কারাগারে হামলা ও কারাগার ভেঙে পালানোর মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে গত মাসে মিশরের একটি আদালত মুরসি ও তার দল মুসলিম ব্রাদার হুডের প্রধান মোহাম্মদ বাদাইসহ শীর্ষ পর্যায়ের বেশ কয়েকজন নেতাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
মুরসি ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ২০১১ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের বিরুদ্ধে গণঅভ্যূত্থানের সময় পুলিশ সদস্যদের হত্যা ও অপহরণ করেছে, পুলিশের সম্পত্তিতে হামলা করেছে এবং কারাগার ভেঙে পালিয়েছে।
আদালতের মৃত্যুদণ্ডাদেশের পর এ ব্যাপারে মিশরের সর্বোচ্চ ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ ‘গ্র্যান্ড মুফতি’র স্বাধীন মতামত জানতে চাওয়া হয়।
বিচারক শাবান আল-শামি বলেন, মঙ্গলবার সকালে আদালত মুফতির মতামত হাতে পেলেও বিষয়টি নিয়ে আলোচানার জন্য সময় প্রয়োজন।
তবে রায় যাই হোক মুরসি এর বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন। যদিও এ বিচার প্রক্রিয়া প্রহসন ছাড়া আর কিছু নয় বলে মনে করেন মুরসি।
২০১৩ সালে সেনা অভ্যূত্থানে ক্ষমতাচ্যূত হন মুরসি। সে সময় সেনাপ্রধান ছিলেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসি। মুরসি মনে করেন, তার বিরুদ্ধে এ সব মামলা ও তার বিচার ওই অভ্যূত্থানেরই অংশ।
ওদিকে সিসি বলছেন, ব্রাদারহুড জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ। আর ব্রাদারহুডের দাবি, তারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তথ্য মতে, গত দুই বছরে ব্রাদারহুডের অন্তত এক হাজার কর্মী-সমর্থককে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া, কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থক কারাগারে রয়েছেন।