মঙ্গলবার আলবুকার্কি কনভেনশন সেন্টারের বাইরে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে বিক্ষোভকারীরা জ্বলন্ত টি-শার্ট ও প্ল্যাস্টিকের বোতল ছুঁড়ে মারে।
বিক্ষোভকারীদের হাতে ‘ট্রাম্প ফ্যাসিস্ট’ এবং ‘আমরা অনেক শুনেছি’ লেখা ব্যানার ছিল। একদল বিক্ষোভকারী মেক্সিকোর পতাকা হাতে বিক্ষোভে অংশ নেয়।
আলবুকার্কি পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিক্ষোভকারীরা দায়িত্বরত পুলিশদের লক্ষ্য করে বোতল ও পাথর ছোঁড়ে। এতে বেশ কয়েকজন পুলিশ আহত হয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের দমাতে পুলিশ পেপার স্প্রে ও স্মোক গ্রেনেড ছোঁড়ে।
নিউ ইয়র্কের আবাসন ব্যবসায়ী ট্রাম্প গত বছর নির্বাচনী প্রচারণার শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়িত করা এবং মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণের প্রস্তাব দেন।
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য রাজ্যগুলোর তুলনায় নিউ মেক্সিকোতে সবচেয়ে বেশি হিস্পানিকদের বাস। তাদের অনেকেই ট্রাম্পের প্রস্তাবে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ।
সমাবেশ শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই বিক্ষোভকারীরা সমাবেশ স্থলের বাইরে সুশৃঙ্খলভাবে বিক্ষোভ শুরু করে। কিন্তু ট্রাম্পের সমর্থকরা কনভেনশন সেন্টারে প্রবেশ করা শুরু করলে উত্তেজনা দেখা দেয়।
উভয় পক্ষ পরষ্পরের দিকে অশ্লীল ও সাম্প্রদায়িক মন্তব্য ছুড়েতে থাকে। এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা পানি ও পানির বোতল ছুড়তে থাকে।
প্রায় ছয়শ’ বিক্ষোভকারী বিক্ষোভে অংশ নেয়। ট্রাম্প বক্তৃতা দেওয়ার সময়ও বিক্ষোভকারীরা বিঘ্ন সৃষ্টি করে।
সমাবেশে প্রায় চার হাজার মানুষ উপস্থিত ছিল। বিঘ্ন সৃষ্টিকারীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই তাদের ব্যাঙ্গ করা চালিয়ে যান ট্রাম্প।
একজন বিঘ্ন সৃষ্টিকারীকে লক্ষ্য করে তিনি বলেন, “এই বাচ্চাটির বয়স কত? এখনও ডায়াপায় পরে আছে।”অন্যদের তিনি বলেন, “বাড়িতে মায়ের কাছে যাও।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কারলা মলিনার ট্রাম্পের বক্তৃতার সময় বার বার বিঘ্ন সৃষ্টি করছিলেন।
এর কারণ হিসেবে মলিনার বলেন, “আমার পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বাস করে। আমার মনে হয় ট্রাম্প তাদের আক্রমণ করেছেন। দেশের বিভিন্ন সমস্যার জন্য তাদের বলির পাঁঠা বানানো হচ্ছে বলে আমার বিশ্বাস।”
এর আগেও ট্রাম্পের সমাবেশে ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
মার্চে শিকাগোতে তার সমাবেশের আগে সমর্থক ও বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলে ওই সমাবেশ বাতিল করতে বাধ্য হন তিনি।