গাজায় নিহত ৮০৪, পশ্চিম তীরে বিক্ষোভ-সংঘর্ষ

গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের অভিযানে ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা ৮০০ ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

>>রয়টার্স
Published : 24 July 2014, 06:03 AM
Updated : 25 July 2014, 12:45 PM

গাজায় শুক্রবারের ইসরায়েলি হামলায় হামাসের সশস্ত্র শাখা ইসলামিক জিহাদের শীর্ষ মুখপাত্র ও তার ছেলে নিহত হয়। এ নিয়ে ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮০৪ জনে। নিহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।

অন্যদিকে, ইসরায়েলের পক্ষে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে ৩৫ জন। ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের এ রক্তক্ষয় ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং জেরুজালেমেও।

গাজায় ইসরায়েলের বেপরোয়া হামলার বিরুদ্ধে শুক্রবার পশ্চিম তীরে বিক্ষোভ হয়েছে। এতে সহিংসতায় অন্তত ২ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ২শ’ জন আহত হয় বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

প্রায় ১০ হাজার বিক্ষোভকারী রামাল্লাহ থেকে পূর্ব জেরুজালেম অভিমুখে মিছিল করার সময় ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি নেতারা শুক্রবারের এ দিনটিকে ‘ক্ষোভ দিবস’ আখ্যা দিয়েছেন।

রামাল্লার বাইরে কালান্দিয়ায় বিক্ষোভ দমাতে ইসরায়েলের সীমান্ত পুলিশ দাঙ্গা-বিরোধী পদক্ষেপ নেয় এবং তাজা গুলি ছোড়ে। তবে বিক্ষোভকারীরাও তাজা গোলাবারুদ ব্যবহার করেছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল।

এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধায় জেরুজালেমেও বিশাল বিক্ষোভ হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ইসরায়েলের পুলিশ ফিলিস্তিনিদেরকে আল আকসা মসজিদে প্রবেশে বাধা দেয়ার পর এ বিক্ষোভ হয়।

ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামাস যোদ্ধাদের রকেট হামলা ঠেকানোর কথা বলে ৮ জুলাই ১৮ লাখ ফিলিস্তিনি অধ্যুষিত গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। এরপর সেখানে শুরু হয় ইসরায়েলের নৌ ও স্থলঅভিযানও।

হতাহতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় জরুরি ভিত্তিতে গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য আঞ্চলিক দেশগুলোকে চাপ দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি।

বৃহস্পতিবার গাজায় আশ্রয়কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহৃত জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলে গোলা হামলায় নিহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন এবং আহত হয় ২শ’রও বেশি মানুষ। হতাহতদের অধিকাংশই শিশু। এ ঘটনার পর আরো তীব্রভাবে অনুভূত হচ্ছে যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তা।

কিন্তু যুদ্ধবিরতির শর্ত নিয়ে হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে মতবিরোধের কারণে এ প্রচেষ্টা সফল হচ্ছে না। তবে আগামী সপ্তাহে ঈদ উদযাপনকে কেন্দ্র করে সাময়িক যুদ্ধবিরতি হতে পারে বলে আশা করছেন মধ্যস্থতাকারীরা।

ঈদের সময়টিতে সাময়িক যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনায় বসতে শুক্রবার নিরাপত্তা কেবিনেটের সভা ডেকেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ৭ দিনের জন্য এ যুদ্ধবিরতি করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা।