বিবিসির খবরে বলা হয়, শনিবার সীমান্ত পার হয়ে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় একটি শহরে পৌঁছার পর দূতাবাস কর্মকর্তা কর্মচারীদেরকে উষ্ণ অভ্যর্থনা দেয়া হয়। গত জুনে ইরাকের মসুল শহরে তুর্কি উপ-দূতাবাস থেকে তাদের আটক করেছিল আইএস।
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ দাভুতগলু জিম্মিদের মুক্তি মেলার কথা নিশ্চিত করেছেন। গোয়েন্দা সংস্থার মধ্যস্ততায় তাদের মুক্ত করা হয়েছে জানালেও এর প্রক্রিয়া নিয়ে কিছু জানাননি তিনি।
গত জুনে ইসলামিক স্টেট জঙ্গিরা ইরাকের মসুল রাজ্যের দখল নেয়ার পর সেখানে তুরস্কের উপ-দূতাবাসে কর্মরতদের আটক করে।
কূটনীতিকদের প্রাণহানি করা হতে পারে আশঙ্কায় আইএসের বিরুদ্ধে কোনো অভিযানে অংশ নেয়নি তুরস্ক।
জিম্মিদের মধ্যে দূতাবাস কর্মকর্তা, শিশু, নারীসহ তুরস্কের ৪৬ জন নাগরিক ছিলেন। বাকি তিনজন ওই দূতাবাসে কর্মরত ইরাকি।
এদিকে জিম্মিদের উদ্ধার পাওয়া উপলক্ষে দক্ষিণ তুরস্কের সীমান্তবর্তী শহর সানলিউরফায় ছুটে যান তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী। মুক্ত হয়ে আসা সবাই সুস্থ আছেন বলে জানান তিনি।
তুরস্কের হারিয়েত পত্রিকার খবরে বলা হয়, জিম্মিদের উদ্ধার অভিযানে কোনো সংঘাত হয়নি। আলোচনার মাধ্যমে তাদের নিয়ে আসা গেছে।
রয়টার্স জানায়, সিরিয়ায় রাক্কা প্রদেশে আইএস এর শক্তিশালী ঘাঁটিতে বন্দি ছিলেন তুর্কি জিম্মিরা। সেখান থেকে সিরিয়ার তেল আবিয়েদ শহর হয়ে তাদেরকে তুরস্কে ফেরত পাঠানো হয়।