বাণিজ্য

৩৬৫০ টন চাল এসেছে ২০ দিনে, বাজারে প্রভাব নেই

Byনিজস্ব প্রতিবেদক

ইতোমধ্যে মোট পাঁচ ধাপে ৩৮০টি কোম্পানির অনুকূলে ১০ লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের সংগ্রহ ও সরবরাহ অনুবিভাগের প্রধান মজিবর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ১০ লাখ টন অনুমোদন দেওয়ার পরও আরও কিছু ব্যবসায়ী চাল আমদানি করার আগ্রহ দেখাচ্ছেন।  

“আমরা আরও কিছু আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সেগুলো অনুমোদন দেওয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছি।”

গত ২০ দিনে যে পরিমাণ চাল দেশে এসেছে, তা সন্তোষজনক বলে মনে করেন মজিবর রহমান।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার পর্যন্ত মোট আইপি (আমদানির অনুমতি) দেওয়া হয়েছে ৪ লাখ ১০ হাজার টন চালের। এর মধ্যে ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩৬০ টন চাল আমদানির এলসি খোলা হয়েছে। এসব এলসির মধ্যে তিন হাজার ৬৫০ টন চাল দেশে এসেছে।

শুল্ক কমানোর পর গত ৩০ জুন বেসরকারি উদ্যোগে চার লাখ নয় হাজার টন চাল আমদানি করতে ৯৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে শর্ত সাপেক্ষে অনুমোদন দিয়েছিল খাদ্য মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার ছিল সেসব চাল আমদানির এলসি খোলার শেষ দিন।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধতন কর্মকর্তা জানান, আইপি ইস্যু করার পরেও যারা নির্ধারিত সময়ে এলসি খুলতে পারেননি; আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনে তাদেরকেও অনুমোদন দেওয়া হবে।

টিসিবির বৃহস্পতিবারের হিসাব অনুযায়ী, খুচরা বাজারে এখনও প্রতিকেজি সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৪ থেকে ৭৫ টাকায়। আগের সপ্তাহেও এ দামেই বিক্রি হচ্ছিল।

তবে গত এক সপ্তাহে মোটা ও মাঝারি চালের দাম কেজিতে ১ টাকা করে কমেছে। মাঝারি চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৮ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ৫২ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।

মোটা চাল এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ৪৮ থেকে ৫২ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।

SCROLL FOR NEXT