রোববারের এ ঘটনাকে সন্ত্রাসী হামলা বলে অভিহিত করেছেন দেশটির নিরাপত্তামন্ত্রী সালিফ ট্রাওরে।
অবকাশযাপন কেন্দ্রটি থেকে ৩৬ জন অতিথিকে উদ্ধার করা হয়েছে। অবকাশযাপন কেন্দ্রটি মালিতে প্রবাসী পশ্চিমাদের মধ্যে জনপ্রিয় ছিল।
রোববার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে প্রবাসী পশ্চিমারা যখন বামাকোর পূর্বদিকে অবস্থিত লা ক্যাম্পামেন্ট কাঙ্গাবা অবকাশযাপন কেন্দ্রটিতে ভীড় জমিয়েছেন, তখন মোটরসাইকেল ও গাড়িতে করে চারজন বন্দুকধারী সেখানে উপস্থিত হয়।
এর পরপরই তারা অবকাশযাপন কেন্দ্রটিতে হামলা শুরু করে। তাদের প্রতিরোধ করতে ঘটনাস্থলে মালির নিরাপত্তা বাহিনী ও ফরাসি সেনাদের পাঠানো হয়।
রোববার ওই অবকাশযাপন কেন্দ্রের প্রবেশ পথের বাইরে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাওরে বলেন, “প্রথমে আমরা তাদের ডাকাত ভেবেছিলাম, কিন্তু আমরা জানি ডাকাতরা কীভাবে কাজ করে। তারা কোনো স্থান দখল করে রাখে না। তাই এটিকে একটি সন্ত্রাসী হামলা বলে মনে হল।”
সংবাদ সম্মেলনে চলাকালেও অবকাশযাপন কেন্দ্রটির একপাশে আগুন জ্বলছিল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, মালির নিরাপত্তা বাহিনী, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনের গাড়ি ও ফরাসি সামরিক বাহিনীর সাঁজোয়া যান অবকাশযাপন কেন্দ্রটির চারদিক ঘিরে রেখেছে। ওপরে একটি হেলিকপ্টার চক্কর দিচ্ছে।
পরে আরেকটি সংবাদ সম্মেলনে ট্রাওরে জানান, মালির বাহিনী দুই হামলাকারীকে গুলি করে হত্যা করেছে, কিন্তু অপর দুজন পালিয়েছে। তাদের খোঁজা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
পালিয়ে যাওয়া দুই হামলাকারীর মধ্যে একজন আহত হয়েছে। সে একটি সাবমেশিনগান ও ছয় বোতল বিস্ফোরক ফেলে গেছে।
বন্দুকধারীদের হামলায় নিহতদের মধ্যে একজন ফরাসি-গ্যাবনিজ নাগরিক, অপরজনের পরিচয় শনাক্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ট্রাওরে। এদের দুজনই গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন।
এছাড়া আবকাশযাপন কেন্দ্রটিতে আসা দুই অতিথি, কেন্দ্রটির দুই কর্মীও গুলিতে আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বন্দুকধারীদের সঙ্গে গোলাগুলিতে আট পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছে।
যে ৩৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে তাদের মধ্যে ১৪ জন মালির ও ১৩ জন ফ্রান্সের নাগরিক, বাকীদের মধ্যে স্পেন, হল্যান্ড, মিশর ও কেনিয়ার নাগরিক রয়েছে।