বুধবারের এ হামলায় নিহতদের অধিকাংশই স্কুলগামী শিশু বলে জানিয়েছে উদ্ধারকারী কর্মীরা ও একটি পর্যবেক্ষক গোষ্ঠী।
সিরিয়া অথবা রাশিয়ার যুদ্ধবিমান হামলাটি চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
নিজেদের ফেইসবুক একাউন্টে সিরিয়ান সিভিল ডিফেন্স রেসক্যু ওয়ার্কার্স নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, হাস নামক গ্রামটির একটি আবাসিক এলাকা ও একটি স্কুলে বোমাগুলো আঘাত হেনেছে।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, যুদ্ধবিমানগুলো হাসের বেশ কয়েকটি অংশে এবং একটি প্রাথমিক স্কুল ও একটি মাধ্যমিক স্কুলে আঘাত হেনেছে। এতে অন্তত একজন শিক্ষকসহ অন্তত ১৫ জন শিশু শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।
সিরিয়ার বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কর্মরত সিভিল ডিফেন্স নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, হামলায় নিহতদের মধ্যে ২০টি শিশু রয়েছে।
সামরিক একটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, হাসে জঙ্গিদের অবস্থানে হামলা চালিয়ে বহু জঙ্গিকে হত্যা করা হয়েছে। তবে এতে কোনো স্কুলে হামলা চালানোর কথা উল্লেখ করা হয়নি।
জাতিসংঘে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত ভিতালি চুরকিন বলেছেন, “এটি ভয়ঙ্কর, আশা করছি আমরা এতে যুক্ত নেই। আমার পক্ষে সবচেয়ে সহজে যা বলা সম্ভব তাই বললাম আমি। কিন্তু আমি একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি, তাই আমাদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কী বলে তা দেখতে হবে আমাকে।”
জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের প্রধান অ্যান্থনি লেক বলেছেন, “সচেতনভাবে চালানো হলে, এটি একটি যুদ্ধাপরাধ।”
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদের পক্ষে আছে রাশিয়া, ইরান এবং লেবানন, ইরাক ও আফগানিস্তান থেকে আসা শিয়া মুসলিম বেসামরিক বাহিনী; অপরদিকে অধিকাংশ সুন্নি মুসলিম বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর পক্ষে আছে তুরস্ক, মধ্যপ্রাচ্যের বাদশা-শাসিত রাষ্ট্রগুলো ও যুক্তরাষ্ট্র।