ইউক্রেইনে লড়ছে ‘কয়েক হাজার রুশ’

পূর্ব ইউক্রেইনে রুশপন্থি বিদ্রোহীদের পক্ষ নিয়ে লড়ছে ৩ থেকে ৪ হাজার রুশ নাগরিক। রুশপন্থি এক বিদ্রোহী নেতা একথা বলেছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 August 2014, 11:07 AM
Updated : 28 August 2014, 11:07 AM

রাশিয়ান টিভিতে বিদ্রোহী নেতা অ্যালেক্সান্ডার জাকারশেঙ্কো বলেন, এই রুশ নাগরিকদের বেশিরভাগই সামরিক বাহিনীর সাবেক সদস্য কিংবা বর্তমানে ছুটিতে থাকা সামরিক কর্মকর্তা।

বিদ্রোহীরা ইউক্রেইনের উত্তর-পূর্বে নতুন ফ্রন্ট খুলেছে। তারা নোভোয়াজোভোস্ক শহর দখলে নেয়া এবং মারিউপোল শহর দখলের হুমকি দেয়ার পর অ্যালেক্সান্ডার একথা বললেন।

খবরে বলা হয়েছে, বিদ্রোহীরা মারিউপোলের দিকে এগুচ্ছে। ইউক্রেইন বলছে, রাশিয়ান বাহিনী সীমান্ত অতিক্রম করে ইউক্রেইনে ঢুকেছে এবং বিদ্রোহীদেরকে হামলায় সহায়তা করছে।

তবে মস্কো বরাবরই বিদ্রোহীদেরকে অস্ত্র দেয়া কিংবা গোপনে কোনো সহায়তা দেয়ার কথা অস্বীকার করে এসেছে।

রাশিয়া ইউক্রেইন বাহিনীকে অবরুদ্ধ দোনেস্ক এবং লুহান্সক থেকে আরো উত্তরে সরিয়ে দিতে চাইছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওইসব অঞ্চলে সরকারি বাহিনী সম্প্রতি কয়েক সপ্তাহে লড়াইয়ে অগ্রগতি অর্জন করেছে।

বিদ্রোহী নেতা এবং স্বাঘোষিত দোনেস্ক পিপলস রিপাবলিকের প্রধানমন্ত্রী জাকারশেঙ্কো বলেন, রাশিয়ার নাগরিকরা তাদের কর্তব্যবোধ থেকেই ইউক্রেইনে লড়তে এসেছে।

তিনি বলেন, “আমাদের র‌্যাঙ্কের প্রায় ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার রুশ আছে। তাদেরকে ছাড়া বিদ্রোহীদের সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া আরো অনেক কঠিন হত”। লড়তে আসা এ রুশরা স্বেচ্ছায়ই বিদ্রোহীদের পক্ষে লড়ছে বলে জানান তিনি।

জাকারশেঙ্কো বলেন, “উচ্চপদস্থ অনেক সাবেক সামরিক কর্মকর্তাই স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। তারা আমাদের সঙ্গে লড়ছে। এটা তাদের কর্তব্য মনে করেই লড়ছে”।

তিনি আরো বলেন, “রাশিয়ার বর্তমান সামরিক বাহিনীর অনেক সদস্যও আছেন যারা আমাদের সঙ্গেই তাদের ছুটি কাটাবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সৈকতে গিয়ে সময় না কাটিয়ে এ ভাইয়েরা তাদের স্বাধীনতার জন্য লড়ছেন”।

ইউক্রেইনের নিরাপত্কতা এবং প্রতিরক্ষা পরিষদ নোভোয়াজোভস্ক বিদ্রোহীদের দখলে চলে যাওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে। রাশিয়ার সেনারাই শহরটি দখল করেছে বলে জানিয়েছে তারা।

এ আগ্রাসনের মুখে ওই এলাকা থেকে নিরাপত্তা বাহিনী প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেইন। এ মুহূর্তে মারিউপোল শহরের প্রতিরক্ষা জোরদার করছে ইউক্রেইন কর্তৃপক্ষ।