এসবের মধ্যে ভেনেজুয়েলার অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ও অন্যান্য পণ্যের বিনিময়ে ৪০০ কোটি ডলার ঋণ মঞ্জুরের চুক্তিও রয়েছে।
ল্যাটিন আমেরিকার চারটি দেশ সফরের অংশ হিসেবে শি ভেনেজুয়েলায় গিয়েছিলেন।
ওখান থেকে তিনি কিউবার পথে রওয়ানা হয়ে গেছেন। কিউবায় দেশটির প্রেসিডেন্ট রাউল ক্যাস্ত্রোর সঙ্গে তার বৈঠক করার কথা রয়েছে।
এর আগে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল সফরে দেশগুলোর সঙ্গে বিশাল অঙ্কের চুক্তিতে সই করেছেন চীনা প্রেসিডেন্ট।
আর্জেন্টিনা সফরে দেশটির প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেজ দে ক্রিশ্চনার সরকারকে ১১ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিতে সম্মত হয়ে চুক্তি সই করেন শি।
খেলাপি হওয়ার কারণে ২০০১ সাল থেকে আন্তর্জাতিক পুঁজি বাজারে অবাঞ্ছিত হয়ে আছে আর্জেন্টিনা।
ব্রাজিল সফরে পাঁচ দেশীয় ব্রিকস (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা) সম্মেলনে নতুন একটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখেন শি। চীনের পাশাপাশি ব্রিকসের অন্যান্য সদস্যরাও ব্যাংকটির সমান অংশীদার হবে।
পশ্চিমা শক্তিগুলোর নিয়ন্ত্রিত বিশ্বব্যাংকের বিকল্প হিসেবে নতুন এই ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
ল্যাটিন আমেরিকার সঙ্গে চীনের বাণিজ্য খুব দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে। ২০০৯ সাল থেকে চীন ব্রাজিলের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার, আর আর্জেন্টিনা ও কিউবার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার।
যুক্তরাষ্ট্রের পর ভেনেজুয়েলার জ্বালানি তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা চীন।
চীনের দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক সম্প্রসারণ বজায় রাখার জন্য ল্যাটিন আমেরিকার প্রাকৃতিক সম্পদে আরো বেশি অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করাই শি’র এই সফরের উদ্দেশ্য বলে মনে করেন পশ্চিমা বিশ্লেষকরা।