ব্রাজিলের ফুটবলারসহ বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের এয়ারলাইন্সের প্রধান গ্রেপ্তার

ব্রাজিলের একটি ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড়সহ ৭৭ জন আরোহী নিয়ে কলম্বিয়ায় মেদেলিনের কাছে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটি যে এয়ারলাইন্সের তার প্রধানকে গ্রেপ্তার করেছে বলিভিয়ার কর্তৃপক্ষ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Dec 2016, 08:08 AM
Updated : 7 Dec 2016, 08:10 AM

ওই দুর্ঘটনার পর শুরু হওয়ার তদন্তের অংশ হিসেবে বিমান বাহিনীর সাবেক জেনারেল গুস্তাভো ভারগাসকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

গত ২৮ নভেম্বরের ওই দুর্ঘটনায় ৭১ জন নিহত হয়েছিলেন, এদের অধিকাংশই ব্রাজিলের শাপোকোয়েন্সে ফুটবল দলের খেলোয়াড়।

লামিয়া এয়ারলাইন্সের ওই উড়োজাহাজে শাপোকোয়েনসে ফুটবল দলের খেলোয়াড়রা সাউথ আমেরিকান ক্লাব কাপের ফাইনালে কলম্বিয়ার দল আতলেতিকো নেশিওনালের সঙ্গে খেলতে মেদেলিনে যাচ্ছিলেন। ম্যাচের সংবাদ সংগ্রহের জন্য একদল সাংবাদিকও ছিলেন তাদের সঙ্গে।

ওই উড়োজাহাজটির জ্বালানি ফুরিয়ে গিয়েছিল বলে জানা গেছে।

আরোহীদের মধ্যে যে ছয়জন রক্ষা পেয়েছেন তাদের মধ্যে শাপোকোয়েনসে ফুটবল দলের তিন সদস্য, এক সাংবাদিক এবং দুই ক্রু সদস্য রয়েছেন।

এই দুই ক্রু সদস্যের একজন এরভিন তুমুরি জানিয়েছেন, উত্তর বলিভিয়ার শহর কোবিজায় উড়োজাহাজটিতে জ্বালানি ভরার কথা থাকলেও পাইলট তা অগ্রাহ্য করেন।

ব্রাজিলের গ্লোবো টিভিকে তিনি জানিয়েছেন, উড়োজাহাজটি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সমস্যায় পড়েছে এই সতর্কতা, ক্রু বা যাত্রী, কাউকেই জানানো হয়নি।  

সেলিয়া ক্যাস্তেদো নামের ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রওয়ানা হওয়ার আগেই উড়োজাহাজটির পাইলটকে সমস্যাটির ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন তিনি।

ক্যাস্তেদো জানিয়েছেন, উড়োজাহাজটি ছাড়ার আগেই পাইলট কুইরোগাকে তিনি দক্ষিণ বলিভিয়া থেকে কলম্বিয়ার মেদেলিনে যাওয়ার দীর্ঘ পথ সম্পর্কে সতর্ক করেছিলেন, দূরত্বটি উড়োজাহাজটির সর্বোচ্চ পাল্লার একেবারে শেষ প্রান্তে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। 

জানিয়েছেন, তাকে গালাগাল করে হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে। তিনি নিগৃহীত হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন। এই পরিস্থিতিতে ব্রাজিলে আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন তিনি।

ব্রাজিলীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তার আশ্রয় প্রার্থনা মঞ্জুরের প্রক্রিয়া শেষ করতে বছরখানেক লেগে যেতে পারে।

অপরদিক বলিভিয়া সরকারের মন্ত্রী কার্লোস রোমেরো তাকে ফেরত পাঠাতে ব্রাজিলীয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ক্যাস্তেদো যা করেছেন তাকে ‘অত্যন্ত গুরুতর ব্যাপার’ অভিহিত করে ‘এটি বিচার এড়ানোর চেষ্টা’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

লামিয়া এয়ারলাইন্সের রেজিস্ট্রেশন প্রথমে ভেনেজুয়েলায় করা হয়েছিল, পরে এর সদরদপ্তর বলিভিয়ায় সরিয়ে নেওয়া হয়। এয়ারলাইন্সটির মাত্র তিনটি উড়োজাহাজ ছিল, সেগুলোর মধ্যে শুধু দুইটি কার্যক্ষম ছিল।