শাস্তি পাওয়া অপর এই পাঁচজন হলেন সাংবাদিক ও সমাজকর্মী প্রশান্ত রাহি, জওহরলাল নেহেরু ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী হেম মিশ্রা এবং আদিবাসীগোষ্ঠীর সদস্য পান্ডু পোরা নারত, মহেশ কারেমান তিরকি ও বিজয় তিরকি।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, এদের মধ্যে বিজয় তিরকির ১০ বছর কারাদণ্ড হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়, আনলফুল অ্যাক্টিভিটিস (প্রিভেনশন) অ্যাক্ট এর ১৩, ১৮, ২০, ৩৮ এবং ৩৯ ধারা অনুযায়ী অভিযুক্তদের সাজা দেন বিচারক এসএস সিন্ধে।
শারিরীকভাবে অক্ষম এবং হুইলচেয়ারে চলাফেরা করা অধ্যাপক সাইবাবাকে ২০১৪ সালের মে মাসে দিল্লির নিজ বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশের দাবি, তার সঙ্গে মাওবাদীদের যোগাযোগ রয়েছে এবং তিনি ‘খুব সম্ভবত রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড সমর্থন করেন’।
শৈশবে পোলিও রোগে আক্রান্ত হয়ে চলাফেরার ক্ষমতা প্রায় হারিয়ে ফেলেন সাইবাবা। অন্যান্য শারীরিক জটিলতাতেও ভুগছেন তিনি।
২০১৬ সালের এপ্রিলে সাইবাবার শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট তার জামিন মঞ্জুর করে।
রায়ে ভীষণ হতাশ সাইবাবার পরিবার আশা করেছিল তিনি বেকসুর খালাস পাবেন। তার স্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “এটি খুবই হতাশজনক।”
“তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের পক্ষে প্রায় কোনও প্রমাণই ছিল না যার ভিত্তিতে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা যায়। আমরা অবশ্যই এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করব।”
সাইবাবাকে দোষী সাব্যস্ত করতে আদালতের উপর ‘রাষ্ট্রীয় চাপ’ ছিল বলেও দাবি করেন তিনি।
মাওবাদীদের বিরুদ্ধে ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স সরকারের সেনাবাহিনী এবং সালওয়া জুদুম মিলিশিয়াদের নিয়ে গ্রিন হান্ট অভিযানের বিপক্ষে ব্যাপক প্রচার চালিয়েছেন অধ্যাপক সাইবাবা।
তার মতে, গ্রিন হান্ট অভিযানের মাধ্যমে মাওবাদীদের মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে।