মহাশূন্যে মানুষ পাঠানোর লক্ষ্য নিয়ে চালানো কর্মসূচির আওতায় সেখানে আবার বানর পাঠিয়ে সেটিকে আবার নিরাপদে ফিরিয়েও আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।
এই বানরের নাম ছিলো ‘ফারগাম’। এর আগে জানুয়ারিতে মহাশূন্যে প্রথম বানর পাঠিয়েছিল ইরান।
ইরান লাইকা থেকে শুরু করে জেলিফিশ এমনকি বিভিন্ন অণুজীবও মহাশূন্যে পাঠালেও বানর পাঠানো হয়েছিল মাত্র একবারই।
এবার তরল জ্বালানির একটি রকেটে করে দ্বিতীয় বানরকে মহাশূন্যে পাঠানো হয়। ইরানের এ ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার এটাই প্রথম।
বিবিসি জানায়, মহাশূন্যে সফলভাবে এই জীবন্ত প্রাণী পাঠানো এবং ফিরিয়ে আনার এ ঘটনায় হাসান রুহানি ইরানি গবেষকদের সাধুবাদ জানিয়েছেন।
ইরানের এ সক্ষমতা নিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব উদ্বিগ্ন। কারণ এ প্রযুক্তি সক্ষমতা ইরান ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণে কাজে লাগাতে পারে বলে তারা শঙ্কিত।
মহাকাশযান উৎক্ষেপণের সাথে ব্যালিস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপণের প্রযুক্তিগত মিল থাকায় তেহরান এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিধ্বংসী কার্যকলাপ চালাবে বলেই পশ্চিমাদের ধারণা।
তবে তেহরান বলছে, তাদের এই মিশনের পেছনে রয়েছে শুধুই প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ লাভের আকাঙ্খা। ইউরেনিয়াম থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য গবেষণা আরও এগিয়ে নেয়ার জন্যই এ মহাকাশ অভিযান।
ইরান ২০১০ সালে সফলভাবে মহাশূন্যে একটি ইঁদুর, কচ্ছপ এবং অণুজীব পাঠায়। কিন্তু ২০১১ সালে রকেটে করে মহাশূন্যে বানর পাঠানোর চেষ্টা ব্যর্থ হয়।