লি কুয়ান’কে শেষ বিদায় জানাল সিঙ্গাপুর

জাতির জনক লি কুয়ান ইউ’কে রাষ্ট্রীয় শেষকৃত্যের মধ্য দিয়ে শেষ বিদায় জানিয়েছে সিঙ্গাপুর।

>>আইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 March 2015, 05:10 AM
Updated : 29 March 2015, 05:10 AM

গত ২৩ মার্চ ৯১ বছর বয়সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। 

রোববার সিঙ্গাপুরের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কালচারাল সেন্টারে (ইউসিসি) শেষ হয়েছে তার শেষকৃত্য।

এদিন স্থানীয় সময় দুপুরে লি’র রাষ্ট্রীয় শেষকৃত্য  শুরু হয়। প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যেও অসংখ্য মানুষ রাস্তায় সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে দেখেছে লি’র শবযাত্রার শোক মিছিল।

লি কুয়ানের রাষ্ট্রীয় শেষকৃত্যে যোগ দেন বিশ্ব নেতারাও। তাদের মধ্যে ছিলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উয়িদোদো, জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে, অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবোট এবং ব্রিটিশ পার্লামেন্ট’র নেতা উইলিয়াম হেগ।

দুপুর সাড়ে ১২ টায় শুরু হয় শববাহী কফিন নিয়ে শোকমিছিল। ২১ বার তোপধ্বনি, আকাশে জঙ্গি বিমান এবং নৌবাহিনীর দুই জাহাজের মহড়ার মধ্য দিয়ে লি’র মরদেহ পার্লামেন্ট ভবন থেকে তানজং পাগার হয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সিঙ্গাপুরের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে।

লি কুয়ানের বড় ছেলে এবং সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি শিয়েন লুং পরিবারের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পন করে এবং রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট টনি তান কেং ফুলের তোড়া দিয়ে শেষকৃত্যানুষ্ঠান শেষ করেন।

জাতীয় সঙ্গীত এবং শপথের মধ্য দিয়ে শেষকৃত্য শেষের পর দেশজুড়ে লি কুয়ানের স্মরণে পালন করা হয় এক মিনিট নীরবতা।

আবেগঘন এক বক্তব্যে সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি বলেন, “তার বাবা এবছর শেষে সিঙ্গপুরের ৫০ বছর পূর্তি দেখে না যেতে পারলেও তিনি যে তার সারা জীবনের কাজের সার্থকতা দেখে যেতে পারলেন এতেই দেশ ও জাতি গর্ব অনুভব করবে।”

লি কুয়ানের কফিন এখন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে উত্তরের মান্দাইয়ের সমাধিস্থলে।

৩১ বছর সিঙ্গাপুরের সরকারপ্রধান থাকাকালে লি কুয়ান দেশটিকে ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে মুক্ত  এবং মালয়েশিয়া থেকে আলাদা করে বিশ্বের সবচেয়ে সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশগুলোর একটিতে পরিণত করেছিলেন।

তার মৃত্যুর পর গত এক সপ্তাহ ধরে লি কুয়ানের প্রতি লাখো মানুষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। এর মধ্যে চার ১৫  লাখ মানুষ পার্লামেন্ট হাউসে গিয়ে সেখানে রাখা লি কুয়ানের মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।