বিবিসি জানিয়েছে, আইএসের হামলাকে ‘প্রচণ্ড’ বলে বর্ণনা করেছেন রুতবার মেয়র ইমাদ মেশাল। শহরের কেন্দ্রস্থলে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে আইএস জঙ্গিদের লড়াই চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে’ রাখতে প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদির কাছে রুতবায় অতিরিক্ত সামরিক ফোর্স পাঠানোর জন্য আবেদন জানিয়েছেন মেশাল।
২০১৪ সালের জুনে আইএসের জঙ্গিরা রুতবা দখল করে নিয়েছিল, কিন্তু চারমাস পরই সরকার সমর্থিত বাহিনীগুলো শহরটি পুনরুদ্ধার করে।
ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলীয় জর্দানি সীমান্ত থেকে দেড়শ কিলোমিটার ভিতরে অবস্থিত রুতবায় আইএসের এই হামলা মসুলের লড়াইয়ের বড় ধরনের কোনো প্রভাব ফেলবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
আইএসের দখলে থাকা মসুলের উত্তর-পূর্বদিকে রোববার সকালে নতুন করে আক্রমণ শুরু করেছে কুর্দিদের পেশমেরগা বাহিনী। ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই শহরটি পুনরুদ্ধার করতে এক সপ্তাহ আগে যৌথ অভিযান শুরু করেছে ইরাকি সরকারি বাহিনীগুলো ও কুর্দি পেশমেরগা বাহিনী।
অভিযানে উত্তর ও পূর্ব দিক থেকে মসুলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে পেশমেরগা, অপরদিকে দক্ষিণ দিক থেকে অগ্রসর হচ্ছে সরকারি বাহিনীগুলো।
কুর্দি বাহিনীগুলো জানিয়েছে, তারা বাশিকা টাউনের কাছে আইএসের অবস্থানগুলোর ওপর নতুন করে আক্রমণ চালিয়েছে।
ইরাকি বাহিনীগুলো মসুলের দিকে অগ্রসর হওয়ায় আইএসের ওপর চাপ যতই বাড়ছে, আত্মঘাতী বোমা হামলার মাধ্যমে জঙ্গিগোষ্ঠীটির প্রতিরোধের চেষ্টাও ততই বেড়ে চলেছে।
এরই মধ্যে শুক্রবার আইএসের জঙ্গিরা মসুলের ১৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে কিরকুক শহরে হামলা করেছে। সেখানে অন্তত ৪৬ জন নিহত হয়েছেন এবং আরো বহু মানুষ আহত হয়েছেন।
তারপর থেকে ইরাকের অন্যতম প্রধান তেল উৎপাদি এলাকা কিরকুকে সান্ধ্য আইন জারি করে রাখা হয়েছে। শহরটিতে রোববারও জঙ্গিদের সঙ্গে নিরপত্তা বাহিনীর বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ চলছিল বলে খবর পাওয়া গেছে।
রোববার আইএসের বার্তা সংস্থা আমাকে পোস্ট করা এক ভিডিওতে জঙ্গিগোষ্ঠীটি দেখিয়েছে, কিরকুকে হামলার চালানোর পর মসুলে লোকজন উল্লাস করছে।