৯০ রানের পুঁজি নিয়েও হতশ্রী বোলিং আর ফিল্ডিংয়ে হেরেছিল বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে এনামুল হক ও আফিফ হোসেন ছাড়া ব্যাটিংয়ে ভালো করতে পারেননি আর কেউ। এই দুজনের দুর্দান্ত দুটি ফিফটি দলকে এনে দেয় আড়াইশ ছাড়ানো পুঁজি।
পরে বল হাতে প্রথম দুই ওভারে দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে সুর বেঁধে দেন হাসান মাহমুদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ। অভিষিক্ত ইবাদত হোসেন এক ওভারেই ফেরান ওয়েসলি মাধেভেরে ও প্রথম দুই ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান সিকান্দার রাজাকে।
এক পর্যায়ে ৮৩ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে একশর আগে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে জিম্বাবুয়ে। তবে শেষ উইকেটে নিয়াউচি ও রিচার্ড এনগারাভা গড়েন ৬৮ রানের রেকর্ড জুটি। তাতে পরাজয়ের ব্যবধানই কমে শুধু।
এনগারাভা ২৭ বলে ৬ চার ও এক ছক্কায় সর্বোচ্চ ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন। ৩১ বলে ২৬ রান করেন নিয়াউচি।
শেষ ৪ উইকেটটি নেন মুস্তাফিজ, ১৭ রান দিয়ে। ইবাদত ও তাইজুল ইসলামের প্রাপ্তি ২টি করে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৫৬/৯ (তামিম ১৯, এনামুল ৭৬, শান্ত ০, মুশফিক ০, মাহমুদউল্লাহ ৩৯, আফিফ ৮৫*, মিরাজ ১৪, তাইজুল ৫, হাসান ০, মুস্তাফিজ ০, ইবাদত ০*, এনগারাভা ১০-১-৫১-১, নিয়াউচি ৬-০-২৪-০, ইভান্স ৮-১-৫৩-২, রাজা ১০-০-৪২-১, কাইয়া ৪-০-১৬-০, মাধেভেরে ৬-০-২৭-০)
জিম্বাবুয়ে: ৩২.২ ওভারে ১৫১ (কাইটানো ০, মারুমানি ১, কাইয়া ১০, মাধেভেরে ১, রাজা ০, মাডান্ডে ২৪, মুনিয়োঙ্গা ১৩, জঙ্গুয়ে ১৩, ইভান্স ২, এনগারাভা ৩৪*, নিয়াউচি ২৬; হাসান মাহমুদ ৮-০-৩৮-১, মিরাজ ২-০-১৬-১, ইবাদত ৮-১-৩৮-২, তাইজুল ৯-০-৩৪-২, মুস্তাফিজ ৫.২-০-১৭-৪)
ফল: বাংলাদেশ ১০৫ রানে জয়ী
সিরিজ: তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জয়ী জিম্বাবুয়ে
ম্যান অব দা ম্যাচ: আফিফ হোসেন
ম্যান অব দা সিরিজ: সিকান্দার রাজা