‘তিউনিসিয়ার হোটেল হামলায় নিহত অধিকাংশই ব্রিটিশ’

তিউনিসিয়ার সাগর সৈকতের একটি হোটেলে এক বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ৩৯ জনের অধিকাংশই ব্রিটিশ নাগরিক বলে জানিয়েছেন তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রী হাবিব এসিদ।

>>রয়টার্স
Published : 28 June 2015, 08:52 AM
Updated : 28 June 2015, 09:01 AM

শুক্রবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।
 
তিনি বলেন, “নিহতরা ব্রিটিশ, জার্মান ও বেলজীয় নাগরিক। তবে তাদের অধিকাংশই ব্রিটিশ।” 
 
এমন মন্তব্য করলেও কতোজন ব্রিটিশ নাগরিক নিহত হয়েছেন তা উল্লেখ করেননি তিনি।
 
ওই হামলায় ১৫ ব্রিটিশ নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। এছাড়া নিহতদের মধ্যে এক জার্মান, এক বেলজীয় ও এক আইরিশ নারীকে সনাক্ত করা গেছে বলে জানিয়েছেন তিউনিসিয়ার কর্মকর্তারা। 
  
তিউনিসিয়ার সুস শহরের ইমপেরিয়াল মারহাবা রিসোর্ট হোটেলে চালানো এ হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। 
 
পর্যটকের ছদ্মবেশে রিসোর্ট এলাকায় ঢুকে পড়া এক তিউনিসীয় বন্দুকধারী ছাতির ভিতরে লুকিয়ে একটি রাইফেল নিয়ে এসেছিল। এরপর সৈকতে ও হোটেলের সুইমিংপুলে পর্যটকদের গুলি করে হত্যা করেন তিনি। পরে পুলিশের গুলিতে তিনি নিহত হন। 
 
বন্দুকধারীকে সাইফ রেগজুই বলে সনাক্ত করেছে তিউনিসীয় কর্তৃপক্ষ। শর্টস ও টি-শার্ট পরা রেগজুই বেছে বেছে শুধু বিদেশীদের হত্যা করেন, সামনে পড়া তিউনিসীয়দের রেহাই দেন। 
 
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ট্যুর কোম্পানিগুলো শনিবার তিউনিসিয়া থেকে হাজার হাজার পর্যটকদের সরিয়ে নেওয়া শুরু করেছে। 
 
সুসের পর্যটন কমিশনার সালুয়া কাদরি জানিয়েছেন, শনিবার তিন হাজারেরও বেশি পর্যটক সুস ছেড়েছেন। এদের মধ্যে দুই হাজার ২০০ জন ব্রিটিশ এবং ৬০০ বেলজীয় বলে জানিয়েছেন তিনি। 
 
শহরটি ছাড়ার জন্য আরো বহু পর্যটক নিকটবর্তী ইনফিদা বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। 
 
বিমানবন্দরটিতে অপেক্ষমান ব্রিটিশ পর্যটক হান্নাহ রাসেল বলেন, “আর বেশিদিন এখানে থাকতে চাই না আমরা। আমরা আমাদের বাবা-মা, ভাই-বোনদের সঙ্গে দেখা করতে চাই। তাই যত তাড়াতাড়ি পারি যেতে চাই।” 
 
নিজ শহর ম্যানচেস্টারে ফেরত যাচ্ছেন আরেক পর্যটক সারাহ ম্যাসন, তিনি বলেন, “আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। সারাক্ষণ সাইরেন ও হেলিকপ্টারের শব্দ আপনার স্নায়ুকে সুস্থির রাখতে পারে না।”