বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের জের ধরে অচিরেই যুক্তরাষ্ট্র সরকার এসব দেশপ্রেমিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেবে বলে তার আশা।
সোমবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় এ নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষাপটে কিছু ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়াচ্ছে উল্লেখ করে তাদের আইনের আওতায় আনার দাবিও করেছেন এ আইনপ্রণেতা।
দেশের স্বার্থে রাজনীতিবিদদের আরও দায়িত্বশীল ও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে গত ১০ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্র ‘গুরুতর’ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ও বর্তমান পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমদসহ বাহিনীর সাত কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রতিক্রিয়ায় ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারকে তলব করে সরকারের অবস্থান জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠিও দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি এ নিষেধাজ্ঞা তুলতে দেশটিতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ‘লবিস্ট’ নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছে।
এ নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গ টেনে বাবলা বলেন, হঠাৎ করে কেন এ নিষেধাজ্ঞা তার বোধগগম্য নয়।
“আমি বিশ্বাস করি আমাদের দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দেশ ও দেশের মানুষের নিবেদিত প্রাণ হিসেবে কাজ করে। তবে আমি বলবো না সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ধোয়া তুলসিপাতা।
“কিন্তু যাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তাদেরকে আমরা অত্যন্ত দক্ষ ও দেশপ্রেমিক কর্মকর্তা হিসেবে জানি,” যোগ করেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র কেন এ নিষেধাজ্ঞা দিল তা নিয়ে সরকার কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের সঙ্গে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে তারই প্রেক্ষিতে অচিরেই যুক্তরাষ্ট্র সরকার যেসব দেশপ্রেমিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তা প্রত্যাহার করে নেবে।”