জাতীয় পতাকা প্রশ্নে ২০১৬ সালে নিউজিল্যান্ডে গণভোট

জাতীয় পতাকা পরিবর্তন করা হবে কিনা- এ প্রশ্নে ২০১৬ সালে বাধ্যতামূলক একটি গণভোটের আয়োজন করবে নিউজিল্যান্ড।

নিউজ ডেস্ক>>বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Oct 2014, 09:02 AM
Updated : 29 Oct 2014, 09:02 AM

বুধবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী জন কি এই গণভোট আয়োজনের কথা ঘোষণা করেন বলে বিবিসি জানিয়েছে।

সেপ্টেম্বরে দেশটির সাধারণ নির্বাচনে জন কি’র সরকার পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি এই ঘোষণা দিলেন।

ঘোষণায় কি বলেন, “একটি আধুনিক, স্বাধীন জাতি হিসেবে আমাদের মর্যাদা ভালোভাবে তুলে ধরে, আমাদের জাতীয় পতাকার নকশায় এমন পরিবর্তন আনার বিবেচনা নিউজিল্যান্ডবাসীর করার এটিই সঠিক সময় বলে আমি বিশ্বাস করি।”

এর আগে তিনি বলেছিলেন, নিউজিল্যান্ডের নতুন জাতীয় পতাকা হিসেবে তিনি কালো পটভূমির মধ্যে রূপালি ফার্নের ছবি দেখতেই পছন্দ করবেন।

কি’র কথিত এই পতাকার নকশাটি ইতোমধ্যেই নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেট দলসহ বিভিন্ন জাতীয় দল ব্যবহার করে আসছে।

“শ্রদ্ধেয় নিউজিল্যান্ডবাসীদের” একটি প্যানেল নতুন পতাকার নকশা নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনায় নেতৃত্ব দেবেন।

নিউজিল্যান্ডের সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে তৈরি একটি দল প্রখ্যাত ও শ্রদ্ধেয় নিউজিল্যান্ডবাসীদের মধ্য থেকে প্যানেলের সদস্যদের মনোনীত করবেন। এরা জনতার মতামতের ভিত্তিতে নতুন পতাকার নকশা প্রস্তাব করবেন।

প্রস্তাবিত এসব নতুন নকশার মধ্য থেকে একটি বাছাই করার জন্য আগামী বছর আগাম আরেকটি গণভোট গ্রহণ করা হবে।
ওই গণভোটে নির্বাচিত নতুন পতাকাটি ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিতব্য চূড়ান্ত গণভোটে দেশটির বর্তমান পতাকাটির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।

গণভোটে জয়ী পতাকাটিই নিউজিল্যান্ডের জাতীয় পতাকার মর্যাদা পাবে।

চলতি বছরের প্রথমদিকে কি প্রথম যখন পতাকা পরিবর্তনে গণভোট নেয়ার কথা উল্লেখ করেছিলেন তখন তিনি বলেছিলেন, “নিউজিল্যান্ডের পতাকার নকশা ঔপনিবেশিক এবং উত্তর-ঔপনিবেশিক সময়ের। ওই সময় গত হয়েছে।”

নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া উভয়ের পতাকায় সাবেক ঔপনিবেশিক শক্তি যুক্তরাজ্যের ইউনিয়ন পতাকার নকশা যুক্ত থাকলেও এক বিবৃতিতে অস্ট্রেলিয়া পতাকা পরিবর্তন না করার কথা জানিয়েছে।